কারমাটারে বিদ্যাসাগরের অজানা জীবন: ১৮ বছর ধরে সাঁওতালদের সেবায় নিবেদিত মহামানব

Colonial Bengal healthcare reforms: পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তাঁর জীবনের শেষ ১৮টি বছর ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া জেলার কারমাটার গ্রামে কাটিয়েছিলেন। ১৮৭৩ সালে তিনি এখানে আসেন এবং ১৮৯১ সালে মৃত্যু পর্যন্ত এখানেই ছিলেন।…

Avatar

 

Colonial Bengal healthcare reforms: পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তাঁর জীবনের শেষ ১৮টি বছর ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া জেলার কারমাটার গ্রামে কাটিয়েছিলেন। ১৮৭৩ সালে তিনি এখানে আসেন এবং ১৮৯১ সালে মৃত্যু পর্যন্ত এখানেই ছিলেন। এই সময়কালে তিনি সাঁওতাল আদিবাসীদের উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। তিনি এখানে একটি বালিকা বিদ্যালয় এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য একটি রাত্রিকালীন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও তিনি একটি বিনামূল্যের হোমিওপ্যাথি ক্লিনিক চালু করেন যেখানে স্থানীয় মানুষদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হত।
বিদ্যাসাগর মহাশয় তাঁর বাসভবনের নাম দিয়েছিলেন “নন্দন কানন”। এখানে তিনি সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষদের সাথে মিশে গিয়েছিলেন এবং তাদের সামাজিক উন্নয়নে কাজ করেছিলেন। তিনি যে বালিকা বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেটি সম্ভবত ভারতের প্রথম আদিবাসী মেয়েদের স্কুল। এছাড়াও তিনি প্রাপ্তবয়স্ক আদিবাসীদের শিক্ষিত করার চেষ্টা করেছিলেন।
কলকাতার সেরা ১০ বনেদি বাড়ির পুজো: ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মিলনমেলা
বিদ্যাসাগরের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র নন্দন কানন বাড়িটি কলকাতার মল্লিক পরিবারের কাছে বিক্রি করে দেন। কিন্তু বাড়িটি ভেঙে ফেলার আগেই ১৯৭৪ সালের ২৯ মার্চ বিহার বাঙালি সমিতি এটি কিনে নেয়। তারা প্রতিটি বাড়ি থেকে এক টাকা করে চাঁদা তুলে এই ঐতিহাসিক বাড়িটি রক্ষা করেন। বর্তমানে এখানে বিদ্যাসাগরের নামে একটি বালিকা বিদ্যালয় চালু রয়েছে। বিনামূল্যের হোমিওপ্যাথি ক্লিনিকটিও এখনও স্থানীয় মানুষদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যাসাগরের বাসভবনটি মূল আকৃতিতে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এখানকার সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হল ১৪১ বছর পুরনো পাল্কিটি যা বিদ্যাসাগর নিজে ব্যবহার করতেন।
বিদ্যাসাগরের কারমাটার অবস্থানের স্মৃতি রক্ষার্থে ঝাড়খণ্ড সরকার ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর জামতাড়া জেলার কারমাটান্ড ব্লকের নাম পরিবর্তন করে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ব্লক রাখে। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস বলেন, “জামতাড়ার কারমাটান্ড প্রখণ্ড ছিল সমাজ সংস্কারক এবং নারী শিক্ষার প্রবল সমর্থক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কর্মভূমি। এখন থেকে এই ব্লক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রখণ্ড নামে পরিচিত হবে”।
কারমাটারের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত রেলওয়ে স্টেশনটিও বিদ্যাসাগরের নামে নামকরণ করা হয়েছে। এটি এখন বিদ্যাসাগর রেলওয়ে স্টেশন নামে পরিচিত। স্টেশন থেকে মাত্র কয়েকশো মিটার দূরে রয়েছে সেই স্থান যেখানে তিনি ১৮ বছর ধরে বসবাস করেছিলেন, মেয়েদের শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং হোম ক্লিনিক থেকে ওষুধ বিতরণ করেছিলেন।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এই ঐতিহাসিক স্থানটি আজ প্রায় বিস্মৃত। যদিও এটি একটি পর্যটন কেন্দ্র হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু বর্তমানে এখানে কোনো দর্শনার্থী আসেন না। বরং, জামতাড়া জেলা এখন দেশের অন্যতম বৃহত্তম সাইবার অপরাধের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। কারমাটার পুলিশ স্টেশনের রেকর্ড অনুযায়ী, ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৭ সালের মার্চ পর্যন্ত ১২টি বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ দল ২৩ বার এই স্টেশনে এসেছে এবং প্রায় ৩৮ জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।
জামতাড়া জেলা পুলিশ ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুলাই পর্যন্ত স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এলাকার ৩৩০ জন বাসিন্দার বিরুদ্ধে ৮০টিরও বেশি মামলা দায়ের করেছে। শুধুমাত্র কারমাটার পুলিশ স্টেশনেই ২০১৭ সালে গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে।
জেলা সদর জামতাড়া থেকে কারমাটার পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার রাস্তায় উন্নয়নের কোনো লক্ষণ নেই। রেললাইনের পাশাপাশি চলা এই রাস্তাটি বড় বড় গর্তে ভরা। এই আধা-শহুরে পরিবেশে একমাত্র যা চোখে পড়ে তা হল রাস্তার দুপাশের মাঠে স্থাপিত ডজন খানেক মোবাইল ফোন টাওয়ার। এবং এই টাওয়ারগুলোই জামতাড়ার কুখ্যাতির মূল কারণ।
সাইবার অপরাধের এই ঘটনাগুলি এলাকার সুনাম নষ্ট করেছে। স্থানীয় একজন ব্যক্তি বলেন, “আমাদের মেয়েদের বিয়ে দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।” সাইবার অপরাধের ঘটনাগুলি পৌরাণিক মাত্রা লাভ করেছে; শহরের প্রায় প্রতিটি কোণে শোনা যায় কীভাবে ছেলেরা দেশের বিভিন্ন অংশের লোকেদের প্রতারণা করেছে, এমনকি মন্ত্রী, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং বিখ্যাত অভিনেতাদেরও টার্গেট করেছে।

