What is Elatrol Used For: এলাট্রল (Elatrol) ঔষধটি সম্পর্কে জানতে গেলে প্রায়শই একটি বিভ্রান্তি দেখা দেয়, কারণ এই নামে বা এর কাছাকাছি উচ্চারণের নামে বাজারে দুটি ভিন্ন ঔষধ প্রচলিত রয়েছে। এদের একটি হলো অ্যামিট্রিপটিলিন (Amitriptyline), যা মূলত বিষণ্ণতা, স্নায়ুবিক ব্যথা ও মাইগ্রেন প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়। অন্যটি হলো সেট্রিজিন (Cetirizine), যা অ্যালার্জির চিকিৎসায় একটি বহুল ব্যবহৃত ঔষধ এবং বাংলাদেশে এটি ‘অ্যালাট্রল’ (Alatrol) নামে বেশি পরিচিত। দুটি ঔষধের কাজ, ব্যবহার এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাই এই ঔষধ ব্যবহার করার আগে আপনার ঔষধের প্যাকেজে থাকা জেনেরিক নামটি (Generic Name) অর্থাৎ মূল উপাদান কোনটি—অ্যামিট্রিপটিলিন নাকি সেট্রিজিন—তা নিশ্চিত হয়ে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এই নিবন্ধে আমরা উভয় ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব যাতে পাঠক সঠিক তথ্য পেতে পারেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিরাপদে ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যামিট্রিপটিলিন (Amitriptyline) কি এবং কেন ব্যবহৃত হয়?
অ্যামিট্রিপটিলিন, যা এলাট্রল (Elatrol) ব্র্যান্ড নামেও পরিচিত হতে পারে, এটি ট্রাইসাইক্লিক এন্টিডিপ্রেসেন্ট (Tricyclic Antidepressant – TCA) শ্রেণীর একটি পুরনো এবং কার্যকর ঔষধ। ১৯৫০-এর দশকে আবিষ্কৃত এই ঔষধটি মস্তিষ্কের রাসায়নিক বার্তাবাহক বা নিউরোট্রান্সমিটার, বিশেষ করে সেরোটোনিন এবং নরadrenaline-এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে কাজ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) তাদের প্রয়োজনীয় ঔষধের তালিকায় অ্যামিট্রিপটিলিনকে অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা এর কার্যকারিতা এবং গুরুত্ব প্রমাণ করে। যদিও এটি মূলত বিষণ্ণতার ঔষধ হিসেবে পরিচিত, তবে বর্তমানে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় এর ব্যবহার স্বীকৃত।
অ্যামিট্রিপটিলিনের প্রধান ব্যবহারসমূহ
অ্যামিট্রিপটিলিন বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এর প্রধান ব্যবহারগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
১. বিষণ্ণতা (Depression):
এটি মাঝারি থেকে তীব্র বিষণ্ণতার চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকর। যেসব ক্ষেত্রে রোগীর ঘুমের সমস্যা বা দুশ্চিন্তা থাকে, সেখানে অ্যামিট্রিপটিলিন বিশেষভাবে উপকারী। এটি মেজাজ উন্নত করে, ঘুমের মান বাড়ায় এবং শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ (NIMH)-এর তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষ বিষণ্ণতায় ভোগেন এবং এন্টিডিপ্রেসেন্ট ঔষধ তাদের চিকিৎসায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২. নিউরোপ্যাথিক পেইন বা স্নায়ুবিক ব্যথা (Neuropathic Pain):
ডায়াবেটিস, হার্পিস জোস্টার (শিংলস) বা অন্য কোনো কারণে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে যে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা হয়, তাকে নিউরোপ্যাথিক পেইন বলে। অ্যামিট্রিপটিলিন এই ধরনের ব্যথা কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। এটি মস্তিষ্কের ব্যথা সংকেত পাঠানোর প্রক্রিয়াকে পরিবর্তন করে ব্যথার অনুভূতি হ্রাস করে। Mayo Clinic-এর মতো স্বনামধন্য স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোও স্নায়ুবিক ব্যথার চিকিৎসায় এর কার্যকারিতা স্বীকার করে।
৩. মাইগ্রেন প্রতিরোধ (Migraine Prevention):
