V. Narayanan achievements: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO)-এর নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হলেন বিশিষ্ট রকেট বিজ্ঞানী ড. ভি. নারায়ণন। আগামী ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ থেকে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি তিনি মহাকাশ বিভাগের সচিব পদেও অধিষ্ঠিত হবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়োগ কমিটি এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে।
ড. নারায়ণন বর্তমানে ISRO-র লিকুইড প্রোপালশন সিস্টেমস সেন্টার (LPSC)-এর ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি রকেট ও মহাকাশযান প্রোপালশন বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত। প্রায় চার দশক ধরে ISRO-তে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।
AI থেকে ভীনগ্রহী: ২০২৪ সালে বিজ্ঞানের জগতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি
ড. নারায়ণনের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কর্মজীবনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
বিষয় | বিবরণ |
---|---|
জন্মস্থান | মেলাকাট্টু গ্রাম, নাগেরকোইল, কন্যাকুমারী জেলা, তামিলনাড়ু |
শিক্ষাগত যোগ্যতা | – ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম স্থান) – এসোসিয়েট মেম্বারশিপ ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং – এম.টেক ইন ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (IIT খড়গপুর, প্রথম স্থান) – পিএইচডি ইন এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং |
ISRO-তে যোগদান | ১৯৮৪ সালে |
বর্তমান পদ | ডিরেক্টর, লিকুইড প্রোপালশন সিস্টেমস সেন্টার (LPSC) |
ড. নারায়ণন ISRO-তে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে কাজ করেছেন:
১. প্রাথমিক পর্যায়ে সাউন্ডিং রকেট, অগমেন্টেড স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (ASLV) এবং পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (PSLV)-এর সলিড প্রোপালশন সিস্টেম নিয়ে কাজ করেছেন।
২. ক্রায়োজেনিক প্রযুক্তি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এর ফলে ভারত বিশ্বের ৬টি দেশের মধ্যে একটি হিসেবে এই প্রযুক্তি আয়ত্ত করতে সক্ষম হয়েছে।৩. জিএসএলভি মার্ক III (LVM3) রকেটের C25 ক্রায়োজেনিক প্রকল্পের প্রধান ছিলেন। এই রকেটই চন্দ্রযান-২ ও চন্দ্রযান-৩ মিশনে ব্যবহৃত হয়েছে।
৪. চন্দ্রযান-২ মিশনের ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান কমিটির প্রধান ছিলেন। তাঁর সুপারিশের ভিত্তিতেই চন্দ্রযান-৩ মিশন সফল হয়েছে।
৫. গগনযান মিশনের জন্য প্রোপালশন সিস্টেম তৈরিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
ড. নারায়ণনের কর্মজীবনে অর্জিত গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার ও সম্মাননা:
ড. নারায়ণনের নেতৃত্বে ISRO-র ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
১. নেক্সট জেনারেশন লঞ্চ ভেহিকল (NGLV) তৈরি: এই রকেট নিম্ন কক্ষপথে ৩০ টন পর্যন্ত ওজন বহন করতে সক্ষম হবে। এটি ভারতের নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন স্থাপন ও চন্দ্রে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্যে ব্যবহৃত হবে।
২. গগনযান মিশন: ভারতের প্রথম মানবযুক্ত মহাকাশ মিশন।
৩. চন্দ্রযান-৪ মিশন: চাঁদের আরও গভীর অনুসন্ধানের জন্য।
৪. মঙ্গলযান-২ মিশন: মঙ্গল গ্রহের আরও বিস্তৃত গবেষণা।
৫. শুক্রযান মিশন: শুক্র গ্রহ অভিযান।
৬. আদিত্য-এল১ মিশন: সূর্য গবেষণার জন্য ভারতের প্রথম মিশন।
ড. নারায়ণনের সামনে থাকা প্রধান চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা:
১. বাণিজ্যিক মহাকাশ খাতে ভারতের অবস্থান শক্তিশালী করা।
২. মহাকাশ প্রযুক্তিতে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন।
৩. আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
৪. যুব প্রতিভাদের মহাকাশ গবেষণায় আকৃষ্ট করা।
৫. মহাকাশ গবেষণার মাধ্যমে দেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখা।
৭০,০০০ টাকার মধ্যে সেরা গেমিং ল্যাপটপ: দুর্দান্ত পারফরম্যান্স আপনার বাজেটে!
ড. ভি. নারায়ণনের নেতৃত্বে ISRO নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা ভারতের মহাকাশ গবেষণাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাঁর নেতৃত্বে ISRO আগামী দিনে আরও বড় সাফল্য অর্জন করবে বলে আশা করা যায়।
মন্তব্য করুন