WBCS exam pattern changes 2024: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মী ও প্রশাসনিক সংস্কার বিভাগ WBCS পরীক্ষার নতুন সিলেবাস ও পরীক্ষা পদ্ধতি ঘোষণা করেছে। এই নতুন পরিবর্তনগুলি 2025 সালের WBCS পরীক্ষা থেকে কার্যকর হবে। 20 আগস্ট 2024 তারিখে প্রকাশিত এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, 2024 সালের WBCS পরীক্ষা পুরনো সিলেবাস অনুসারে হবে। তবে 2025 সাল থেকে নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হবে যা পরীক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
নতুন পরীক্ষা পদ্ধতিতে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় দুটি পেপার থাকবে – General Studies Paper I এবং General Studies Paper II। প্রতিটি পেপারের জন্য 200 নম্বর বরাদ্দ থাকবে এবং সময় হবে 2 ঘণ্টা। General Studies Paper II-এ কমপক্ষে 33% নম্বর পেতে হবে যোগ্যতা অর্জনের জন্য।মূল পরীক্ষায়ও বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। মোট 10টি পেপার থাকবে যার মধ্যে দুটি qualifying পেপার – বাংলা/নেপালি (পেপার A) এবং ইংরেজি (পেপার B)। প্রতিটি পেপারের জন্য 300 নম্বর বরাদ্দ থাকবে এবং পাস মার্ক হবে 30%। বাকি 8টি পেপারের প্রতিটির জন্য 250 নম্বর বরাদ্দ থাকবে এবং সময় হবে 3 ঘণ্টা।গ্রুপ A ও B পরীক্ষার্থীদের জন্য মোট নম্বর হবে 2200, যেখানে মূল পরীক্ষার 2000 নম্বর এবং ব্যক্তিত্ব পরীক্ষার 200 নম্বর যোগ হবে। গ্রুপ C এর জন্য মোট নম্বর হবে 1650 এবং গ্রুপ D এর জন্য 1600।
NEET 2024 Controversy: ভারতের শিক্ষা প্রণালীতে দুর্নীতির নতুন মুখ
নতুন পরীক্ষা পদ্ধতিতে বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্নের উপর বেশি জোর দেওয়া হবে। এর ফলে পরীক্ষার্থীদের শুধু তথ্য মুখস্থ করার বদলে গভীর বিশ্লেষণ ক্ষমতা অর্জন করতে হবে। UPSC পরীক্ষার মতো এখানেও একাধিক সঠিক উত্তর থাকা প্রশ্ন থাকতে পারে যা পরীক্ষার কঠিনতা বাড়াবে।পরীক্ষার্থীদের এই নতুন পদ্ধতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। তাদের পড়াশোনার পরিধি বাড়াতে হবে এবং বিশ্লেষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। বিভিন্ন কোচিং সেন্টার ইতিমধ্যেই নতুন সিলেবাস অনুযায়ী তাদের পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করতে শুরু করেছে।নতুন পরীক্ষা পদ্ধতিতে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত থাকবে:
এই নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি UPSC পরীক্ষার সাথে অনেকটা মিল রেখে তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে পরীক্ষার্থীদের আরও বেশি প্রস্তুতি নিতে হবে। তবে এর ফলে WBCS পরীক্ষার মান আরও উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর পদবী অনুযায়ী বেতন গ্রেড: জেনে নিন কত টাকা পাচ্ছেন আমাদের দেশের সৈনিকরা!
এই নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি পরীক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলেও, এর ফলে তাদের দক্ষতা ও জ্ঞান আরও বৃদ্ধি পাবে। যারা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সফল হবেন, তারা নিঃসন্দেহে উচ্চমানের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে গড়ে উঠবেন। পরীক্ষার্থীদের উচিত এই পরিবর্তনকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করা এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া।
মন্তব্য করুন