যাদের ঘন ঘন মাইগ্রেনের আক্রমণ হয়, তাদের ক্ষেত্রে প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা হিসেবে অ্যামিট্রিপটিলিন ব্যবহার করা হয়। এটি মাইগ্রেনের আক্রমণের সংখ্যা এবং তীব্রতা উভয়ই কমাতে সাহায্য করে। এটি তাৎক্ষণিক ব্যথানাশক নয়, বরং নিয়মিত ব্যবহারে মাইগ্রেন হওয়ার প্রবণতা কমায়।
৪. টেনশন হেডেক (Tension Headache):
দীর্ঘস্থায়ী টেনশন বা মানসিক চাপজনিত মাথাব্যথার চিকিৎসায়ও এটি ব্যবহৃত হয়।
৫. শিশুদের বিছানায় প্রস্রাব করা (Nocturnal Enuresis):
কিছু ক্ষেত্রে, ৬ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের রাতে বিছানায় প্রস্রাব করার সমস্যা সমাধানের জন্য চিকিৎসকরা স্বল্প মেয়াদে অ্যামিট্রিপটিলিন প্রেসক্রাইব করে থাকেন। তবে এটি শুধুমাত্র তখনই ব্যবহার করা হয় যখন অন্য কোনো চিকিৎসা কার্যকর হয় না।
৬. অন্যান্য ব্যবহার:
এছাড়াও ফাইব্রোমায়ালজিয়া (Fibromyalgia), ইন্টারস্টিসিয়াল সিস্টাইটিস (Interstitial Cystitis) এবং ঘুমের সমস্যা (Insomnia)-এর মতো কিছু রোগের অফ-লেবেল (unapproved) চিকিৎসাতেও এর ব্যবহার দেখা যায়।
অ্যামিট্রিপটিলিনের মাত্রা ও সেবনবিধি
অ্যামিট্রিপটিলিনের মাত্রা রোগীর বয়স, শারীরিক অবস্থা এবং কী রোগের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে। এটি সাধারণত ট্যাবলেট আকারে পাওয়া যায় (১০ মিগ্রা, ২৫ মিগ্রা, ৫০ মিগ্রা)।
রোগের ধরণ | প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সাধারণ ডোজ | সর্বোচ্চ ডোজ |
বিষণ্ণতা | প্রতিদিন ৭৫ মিগ্রা (রাতে বা বিভক্ত মাত্রায়) | প্রতিদিন ১৫০-২০০ মিগ্রা |
স্নায়ুবিক ব্যথা | প্রতিদিন ১০-২৫ মিগ্রা (রাতে) | প্রতিদিন ৭৫-১০০ মিগ্রা |
মাইগ্রেন প্রতিরোধ | প্রতিদিন ১০-২৫ মিগ্রা (রাতে) | প্রতিদিন ৭৫-১০০ মিগ্রা |
গুরুত্বপূর্ণ দ্রষ্টব্য: চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ঔষধের ডোজ পরিবর্তন করা বা খাওয়া বন্ধ করা উচিত নয়। হঠাৎ করে ঔষধ বন্ধ করলে উইথড্রয়াল সিনড্রোম (Withdrawal Syndrome) দেখা দিতে পারে, যার ফলে মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব এবং অস্বস্তি হতে পারে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও সতর্কতা
অন্যান্য ঔষধের মতো অ্যামিট্রিপটিলিনেরও কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এগুলো মৃদু এবং কিছুদিন পর শরীর মানিয়ে নিলে কমে যায়।
সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
- মুখ শুকিয়ে যাওয়া (Dry Mouth)
- ঘুম ঘুম ভাব বা ঝিমুনি (Drowsiness)
- কোষ্ঠকাঠিন্য (Constipation)
- দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া (Blurred Vision)
- ওজন বৃদ্ধি (Weight Gain)
- মাথা ঘোরা (Dizziness)
- প্রস্রাব করতে অসুবিধা
গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (বিরল):
- অনিয়মিত হৃদস্পন্দন (Irregular Heartbeat)
- বিভ্রান্তি বা হ্যালুসিনেশন (Confusion or Hallucinations)
- হঠাৎ জ্বর, মাংসপেশী শক্ত হয়ে যাওয়া
- চোখে তীব্র ব্যথা
- আত্মহত্যার চিন্তা (বিশেষ করে কিশোর ও তরুণদের মধ্যে)
Drugs.com ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এন্টিডিপ্রেসেন্ট ঔষধগুলো কিশোর ও তরুণদের মধ্যে আত্মহত্যার চিন্তার ঝুঁকি বাড়াতে পারে, তাই চিকিৎসার প্রথম কয়েক সপ্তাহ রোগীকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা উচিত।
যাদের ক্ষেত্রে সতর্কতা প্রয়োজন:
- হৃদরোগী, বিশেষ করে যারা সম্প্রতি হার্ট অ্যাটাক করেছেন।
- গ্লুকোমা (Glaucoma) রোগী।
- প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হওয়ার সমস্যায় ভুগছেন এমন পুরুষ।
- লিভার বা কিডনির সমস্যা রয়েছে এমন ব্যক্তি।
- গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ আবশ্যক।
অ্যালাট্রল (Alatrol) বা সেট্রিজিন (Cetirizine) কি এবং কেন ব্যবহৃত হয়?