জামতাড়ার সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার পূজ্য প্রকাশ তাঁর অফিসে একটি বড় হাতে আঁকা মানচিত্র রাখেন যেখানে প্রতিটি সাইবার অপরাধের ঘটনা চিহ্নিত করা থাকে। তিনি বলেন, “অনেকেই জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার তাদের পুরনো কাজে ফিরে যায়। এই ব্যবসায় লাভের পরিমাণ অনেক বেশি।”

বিদ্যাসাগরের স্মৃতি বিজড়িত এই স্থানটি আজ সাইবার অপরাধের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। যে মহান ব্যক্তিত্ব একসময় এখানে বসে সমাজের অবহেলিত মানুষদের সেবা করেছিলেন, তাঁর আদর্শ আজ বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গেছে। কারমাটারের মানুষ আজ নতুন করে ভাবছে কীভাবে তাদের এলাকার হারানো সম্মান ফিরিয়ে আনা যায়।বিদ্যাসাগরের জীবনের শেষ অধ্যায়টি কারমাটারে কেটেছিল। তিনি এখানে শুধু বসবাস করেননি, সাঁওতাল সম্প্রদায়ের উন্নয়নে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত করেছিলেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত বালিকা বিদ্যালয়টি সম্ভবত ভারতের প্রথম আদিবাসী মেয়েদের স্কুল। তিনি প্রাপ্তবয়স্কদের শিক্ষার জন্যও উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি একটি বিনামূল্যের হোমিওপ্যাথি ক্লিনিক চালু করেছিলেন যেখানে স্থানীয় মানুষদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হত।

