Ultraviolette Tesseract review 2025: আচ্ছা, ভাবুন তো, আপনি এমন একটা বাইকে চড়ছেন যেটা দেখতে যেমন ভবিষ্যত থেকে আসা, তেমনই তার ফিচারগুলোও তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো! হ্যাঁ, আমি Ultraviolette Tesseract-এর কথাই বলছি। ইলেকট্রিক বাইকের দুনিয়ায় এটা একটা নতুন চমক। ৪৮ ঘণ্টাতেই ২০,০০০-এর বেশি বুকিং! বুঝতেই পারছেন, কেন এই বাইক নিয়ে এত মাতামাতি। চলুন, জেনে নেওয়া যাক এই বাইকের খুঁটিনাটি।
টেসের্যাক্ট – এক নজরে (Tesseract – At a Glance)
লঞ্চ এবং জনপ্রিয়তা (Launch and Popularity):
Ultraviolette Tesseract এখনও বাজারে আসেনি, তবে এর ঘোষণা হওয়া মাত্রই হইচই পড়ে গেছে। লঞ্চের পর প্রথম ৪৮ ঘণ্টাতেই ২০,০০০-এর বেশি বুকিং হওয়াটা বুঝিয়ে দেয় মানুষ কতটা আগ্রহী এই বাইকটি নিয়ে। এর বিশেষত্ব হল এর ডিজাইন, ফিচার এবং অবশ্যই ইলেকট্রিক পাওয়ার। যারা পরিবেশবান্ধব এবং অত্যাধুনিক বাইক খুঁজছেন, তাদের জন্য এটা একটা দারুণ অপশন।
ডিজাইন এবং লুক (Design and Look):
Tesseract-এর ডিজাইন দেখলে মনে হবে যেন একটা স্পোর্টস বাইক। এর অ্যারোডাইনামিক ডিজাইন শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, এটা বাইকের গতি বাড়াতেও সাহায্য করে। এর গঠনশৈলী এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে বাতাসের বাধা কম লাগে, ফলে বাইকটি আরও দ্রুত চলতে পারে।
বাইকটি বিভিন্ন রঙে পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। ডিজাইনের বিশেষত্ব হল এর শার্প লাইনস এবং অ্যাগ্রেসিভ লুক, যা তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করবে।
মোটরসাইকেল সার্ভিসিং: কত দিন পর পর করালে আপনার বাইক থাকবে ফিট?
স্পেসিফিকেশন – টেকনিক্যাল ডিটেইলস (Specifications – Technical Details)
ইঞ্জিন এবং ব্যাটারি (Engine and Battery):
Tesseract-এ থাকছে শক্তিশালী মোটর এবং ব্যাটারি। এর মোটর পাওয়ার ১৪.৯১ কিলোওয়াট (২০.১০ বিএইচপি)। ব্যাটারির তিনটি অপশন রয়েছে: ৩.৫ কিলোওয়াট আওয়ার, ৫ কিলোওয়াট আওয়ার এবং ৬ কিলোওয়াট আওয়ার।
ব্যাটারির ক্যাপাসিটি অনুযায়ী বাইকের রেঞ্জ কেমন হবে, তা নিচে দেওয়া হল:
ব্যাটারি ক্যাপাসিটি (Battery Capacity) | রেঞ্জ (Range) |
---|---|
৩.৫ কিলোওয়াট আওয়ার (3.5 kWh) | ১৬২ কিমি (162 km) |
৫ কিলোওয়াট আওয়ার (5 kWh) | ২২০ কিমি (220 km) |
৬ কিলোওয়াট আওয়ার (6 kWh) | ২৬১ কিমি (261 km) |
ব্যাটারির চার্জিং টাইমও বেশ কম। ফাস্ট চার্জিংয়ের সুবিধা থাকলে খুব সহজেই ব্যাটারি ফুল চার্জ করা যাবে।
পারফর্মেন্স (Performance):
Tesseract-এর টপ স্পিড ১২৫ কিমি/ঘণ্টা। এর এক্সিলারেশনও দারুণ, মাত্র ২.৯ সেকেন্ডে ০-৬০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে পৌঁছাতে পারে। বাইকের কন্ট্রোলিং খুব স্মুথ এবং রাইডিং এক্সপেরিয়েন্সও আরামদায়ক হবে আশা করা যায়।
ব্রেক এবং সেফটি (Brakes and Safety):
নিরাপত্তার জন্য Tesseract-এ রয়েছে ফ্রন্ট এবং রেয়ার ডিস্ক ব্রেক। এর সাথে ডুয়াল চ্যানেল এবিএস (ABS) থাকায় ব্রেকিং আরও নিরাপদ হবে।
এই বাইকের বিশেষত্ব হল এর রাডার বেইসড সেফটি ফিচার। এতে ব্লাইন্ড স্পট ডিটেকশন, ওভারটেক অ্যালার্ট এবং কলিশন ওয়ার্নিংয়ের মতো ফিচারগুলো রয়েছে, যা চালককে দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে। এছাড়াও, ট্রাকশন কন্ট্রোল এবং ডাইনামিক স্ট্যাবিলিটি কন্ট্রোল বাইকের কন্ট্রোলিং আরও উন্নত করবে।
ফিচার – আধুনিক সব সুবিধা (Features – Modern Conveniences)
টেকনোলজি (Technology):
Tesseract-এ রয়েছে ৭ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে, যা বাইকের বিভিন্ন তথ্য দেখানোর পাশাপাশি নেভিগেশনের কাজেও লাগবে। এতে এআই (AI) পাওয়ার্ড ভায়োলেট কানেক্টিভিটি স্যুট রয়েছে, যা বাইককে স্মার্টফোনের সাথে কানেক্ট করতে সাহায্য করবে।