বাংলাদেশে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (Square Pharmaceuticals PLC) ‘অ্যালাট্রল’ (Alatrol) নামে যে ঔষধটি বাজারজাত করে তার মূল উপাদান হলো সেট্রিজিন হাইড্রোক্লোরাইড (Cetirizine Hydrochloride)। এটি একটি দ্বিতীয় প্রজন্মের (Second-generation) অ্যান্টিহিস্টামিন, যা অ্যালার্জির লক্ষণগুলো উপশম করতে ব্যবহৃত হয়। প্রথম প্রজন্মের অ্যান্টিহিস্টামিনের তুলনায় এর ঘুম ঘুম ভাব তৈরির ক্ষমতা অনেক কম, ফলে এটি বেশ জনপ্রিয়।
সেট্রিজিনের প্রধান ব্যবহারসমূহ
সেট্রিজিন মূলত হিস্টামিন নামক একটি প্রাকৃতিক পদার্থের কার্যকারিতা বন্ধ করে কাজ করে। শরীরে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ার জন্য হিস্টামিন দায়ী।
১. অ্যালার্জিক রাইনাইটিস (Allergic Rhinitis):
এটি হে ফিভার (Hay Fever) নামেও পরিচিত। ধুলো, পোলেন বা অন্য কোনো অ্যালার্জেনের কারণে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক চুলকানো এবং চোখ লাল হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ উপশম করতে এটি ব্যবহৃত হয়। আমেরিকান কলেজ অফ অ্যালার্জি, অ্যাজমা অ্যান্ড ইমিউনোলজি (ACAAI) অনুসারে, অ্যালার্জিক রাইনাইটিস বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে।
২. আর্টিকারিয়া বা আমবাত (Urticaria):
ত্বকে লাল, ফোলা এবং চুলকানিযুক্ত দানা বা চাকা দেখা দিলে তাকে আর্টিকারিয়া বা আমবাত বলে। সেট্রিজিন এই চুলকানি এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
৩. অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস (Allergic Conjunctivitis):
অ্যালার্জির কারণে চোখ লাল হওয়া, চুলকানো এবং পানি পড়ার সমস্যায় এটি কার্যকর।
৪. পোকামাকড়ের কামড় (Insect Bites):
মশা বা অন্য কোনো পোকামাকড়ের কামড়ের ফলে সৃষ্ট চুলকানি এবং ফোলা কমাতে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫. অন্যান্য অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া:
ত্বকের অন্যান্য অ্যালার্জিজনিত সমস্যা, যেমন একজিমা (Eczema)-এর চুলকানি কমাতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
সেট্রিজিনের মাত্রা ও সেবনবিধি
সেট্রিজিন ট্যাবলেট, সিরাপ এবং ড্রপস আকারে পাওয়া যায়। এটি খাবার আগে বা পরে গ্রহণ করা যেতে পারে।
বয়স | সাধারণ ডোজ | ফর্ম |
প্রাপ্তবয়স্ক ও ৬ বছরের বেশি শিশু | প্রতিদিন ১০ মিগ্রা (একটি ট্যাবলেট) | ট্যাবলেট / সিরাপ |
২ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশু | প্রতিদিন ৫ মিগ্রা (এক চামচ সিরাপ) | সিরাপ |
৬ মাস থেকে ২ বছর বয়সী শিশু | প্রতিদিন ২.৫ মিগ্রা (আধা চামচ সিরাপ) | সিরাপ / ড্রপস |
বিশেষ দ্রষ্টব্য: কিডনি বা লিভারের সমস্যা থাকলে ডোজ কমানোর প্রয়োজন হতে পারে। তাই ঔষধ সেবনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও সতর্কতা
সেট্রিজিন সাধারণত একটি নিরাপদ ঔষধ হিসেবে বিবেচিত, তবে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
- ঘুম ঘুম ভাব বা তন্দ্রা (Drowsiness) – যদিও এটি অন্য অ্যান্টিহিস্টামিনের চেয়ে কম।