বিদ্যাসাগরের এই অবদানগুলি আজ প্রায় বিস্মৃত। তাঁর বসবাসের স্থান “নন্দন কানন” আজ পর্যটকদের আকর্ষণ করে না। অথচ এটি একটি ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে সংরক্ষিত হওয়া উচিত ছিল। তাঁর ব্যবহৃত ১৪১ বছর পুরনো পাল্কিটি এখনও সেখানে রয়েছে, কিন্তু এটি যথাযথভাবে সংরক্ষিত হচ্ছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।বিদ্যাসাগরের কারমাটার অবস্থানের গুরুত্ব অনুধাবন করে ঝাড়খণ্ড সরকার ২০১৯ সালে কারমাটান্ড ব্লকের নাম পরিবর্তন করে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ব্লক রেখেছে। এছাড়াও স্থানীয় রেলওয়ে স্টেশনটিও বিদ্যাসাগরের নামে নামকরণ করা হয়েছে। কিন্তু এই নামকরণের বাইরে বিদ্যাসাগরের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।বর্তমানে কারমাটার এবং জামতাড়া জেলা সাইবার অপরাধের জন্য কুখ্যাত হয়ে উঠেছে। এই অঞ্চল থেকে বহু সাইবার অপরাধী গ্রেপ্তার হয়েছে। এই পরিস্থিতি স্থানীয় মানুষদের জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করছে।
অনেকে বলছেন যে এই কুখ্যাতির কারণে তাদের মেয়েদের বিয়ে দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।বিদ্যাসাগরের মতো একজন মহান ব্যক্তিত্বের স্মৃতি বিজড়িত এই স্থানটি আজ এমন একটি পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়া দুঃখজনক। যে মানুষটি একসময় এখানে বসে সমাজের অবহেলিত মানুষদের সেবা করেছিলেন, শিক্ষার আলো ছড়িয়েছিলেন, তাঁর আদর্শ আজ প্রায় বিস্মৃত।কারমাটারের উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। জেলা সদর জামতাড়া থেকে কারমাটার পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার রাস্তাটি খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। এলাকায় উন্নয়নের কোনো লক্ষণ নেই। বরং, রাস্তার দুপাশে দেখা যায় অসংখ্য মোবাইল ফোন টাওয়ার, যা সাইবার অপরাধের সাথে যুক্ত।বিদ্যাসাগরের স্মৃতি সংরক্ষণের পাশাপাশি এই অঞ্চলের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন।
অবাক করা ট্রিক! মোবাইল দিয়েই চালান স্মার্ট টিভি, বাড়িতে বসেই উপভোগ করুন প্রিমিয়াম কনটেন্ট!
স্থানীয় যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা, শিক্ষার মান উন্নয়ন করা এবং সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।বিদ্যাসাগরের কারমাটার অবস্থান শুধু একটি ঐতিহাসিক ঘটনা নয়, এটি একটি অনুপ্রেরণার উৎস হওয়া উচিত। তিনি যেভাবে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন, সেই আদর্শকে সামনে রেখে আজ আমাদের এই অঞ্চলের উন্নয়নে কাজ করা উচিত।কারমাটারে বিদ্যাসাগরের অবস্থানকালে তিনি যে বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেটি সম্ভবত ভারতের প্রথম আদিবাসী মেয়েদের স্কুল। এই ঐতিহাসিক তথ্যটি যথাযথভাবে তুলে ধরা এবং এর গুরুত্ব প্রচার করা প্রয়োজন। এছাড়াও তিনি প্রাপ্তবয়স্কদের শিক্ষার জন্য যে রাত্রিকালীন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেটিও একটি অনন্য উদ্যোগ ছিল।বিদ্যাসাগরের প্রতিষ্ঠিত বিনামূল্যের হোমিওপ্যাথি ক্লিনিকটি এখনও চালু রয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য যা সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। এই ক্লিনিকটিকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সহ একটি পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিণত করা যেতে পারে, যা স্থানীয় মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের পাশাপাশি বিদ্যাসাগরের স্মৃতিকেও জীবন্ত রাখবে।
