What Happen with Bhole Baba after Hathras Incident: উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে গেল। একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ১২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় স্বঘোষিত ধর্মগুরু ‘ভোলে বাবা’র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই ঘটনার বিস্তারিত এবং তার পরিণতি।
২ জুলাই, ২০২৪-এ হাথরাসের সিকান্দরারাউ এলাকায় ‘ভোলে বাবা’ নামে পরিচিত নারায়ণ সাকার হরির একটি সৎসঙ্গ অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠান শেষে ভক্তরা বাবার ‘চরণধূলি’ নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি করতে থাকে। এই সময় ভীষণ ভিড়ের কারণে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও, পরবর্তীতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৩ হয়েছে।
নারায়ণ সাকার হরি ওরফে ভোলে বাবা একজন স্বঘোষিত ধর্মগুরু। জানা গেছে, তিনি আগে পুলিশের চাকরি করতেন। পরে ধর্মগুরু হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর অনুষ্ঠানে প্রচুর ভিড় জমত।
ঘটনার পর থেকেই ভোলে বাবার দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে মনে করছেন, অনুষ্ঠানের আয়োজকদের উচিত ছিল পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু তা না করায় এই বিপর্যয় ঘটেছে।
ঘটনার পর উত্তরপ্রদেশ সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে:
1. মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছেন।
2. ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
3. পুলিশ ভোলে বাবার খোঁজ চালাচ্ছে।
যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, “দোষীদের এমন কঠিন শাস্তি হবে যা ভবিষ্যতে উদাহরণ প্রস্তুত করবে”। তিনি আরও জানিয়েছেন, ঘটনার গভীরে গিয়ে তদন্ত করা হবে এবং কোনও ষড়যন্ত্র থাকলে তাও খতিয়ে দেখা হবে।
Google Maps-এ আপনার বাড়ির ঠিকানা পরিবর্তন করুন: [সম্পূর্ণ গাইড]
তবে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, এখনও পর্যন্ত দায়ের করা FIR-এ ভোলে বাবার নাম নেই[7]। এটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, যদি অনুষ্ঠানের আয়োজক হিসেবে ভোলে বাবার দায়িত্ব থাকে, তবে তাঁর নাম FIR-এ না থাকার কারণ কী?
ঘটনায় আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একজন গ্রামবাসী বলেছেন, “ওঁর যদি সত্যিই শক্তি থাকে এসে আমাদের সুস্থ করুন!” এই মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, ভোলে বাবার প্রতি মানুষের আস্থা কমে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন[12]। উত্তরপ্রদেশ সরকারও ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে।
1. অনুষ্ঠানের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল কি?
2. এত বড় জমায়েতের অনুমতি দেওয়া উচিত ছিল কি?
3. ভোলে বাবার বিরুদ্ধে কী ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
4. ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে স্বঘোষিত ধর্মগুরুদের কার্যকলাপের ওপর নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। আবার কেউ কেউ এই ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
1. বড় ধর্মীয় জমায়েতের ক্ষেত্রে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
2. স্বঘোষিত ধর্মগুরুদের কার্যকলাপের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে।
3. জনসচেতনতা বাড়াতে হবে যাতে মানুষ অন্ধ ভক্তির বশবর্তী না হয়।
শেষ পর্যন্ত, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।