পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় এক বিশাল পরিবর্তনের সাক্ষী হল রাজ্য। স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) প্রক্রিয়ার অধীনে ৫৮ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ যাওয়ার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫ তারিখে চিফ ইলেক্টোরাল অফিসার (CEO) দফতরের ওয়েবসাইট ceowestbengal.wb.gov.in/asd_sir-এ লগ ইন করে দেখা যাচ্ছে বাদ যাওয়া নামের সম্পূর্ণ তালিকা। এই বিশাল সংখ্যক নাম বাদ যাওয়ার পেছনে রয়েছে মৃত ভোটার, স্থানান্তরিত ব্যক্তি, ডুপ্লিকেট এন্ট্রি এবং জাল ভোটারদের তথ্য চিহ্নিতকরণ।
৫৮ লক্ষ নাম বাদ – রাজ্যজুড়ে নজিরবিহীন পরিবর্তন
নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের SIR প্রক্রিয়ার প্রথম পর্যায়ে মোট ৫৮,০৮,২০২টি নাম ভোটার তালিকা থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। এই সংখ্যাটি সাম্প্রতিক নির্বাচনী সংশোধনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন বলে বিবেচিত হচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় এই বিলোপন অসমভাবে ঘটেছে, যা রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ন্যাশনাল হেরাল্ড ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ব্যাপক পরিবর্তন ঘনবসতিপূর্ণ এবং অভিবাসন-প্রবণ জেলাগুলিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে। বিশ্লেষকদের মতে, বাড়ি বাড়ি যাচাইকরণ প্রক্রিয়ায় অসামঞ্জস্যতা জনগণের মধ্যে অবিশ্বাসের সৃষ্টি করেছে।
বিধানসভা কেন্দ্র অনুযায়ী নাম বাদের পরিসংখ্যান
| বিধানসভা কেন্দ্র | মুছে ফেলা নামের সংখ্যা | বিশেষ তথ্য |
|---|---|---|
| চৌরঙ্গী (উত্তর কলকাতা) | ৭৪,৫৫৩ | সর্বোচ্চ সংখ্যক নাম বাদ |
| ভবানীপুর | চৌরঙ্গীর চেয়ে চারগুণ বেশি | ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা |
| নন্দীগ্রাম | ১০,৫৯৯ (মোট ২,৭৮,২১২ থেকে) | বিরোধী দলনেতার আসন |
| কোটালপুর (বাঁকুড়া) | ৫,৬৭৮ | সর্বনিম্ন সংখ্যক নাম বাদ |
দ্য টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় এই পার্থক্য স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান, যা নির্বাচনী ডেটাবেসের পুনর্গঠনের মাত্রা নির্দেশ করে।
SIR প্রক্রিয়া কী এবং কেন প্রয়োজন?
স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) এর সংজ্ঞা
স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন হল একটি বিশেষ প্রক্রিয়া যেখানে ভোটার তালিকা শূন্য থেকে নতুন করে তৈরি করা হয়। সাধারণ বার্ষিক সংশোধনের বিপরীতে, যেখানে শুধুমাত্র বিদ্যমান তালিকায় নতুন নাম যোগ বা পুরানো নাম বাদ দেওয়া হয়, SIR একটি “ডি নভো” (de novo) প্রক্রিয়া। এর অর্থ হল বুথ লেভেল অফিসার (BLO) দের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি যাচাইকরণের মাধ্যমে ভোটার তালিকা সম্পূর্ণ নতুনভাবে তৈরি করা হয়।
SIR প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য
এই প্রক্রিয়ার মূল লক্ষ্য হল:
-
ডুপ্লিকেট এন্ট্রি অপসারণ করা
-
মৃত ভোটারদের নাম মুছে ফেলা
-
স্থানান্তরিত ব্যক্তিদের তথ্য আপডেট করা
-
জাল ভোটার চিহ্নিত করা
-
“এক ব্যক্তি, এক ভোট” নীতি নিশ্চিত করা
-
নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করা
নিউজ অন এয়ারের রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ব্যায়াম বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
কারা এবং কেন নাম বাদ পড়েছে?