বিদ্যাসাগরের বাসভবন “নন্দন কানন” কে একটি সংগ্রহশালায় পরিণত করা যেতে পারে। এখানে তাঁর ব্যবহৃত জিনিসপত্র, তাঁর লেখা বই, এবং তাঁর জীবন ও কর্মের বিভিন্ন তথ্য প্রদর্শন করা যেতে পারে। এটি একটি শিক্ষামূলক কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করতে পারে যেখানে ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যাসাগরের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানতে পারবে।কারমাটারে বিদ্যাসাগরের অবস্থানকালীন সময়ে তিনি সাঁওতাল সম্প্রদায়ের সাথে যেভাবে মিশেছিলেন, তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি শিখেছিলেন, সেই ঐতিহ্যকে জীবন্ত রাখার জন্য একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করা যেতে পারে। এখানে সাঁওতাল সংস্কৃতি, তাদের নৃত্য, সঙ্গীত, শিল্পকলা প্রদর্শন করা যেতে পারে।বিদ্যাসাগরের নামে নামকরণ করা রেলওয়ে স্টেশনটিকে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করা যেতে পারে। স্টেশনের দেয়ালে বিদ্যাসাগরের জীবনের বিভিন্ন ঘটনা চিত্রিত করা যেতে পারে। এছাড়াও স্টেশন থেকে “নন্দন কানন” পর্যন্ত একটি হেরিটেজ ওয়াক তৈরি করা যেতে পারে।
কারমাটারে বিদ্যাসাগরের অবদানকে স্মরণ করে প্রতি বছর একটি উৎসব আয়োজন করা যেতে পারে। এই উৎসবে বিদ্যাসাগরের জীবন ও কর্মের উপর ভিত্তি করে নাটক, আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ইত্যাদি আয়োজন করা যেতে পারে। এছাড়াও সাঁওতাল সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরা যেতে পারে।বিদ্যাসাগরের শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারের আদর্শকে সামনে রেখে কারমাটারে একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যেতে পারে। এই প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা যেতে পারে।সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে স্থানীয় যুবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে। তাদেরকে আইটি সেক্টরে দক্ষ করে তোলার জন্য বিভিন্ন কোর্স চালু করা যেতে পারে। এর ফলে তারা সাইবার অপরাধের দিকে না গিয়ে বৈধ পেশায় নিযুক্ত হতে পারবে।কারমাটারের উন্নয়নের জন্য একটি সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এর মধ্যে থাকতে পারে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের ব্যবস্থা উন্নত করা, স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন ইত্যাদি।বিদ্যাসাগরের কারমাটার অবস্থান সম্পর্কে আরও গবেষণা করা প্রয়োজন। তাঁর এখানকার জীবন, কার্যক্রম, স্থানীয় মানুষদের সাথে তাঁর সম্পর্ক ইত্যাদি বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করা উচিত।
এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করে তা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা যেতে পারে।শেষ পর্যন্ত, কারমাটারকে বিদ্যাসাগরের স্মৃতি বিজড়িত একটি জ্ঞান ও সংস্কৃতির কেন্দ্রে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা উচিত। এটি শুধু একটি ঐতিহাসিক স্থান হিসেবেই নয়, বরং একটি জীবন্ত শিক্ষা ও সংস্কৃতির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে। এর মাধ্যমে বিদ্যাসাগরের আদর্শ ও মূল্যবোধকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা সম্ভব হবে এবং একই সাথে এই অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নও সাধিত হবে।
About Author
Avatar

আমাদের স্টাফ রিপোর্টারগণ সর্বদা নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন যাতে আপনি বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের সর্বশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে পারেন। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রতিশ্রুতি আমাদের ওয়েবসাইটকে একটি বিশ্বস্ত তথ্যের উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।তারা নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ রিপোর্টিংয়ে বিশ্বাসী, দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক প্রতিবেদন তৈরিতে সক্ষম