ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি: “১৫০ মিলিয়ন ডলারের যুদ্ধবিমান ৭টির বেশি হস্তান্তর হয়েছে!”

গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও কেন্দ্রে আছেন। তিনি দাবি করেন, বর্তমান প্রশাসন ভারতকে রপ্তানি করেছে ১৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি পরিমাণের যুদ্ধবিমান, যার মধ্যে ইতোমধ্যে ৭টির চেয়ে…

Avatar

 

গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও কেন্দ্রে আছেন। তিনি দাবি করেন, বর্তমান প্রশাসন ভারতকে রপ্তানি করেছে ১৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি পরিমাণের যুদ্ধবিমান, যার মধ্যে ইতোমধ্যে ৭টির চেয়ে বেশি পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি পাকিস্তানকেও একই প্যাকেজে সামিলের ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প বলেন, “আমরা ভারতে বিক্রি করেছি হেভি ফাইটার জেট, যার মূল্য প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ডলার প্রতিটির। এ পর্যন্ত যেসব বিমান হস্তান্তর করা হয়েছে, তার সংখ্যা সাত ছাড়িয়ে গিয়েছে।” তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান প্রশাসন এ চুক্তিতে সংশ্লিষ্টতা গোপন রাখছে।

পাক-চীনের ঘুম হারাম! ভারত এবার বানাচ্ছে অত্যাধুনিক ফাইটার বিমান, আদানি-টাটা যুগলবন্দি?

এই চুক্তি নিয়ে দুই মাস ধরেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর একেবারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না করলেও, প্রতিরক্ষা চুক্তি নিশ্চিত করতে যাবৎকালে ভারতে ও পাকিস্তানে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনাই চলছে। উল্লেখ্য, গত জুনে ভারত তাদের ন্যাশনাল ডিফেন্স এক্সপোতে অংশগ্রহণকারী হিসেবে আমেরিকান পাল্টি জেটগুলো প্রদর্শন করেছিল।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র অবশ্য জানিয়েছে, “আমরা মার্কিন পণ্য কেনার ব্যাপারে স্বতঃস্ফূর্ত নই; প্রতিটি লেনদেন পরিপূর্ণ সরকারি প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে হয়।” পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো এসব মন্তব্যে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

ইতিহাস দেখালে ২০১৯ সালে ভারত-আমেরিকা মধ্যকার প্রতিরক্ষা ব্যবসা প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায় এবং সেসময়ও ফাইটার জেট, সার্ভিল্যান্স ড্রোন ও রাডার সিস্টেম আমদানি করে। পাকিস্তানকেও সাময়িক চুক্তিতে কিছু সামরিক সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছিল, তবে তাতে যুদ্ধবিমান ছিল না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ধরণর চুক্তি ভারত ও পাকিস্তান—দুটোকেই কৌশলগত সুবিধা দেবে। ভারতকে একদিকে শক্তিশালী করার চেষ্টা হলেও, পাকিস্তানে সামান্য পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে ‘সর্বজনীন’ ভাব নির্দেশ করার চেষ্টা চলছে। তবে লেনদেনের স্বচ্ছতা না থাকায় প্রশ্ন উঠছে—এই চুক্তি কতটা ন্যায্য ও নিরপেক্ষ?

ভারতকে ঘাঁটাতে এসে নিজেই ফাঁসল ট্রাম্প, বিশ্ব এককাট্টা। নিজ দেশেই জুটছে ‘গালাগাল’

ট্রাম্পের এ মন্তব্য চলছে মিডিয়ায় তীব্র আলোচনায়। রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে, যেখানে একজন পক্ষ ভাবছে—বিপুল সামরিক চুক্তি ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যালান্সকে আরও শাক্তিশালী করবে, অপরদিকে অন্যরা বলছে—এতে উত্তপ্ত হতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি।

এই বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসে এখন চিঠি লেখা হচ্ছে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে; বিশেষ করে লেনদেনের শর্তাবলী ও সময়সীমা প্রকাশের দাবি তুলেছে কয়েকজন সিনেটর। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশেই এখন দৃষ্টি টানছে—এর প্রভাব কীভাবে তাদের পারস্পরিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে।

উপসংহার: ট্রাম্পের “১৫০ মিলিয়ন ডলারের যুদ্ধবিমান ৭টির বেশি হস্তান্তর” দাবি আবারও উসকে দিয়েছে কৌশলগত ও কূটনৈতিক অগ্নিরশ্মি। দক্ষিণ এশিয়ার সুরক্ষা ভারসাম্য কোথায় দাঁড়াবে, তা সময়েই বলবে।

About Author
Avatar

আমাদের স্টাফ রিপোর্টারগণ সর্বদা নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন যাতে আপনি বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের সর্বশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে পারেন। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রতিশ্রুতি আমাদের ওয়েবসাইটকে একটি বিশ্বস্ত তথ্যের উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।তারা নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ রিপোর্টিংয়ে বিশ্বাসী, দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক প্রতিবেদন তৈরিতে সক্ষম