অন্যান্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে এনএফসি (NFC) এনাবেলড লকিং এবং আনলকিং সিস্টেম, ওভার-দ্য-এয়ার আপডেটের সুবিধা, ব্লুটুথ এবং ওয়াইফাই কানেক্টিভিটি। এছাড়াও, কী-লেস ইগনিশন সিস্টেম থাকায় চাবি ছাড়াই বাইক চালু করা যাবে।
স্টোরেজ এবং ডিসপ্লে (Storage and Display):
বাইকটিতে ৩৪ লিটারের আন্ডারসিট স্টোরেজ রয়েছে, যেখানে আপনি আপনার হেলমেট বা অন্যান্য জিনিস রাখতে পারবেন। এর ৭ ইঞ্চি মাল্টি-কালার টাচ-এনাবেলড এলইডি ডিসপ্লেতে বাইকের স্পিড, ব্যাটারি লেভেল, নেভিগেশন এবং অন্যান্য দরকারি তথ্য দেখা যাবে। ডিসপ্লেটির ইউজার ইন্টারফেস খুবই সহজ এবং ব্যবহারবান্ধব।
অন্যান্য ফিচার (Other Features):
স্মার্টফোন কানেক্টিভিটির মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনকে বাইকের সাথে কানেক্ট করে কল রিসিভ করতে পারবেন বা গান শুনতে পারবেন। এছাড়াও, একটি ডেডিকেটেড অ্যাপের মাধ্যমে বাইকের বিভিন্ন ফাংশন কন্ট্রোল করা যাবে।
বাইকটিতে বিভিন্ন রাইডিং মোড থাকবে, যা আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারবেন। আর ইলেকট্রিক বাইক হওয়ার কারণে এর চার্জিং ইনফ্রাস্ট্রাকচারও সহজলভ্য হওয়া উচিত।
দাম এবং বুকিং (Price and Booking)
দাম (Price):
Tesseract-এর দাম ভেরিয়েন্ট অনুযায়ী আলাদা হবে। নিচে একটি আনুমানিক দামের তালিকা দেওয়া হল:
ভেরিয়েন্ট (Variant) | দাম (Price) (আনুমানিক) |
---|---|
৩.৫ কিলোওয়াট আওয়ার (3.5 kWh) | ₹১.৪৫ লাখ (1.45 Lakh) |
৫ কিলোওয়াট আওয়ার (5 kWh) | ₹১.৭০ লাখ (1.70 Lakh) |
৬ কিলোওয়াট আওয়ার (6 kWh) | ₹২.০০ লাখ (2.00 Lakh) |
তবে, প্রথম ১০,০০০ কাস্টমারের জন্য স্পেশাল অফার হিসেবে দাম কিছুটা কম হতে পারে (যেমন: ₹১.২০ লাখ)। বিভিন্ন রাজ্যের ট্যাক্স এবং রেজিস্ট্রেশন চার্জ যোগ করে অন-রোড প্রাইস ভিন্ন হতে পারে।
বুকিং প্রসেস (Booking Process):
Tesseract বুকিং করা খুবই সহজ। আপনি Ultraviolette-এর ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে বুকিং করতে পারবেন। বুকিং ফি সম্ভবত ₹৯৯৯। ডেলিভারি ২০২৬ সালের প্রথম কোয়ার্টার থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
লেটেস্ট আপডেট (Latest Updates)
ডেলিভারি এবং কনফিগারেশন (Delivery and Configuration):
Tesseract-এর ডেলিভারি ২০২৬ সালের প্রথম দিকে শুরু হতে পারে। কনফিগারেশনের বিস্তারিত তথ্য ২০২৫ সালের শেষ দিকে জানা যাবে। বিভিন্ন ভেরিয়েন্টের মধ্যে কাস্টমাইজেশনের সুযোগও থাকতে পারে।
নতুন ফিচার এবং আপগ্রেড (New Features and Upgrades):
Ultraviolette সময়ে সময়ে Tesseract-এর জন্য নতুন ফিচার এবং আপগ্রেড নিয়ে আসতে পারে। সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার আপগ্রেডের মাধ্যমে বাইকের পারফর্মেন্স আরও উন্নত করা যেতে পারে।
মার্কেট অ্যানালাইসিস (Market Analysis):
ইলেকট্রিক বাইকের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, তাই Tesseract-এর মার্কেট সম্ভাবনাও উজ্জ্বল। এর ডিজাইন, ফিচার এবং পারফর্মেন্স অন্যান্য ইলেকট্রিক বাইকের থেকে একে আলাদা করে তুলেছে। ভবিষ্যতে এই বাইকটি ইলেকট্রিক ভেহিকেলের বাজারে একটা গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করবে বলে আশা করা যায়।
Ultraviolette Tesseract একটি আধুনিক এবং শক্তিশালী ইলেকট্রিক বাইক। এর ডিজাইন, ফিচার এবং টেকনোলজি একে অন্যান্য বাইকের থেকে আলাদা করেছে। যারা পরিবেশবান্ধব এবং স্টাইলিশ বাইক খুঁজছেন, তাদের জন্য এটা একটা দারুণ বিকল্প হতে পারে।যদি আপনি Tesseract সম্পর্কে আরও জানতে চান বা বুকিং করতে চান, তাহলে Ultraviolette-এর ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত থাকুন, কারণ Tesseract খুব শীঘ্রই রাস্তায় ঝড় তুলতে আসছে!