নাম বাদ যাওয়ার প্রধান কারণসমূহ
ইউনাইটেড নিউজ অফ ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, ৫৮ লক্ষ নাম বাদ যাওয়ার পেছনে রয়েছে নিম্নলিখিত কারণগুলি:
মৃত ভোটার: যেসব ভোটার মারা গেছেন কিন্তু তাদের নাম তালিকা থেকে মুছে ফেলা হয়নি, তাদের চিহ্নিত করে বাদ দেওয়া হয়েছে।
ঠিকানায় পাওয়া যায়নি: বুথ লেভেল অফিসাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাদের খুঁজে পাননি বা যাদের ঠিকানায় কেউ নেই বলে নিশ্চিত হয়েছেন, তাদের নাম অস্থায়ীভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানান্তরিত ভোটার: যারা অন্য জেলা বা রাজ্যে চলে গেছেন কিন্তু ভোটার তালিকা পরিবর্তন করেননি, তাদের নাম বাদ পড়েছে।
ডুপ্লিকেট এন্ট্রি: একই ভোটারের নাম দুটি আলাদা বুথ বা কেন্দ্রে থাকলে, সেই ক্ষেত্রে একটি নাম মুছে ফেলা হয়েছে।
ফর্ম জমা না দেওয়া: ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে যারা এনুমারেশন ফর্ম জমা করেননি, তাদের নাম খসড়া তালিকা থেকে বাদ গেছে।
জাল ভোটার: যাচাইকরণ প্রক্রিয়ায় যেসব ভোটার জাল বা অযোগ্য বলে চিহ্নিত হয়েছেন, তাদের নাম সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কীভাবে চেক করবেন আপনার নাম বাদ পড়েছে কিনা?
ধাপে ধাপে নাম যাচাইয়ের প্রক্রিয়া
এবিপি আনন্দ এবং অন্যান্য সূত্রের তথ্য অনুসারে, বাদ পড়া নামের তালিকা চেক করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ অনুসরণ করুন:
ধাপ ১: ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন
-
আপনার কম্পিউটার বা মোবাইলের ব্রাউজারে ceowestbengal.wb.gov.in/asd_sir লিংকটি ওপেন করুন।
ধাপ ২: লগ ইন করুন
-
ওয়েবসাইটের হোম পেজে ASD (Added, Shifted, Deleted) সেকশনে যান।
-
নির্দিষ্ট লগ ইন বিকল্পে ক্লিক করুন।
ধাপ ৩: তথ্য প্রদান করুন
-
আপনার EPIC নম্বর (Voter ID কার্ড নম্বর) ব্যবহার করে সার্চ করুন।
-
বিকল্পভাবে নাম, পিতার নাম এবং জেলার তথ্য দিয়েও খুঁজতে পারেন।
ধাপ ৪: তালিকা ডাউনলোড করুন
-
আপনার এলাকার বাদ পড়া নামের সম্পূর্ণ তালিকা PDF ফরম্যাটে ডাউনলোড করা যাচ্ছে।
-
নিজের, আত্মীয়স্বজন এবং প্রতিবেশীদের নাম যাচাই করতে পারবেন।
নাম বাদ পড়লে কী করবেন?
দাবি দাখিল এবং আপত্তি প্রক্রিয়া
আপনার নাম যদি ভুলভাবে বাদ পড়ে থাকে, তাহলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নিন:
ক্লেইম ফর ইনক্লুশন জমা দিন: খসড়া তালিকা প্রকাশের পর নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আপনার নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। Patras Law Chambers এর গাইড অনুযায়ী, এই প্রক্রিয়ার জন্য আপনাকে প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট: আধার কার্ড, বাসস্থানের প্রমাণ, পুরানো ভোটার আইডি কার্ডের কপি এবং অন্যান্য পরিচয় প্রমাণ জমা দিতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, যাদের নাম ভুলভাবে মুছে ফেলা হয়েছে তারা আধার কার্ডের কপি সহ পুনর্স্থাপনের দাবি জানাতে পারেন।
শুনানিতে উপস্থিত হন: নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনে শুনানির ব্যবস্থা করবে, যেখানে আপনি আপনার দাবির পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করতে পারবেন।
শেষ তারিখ মনে রাখুন: পাত্রাস ল চেম্বার্স এর তথ্য অনুযায়ী, চূড়ান্ত নির্বাচনী তালিকা ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ তারিখে প্রকাশিত হবে। এর আগেই সমস্ত দাবি এবং আপত্তি নিষ্পত্তি করতে হবে।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া এবং বিতর্ক
পশ্চিমবঙ্গের SIR প্রক্রিয়া তীব্র রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল এই বিশাল সংখ্যক নাম বাদ যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং যোগ্য ভোটারদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেছে। অন্যদিকে, বিরোধী দল সীমান্তবর্তী এলাকায় “বোগাস ভোটার” থাকার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
মানি কন্ট্রোলের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সংশোধন প্রক্রিয়া ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১১ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে, মেয়াদ বৃদ্ধির পরে। বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রক্রিয়া ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
বিহারের SIR প্রক্রিয়া এবং সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ
