Useful Tips for Motor Cycle: পুরনো বাইক শুধু যানবাহন নয়, এটি স্মৃতি ও আবেগের প্রতীক। তবে সময়ের সাথে এর কার্যক্ষমতা কমে যায়। আসুন জেনে নেই কীভাবে আপনার প্রিয় বাইকটিকে নতুন জীবন দিতে পারেন।
মেকানিক্যাল পুনর্নবীকরণ:
- ইঞ্জিন সার্ভিসিং:
- অয়েল চেঞ্জ: প্রতি 3000-5000 কিলোমিটার পর অয়েল পরিবর্তন করুন। সঠিক গ্রেডের অয়েল ব্যবহার করুন।
- স্পার্ক প্লাগ পরিবর্তন: প্রতি 12,000-15,000 কিলোমিটার পর স্পার্ক প্লাগ বদলান।
- ভালভ ক্লিয়ারেন্স অ্যাডজাস্ট: নির্দিষ্ট সময় অন্তর ভালভ ক্লিয়ারেন্স চেক ও অ্যাডজাস্ট করুন।
- ব্রেক সিস্টেম আপগ্রেড:
- ব্রেক প্যাড/শু পরিবর্তন: যখন 2-3 মিমি এর কম থিকনেস থাকবে।
- ব্রেক ফ্লুইড চেঞ্জ: প্রতি 2 বছর অন্তর বা 30,000 কিলোমিটার পর।
- ব্রেক ডিস্ক/ড্রাম চেক: ক্ষয় বা দাগ থাকলে পরিবর্তন করুন।
- সাসপেনশন চেক ও মেরামত:
- ফর্ক অয়েল চেঞ্জ: প্রতি 20,000-30,000 কিলোমিটার পর।
- শক অ্যাবজরবার পরীক্ষা: লিকেজ বা কার্যক্ষমতা হ্রাস পেলে পরিবর্তন করুন।
- স্উইংআর্ম বুশ চেক: ক্ষয় বা লুজ হলে পরিবর্তন করুন।
বডি ও চেহারার উন্নতি:
- জং অপসারণ ও রঙ করা:
- জং অপসারণ: স্যান্ডপেপার বা ওয়্যার ব্রাশ দিয়ে জং অপসারণ করুন।
- প্রাইমার প্রয়োগ: জং প্রতিরোধী প্রাইমার ব্যবহার করুন।
- রঙ করা: হাই-কোয়ালিটি অটোমোটিভ পেইন্ট ব্যবহার করুন, প্রয়োজনে ক্লিয়ার কোট দিন।
- ক্রোম পার্টস পলিশ:
- মৃদু ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করুন।
- ক্রোম পলিশ ব্যবহার করে চকচকে করুন।
- প্রোটেক্টিভ ওয়াক্স প্রয়োগ করুন দীর্ঘস্থায়ী চকচকে ভাব বজায় রাখতে।সিট ও গ্রিপ পরিবর্তন:
- উচ্চমানের আপহোল্সটারি ব্যবহার করুন সিটের জন্য।
- এরগনোমিক গ্রিপ ইনস্টল করুন আরামদায়ক রাইডিং-এর জন্য।
ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেম আপডেট:
- LED লাইট ইনস্টলেশন:
- হেডলাইট: 35-40W LED বাল্ব ব্যবহার করুন উজ্জ্বল আলোর জন্য।
- টেইল লাইট: 10-15W LED বাল্ব ব্যবহার করুন।
- ইন্ডিকেটর: 5-10W LED বাল্ব ব্যবহার করুন।
- ব্যাটারি ও ওয়ারিং চেক:
- ব্যাটারি পরীক্ষা: ভোল্টেজ 12.6V এর নিচে নামলে চার্জ করুন বা পরিবর্তন করুন।
- ওয়্যারিং চেক: ক্ষয় বা শর্ট সার্কিট আছে কিনা দেখুন, প্রয়োজনে মেরামত করুন।
- ডিজিটাল গেজ অ্যাড করা:
- মাল্টি-ফাংশন ডিজিটাল স্পিডোমিটার ইনস্টল করুন।
- ফুয়েল গেজ, ট্যাকোমিটার সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদর্শনের ব্যবস্থা করুন।
পারফরম্যান্স বাড়ানো:
- কার্বুরেটর টিউনিং:
- এয়ার-ফুয়েল মিক্সচার অ্যাডজাস্ট করুন।
- আইডল স্পিড সেট করুন।
- জেট সাইজ অপটিমাইজ করুন।
- এগজস্ট সিস্টেম আপগ্রেড:
- হাই-ফ্লো এগজস্ট পাইপ ইনস্টল করুন।
- ক্যাটালিটিক কনভার্টার চেক করুন, প্রয়োজনে পরিবর্তন করুন।
- সাইলেন্সার অপটিমাইজ করুন নিয়ম মেনে।
- হাই-পারফরম্যান্স টায়ার লাগানো:
- সঠিক সাইজের টায়ার নির্বাচন করুন।
- গ্রিপ ও ডিউরেবিলিটি বিবেচনা করুন।
- টায়ার প্রেশার সঠিকভাবে মেইনটেইন করুন।
নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের টিপস:
- রুটিন চেকআপ:
- প্রতি 3000-5000 কিলোমিটার পর সার্ভিসিং করুন।
- চেইন লুব্রিকেশন প্রতি 500-1000 কিলোমিটার পর করুন।
- টায়ার প্রেশার প্রতি সপ্তাহে চেক করুন।
- সঠিক লুব্রিকেশন:
- ইঞ্জিন অয়েল: API SL গ্রেড বা উচ্চতর ব্যবহার করুন।
- গিয়ার অয়েল: নির্দিষ্ট গ্রেডের গিয়ার অয়েল ব্যবহার করুন।
- গ্রিসিং পয়েন্টগুলো নিয়মিত গ্রিস করুন।
- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা:
- নিয়মিত ধুয়ে পরিষ্কার করুন।
- এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করুন প্রতি 5000-6000 কিলোমিটার পর।
- কার্বুরেটর ক্লিনিং প্রতি 10,000-12,000 কিলোমিটার পর করুন।
যা না বললেই নয়
এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার পুরনো বাইককে নতুন জীবন দিতে পারেন। নিয়মিত যত্ন নিলে আপনার প্রিয় বাইকটি আরও অনেক বছর আপনার সাথী হয়ে থাকবে।