- ক্লান্তি (Fatigue)
- মুখ শুকিয়ে যাওয়া (Dry Mouth)
- মাথাব্যথা
- পেটে হালকা অস্বস্তি
বিরল কিন্তু গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
- তীব্র অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া (Anaphylaxis), যেমন শ্বাসকষ্ট, মুখ বা গলা ফুলে যাওয়া।
- হৃদস্পন্দন দ্রুত বা অনিয়মিত হওয়া।
সতর্কতা:
- যারা গাড়ি চালান বা ভারী যন্ত্রপাতি পরিচালনা করেন, তাদের ক্ষেত্রে এই ঔষধ সেবনের পর তন্দ্রাচ্ছন্নতা আসছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।
- অ্যালকোহলের সাথে এটি সেবন করলে ঘুম ঘুম ভাব বাড়তে পারে।
- গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের সাথে কথা বলা উচিত। ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FDA) এটিকে প্রেগন্যান্সি ক্যাটাগরি ‘B’ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে, যার অর্থ প্রাণীর উপর গবেষণায় কোনো ঝুঁকি পাওয়া যায়নি, তবে মানুষের উপর পর্যাপ্ত গবেষণা নেই।
অ্যামিট্রিপটিলিন বনাম সেট্রিজিন: মূল পার্থক্য
বৈশিষ্ট্য | অ্যামিট্রিপটিলিন (Elatrol) | সেট্রিজিন (Alatrol) |
ঔষধের শ্রেণী | ট্রাইসাইক্লিক এন্টিডিপ্রেসেন্ট (TCA) | দ্বিতীয় প্রজন্মের অ্যান্টিহিস্টামিন |
মূল কাজ | মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা | হিস্টামিনের কার্যকারিতা ব্লক করা |
প্রধান ব্যবহার | বিষণ্ণতা, স্নায়ুবিক ব্যথা, মাইগ্রেন প্রতিরোধ | অ্যালার্জি, হাঁচি-কাশি, চুলকানি, আমবাত |
ঘুমের প্রভাব | شدید ঘুম ঘুম ভাব তৈরি করে | মৃদু থেকে মাঝারি ঘুম ঘুম ভাব হতে পারে |
প্রেসক্রিপশন | অবশ্যই চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন প্রয়োজন | অনেক দেশেই ওভার-দ্য-কাউন্টার (OTC) পাওয়া যায় |
প্রধান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া | মুখ শুকানো, কোষ্ঠকাঠিন্য, ওজন বৃদ্ধি, মাথা ঘোরা | তন্দ্রা, ক্লান্তি, মাথাব্যথা |
“এলাট্রল কিসের ঔষধ?”—এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে ঔষধটির মূল উপাদানের উপর। যদি এর উপাদান অ্যামিট্রিপটিলিন হয়, তবে এটি একটি শক্তিশালী ঔষধ যা বিষণ্ণতা, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা এবং মাইগ্রেনের মতো গুরুতর অবস্থার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং এটি শুধুমাত্র চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানেই গ্রহণ করা উচিত। অন্যদিকে, যদি এর উপাদান সেট্রিজিন হয় (যা বাংলাদেশে ‘অ্যালাট্রল’ নামে পরিচিত), তবে এটি অ্যালার্জির উপসর্গ নিরাময়ের জন্য একটি নিরাপদ এবং কার্যকর অ্যান্টিহিস্টামিন।
যেহেতু দুটি ঔষধের কার্যকারিতা এবং ঝুঁকি সম্পূর্ণ ভিন্ন, তাই যেকোনো বিভ্রান্তি এড়াতে ঔষধের মোড়কে লেখা জেনেরিক নাম এবং মাত্রা ভালোভাবে পরীক্ষা করে নিন। নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষায়, যেকোনো ঔষধ ব্যবহারের পূর্বে সর্বদা একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক বা ফার্মাসিস্টের সাথে পরামর্শ করুন।