পশ্চিমবঙ্গের SIR প্রক্রিয়া বোঝার জন্য বিহারের অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ। এনডিটিভির রিপোর্ট অনুসারে, বিহারে ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম ভোটার তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে ২২ লক্ষ মৃত ভোটার ছিলেন। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করে এবং নির্বাচন কমিশনকে মুছে ফেলা ব্যক্তিদের নাম চিহ্নিত করতে এবং কারণ সহ প্রকাশ করার নির্দেশ দেয়।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে ৬৫ লক্ষ মানুষের নাম যারা ভোটার তালিকা থেকে সরানো হয়েছে, তাদের নাম মুছে ফেলার কারণ সহ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। আদালত আরও বলেছে যে এই তালিকা ব্যাপকভাবে প্রচার করা উচিত যাতে প্রতিটি ভোটার এটি অ্যাক্সেস করতে পারে। যাদের নাম ভুলভাবে মুছে ফেলা হয়েছে তারা তাদের আধার কার্ডের একটি কপি সহ পুনর্স্থাপনের দাবি জানাতে পারেন।
SIR প্রক্রিয়ার সুবিধা এবং অসুবিধা
সুবিধাসমূহ
নির্বাচনী তালিকা পরিষ্কার করা: এটি ডুপ্লিকেট এন্ট্রি, মৃত ভোটারদের নাম এবং যারা স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত হয়েছেন তাদের নাম সরিয়ে দেয়, যা “এক ব্যক্তি, এক ভোট” নীতি রক্ষা করে।
নির্ভুলতা এবং সততা প্রচার: এটি নিশ্চিত করে যে ভোটার তালিকা যতটা সম্ভব সঠিক, যা একটি ন্যায্য এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য মৌলিক।
গণতান্ত্রিক বৈধতা বৃদ্ধি: একটি পরিচ্ছন্ন ভোটার তালিকা বজায় রেখে, প্রক্রিয়াটি নির্বাচনী ব্যবস্থায় জনগণের বিশ্বাস তৈরি করতে এবং জালিয়াতি প্রতিরোধে সহায়তা করে।
সমালোচনা এবং উদ্বেগ
যোগ্য ভোটারদের বঞ্চিত করার ঝুঁকি: যথাযথ ডকুমেন্টেশনের অভাব বা অন্যান্য প্রক্রিয়াগত সমস্যার কারণে প্রকৃত ভোটারদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হতে পারে।
অসমতা: বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় নাম বাদ যাওয়ার হারে বিশাল পার্থক্য প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
সময়ের সংকট: অনেক ভোটার অভিযোগ করেছেন যে তারা ফর্ম পাননি বা যথেষ্ট সময় পাননি।
এরপর কী হবে?
খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর এখন শুরু হবে দাবি এবং আপত্তির পর্ব। নির্বাচন কমিশন সমস্ত আবেদন যাচাই করবে এবং প্রয়োজনে শুনানির আয়োজন করবে। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ তারিখে চূড়ান্ত নির্বাচনী তালিকা প্রকাশিত হবে, যা ২০২৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে ব্যবহৃত হবে।
ভোটারদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যে তারা নিয়মিত CEO দফতরের ওয়েবসাইট পরীক্ষা করুন এবং প্রয়োজনে তাদের দাবি জমা দিন। প্রতিটি যোগ্য নাগরিকের ভোট দেওয়ার অধিকার রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই নিজের নাম যাচাই করা এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া প্রতিটি ভোটারের দায়িত্ব।
গুরুত্বপূর্ণ তারিখ এবং যোগাযোগের তথ্য
| বিবরণ | তারিখ/তথ্য |
|---|---|
| এনুমারেশন শেষ তারিখ | ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ |
| খসড়া তালিকা প্রকাশ | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ |
| দাবি এবং আপত্তি জমার সময় | ১৬ ডিসেম্বর – জানুয়ারি ২০২৬ |
| চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ | ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ |
| অফিসিয়াল ওয়েবসাইট | ceowestbengal.wb.gov.in/asd_sir |
| হেল্পলাইন | CEO দফতর, পশ্চিমবঙ্গ |
পশ্চিমবঙ্গের এই ব্যাপক SIR প্রক্রিয়া ভারতীয় নির্বাচনী ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হবে। ৫৮ লক্ষেরও বেশি নাম বাদ যাওয়ার এই বিশাল পরিবর্তন রাজ্যের নির্বাচনী ডেটাবেসকে নতুন করে সাজিয়েছে। যদিও এই প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য হল একটি পরিচ্ছন্ন এবং নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি করা, তবে এটি নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে কোনও যোগ্য ভোটার তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন। প্রতিটি নাগরিকের উচিত এই তালিকা যাচাই করা এবং প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা। এই প্রক্রিয়ার সাফল্য নির্ভর করে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতার উপর। আগামী মাসগুলিতে দাবি এবং আপত্তির পর্যায়ে সমস্ত ভুল সংশোধন করা হবে, যাতে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন একটি ন্যায্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতিতে পরিচালিত হতে পারে।











