আলোর উৎসবে প্রদীপের বৈচিত্র্য: দীপাবলিতে কী ধরনের প্রদীপ আপনার ঘর উজ্জ্বল করবে?

দীপাবলি, অর্থাৎ আলোর উৎসব, মূলত অশুভ শক্তির বিনাশ এবং শুভ শক্তির আগমনকে কেন্দ্র করে পালিত হয়। এই উৎসবের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো প্রদীপ বা দিয়া। অন্ধকার দূর করে আলোর বার্তা বয়ে…

Ishita Ganguly

 

দীপাবলি, অর্থাৎ আলোর উৎসব, মূলত অশুভ শক্তির বিনাশ এবং শুভ শক্তির আগমনকে কেন্দ্র করে পালিত হয়। এই উৎসবের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো প্রদীপ বা দিয়া। অন্ধকার দূর করে আলোর বার্তা বয়ে আনা এই ছোট প্রদীপগুলি কেবল একটি বস্তু নয়, বরং এটি বিশ্বাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির প্রতীক। ঐতিহ্যগতভাবে মাটির প্রদীপই দীপাবলির প্রধান আকর্ষণ হলেও, সময়ের সাথে সাথে আধুনিকতা এবং পরিবেশ-সচেতনতার ছোঁয়ায় প্রদীপের জগতে এসেছে বিপুল বৈচিত্র্য। পিতল, রুপো, পরিবেশ-বান্ধব গোবর বা আটা, এমনকি বৈদ্যুতিক LED প্রদীপ—প্রত্যেকটিরই রয়েছে নিজস্ব তাৎপর্য ও ব্যবহার। ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পোর্টালে দীপাবলিকে “আলোর সারি” বা “a row of lights” হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যা প্রদীপের গুরুত্বকেই তুলে ধরে। এই নিবন্ধে আমরা দীপাবলিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের প্রদীপ, তাদের ইতিহাস, তাৎপর্য এবং বর্তমান প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে একটি গভীর বিশ্লেষণ করব।

প্রদীপের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য

প্রদীপের ব্যবহার ভারতীয় সংস্কৃতির গভীরে প্রোথিত। এর উল্লেখ পাওয়া যায় প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ থেকে শুরু করে মহাকাব্য পর্যন্ত। দীপাবলির সাথে প্রদীপের সম্পর্ক বিশেষভাবে নিবিড়, যা মূলত ভগবান রামের চৌদ্দ বছর বনবাস শেষে অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তনের সাথে যুক্ত।

পৌরাণিক কাহিনী এবং ধর্মীয় বিশ্বাস

রামায়ণ অনুসারে, রাবণকে পরাজিত করে সীতা ও লক্ষ্মণকে নিয়ে ভগবান রাম যেদিন অযোধ্যায় ফিরেছিলেন, সেদিন ছিল অমাবস্যার রাত। তাঁর প্রিয় রাজার প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানাতে এবং পথের অন্ধকার দূর করতে অযোধ্যার সমস্ত মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট মাটির প্রদীপের আলোয় সাজিয়ে তুলেছিল। সেই থেকেই এই দিনটি অশুভ শক্তির পরাজয় এবং শুভ শক্তির বিজয়ের প্রতীক হিসেবে প্রদীপ জ্বালিয়ে উদযাপন করা হয়।

স্কন্দ পুরাণে প্রদীপকে সূর্যের অংশ বা প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটি জ্ঞান, শুদ্ধতা, সৌভাগ্য এবং সমৃদ্ধির প্রতীক। হিন্দু ধর্মানুসারে, প্রদীপের শিখা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে জ্বলে, যা মানুষকে উচ্চ আদর্শ এবং জ্ঞানের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আধ্যাত্মিক বার্তা দেয়। প্রদীপের তেল বা ঘি আমাদের ভেতরের নেতিবাচক বাসনা (যেমন—ক্রোধ, লোভ, মোহ) এবং সলতে আমাদের অহংকারকে প্রতিনিধিত্ব করে। যখন জ্ঞানের আগুন (শিখা) সেই অহংকারকে পুড়িয়ে দেয়, তখন আত্মা পরম ব্রহ্মের সাথে মিলিত হতে পারে।

দীপাবলিতে ব্যবহৃত প্রদীপের প্রকারভেদ

সময়ের সাথে সাথে মানুষের রুচি এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনের ফলে দীপাবলির প্রদীপেও নানা বৈচিত্র্য এসেছে। বর্তমানে বাজারে ঐতিহ্যবাহী থেকে শুরু করে আধুনিক এবং পরিবেশ-বান্ধব বিভিন্ন ধরনের প্রদীপ পাওয়া যায়।

১. ঐতিহ্যবাহী মাটির প্রদীপ (Terracotta Diyas)

মাটির প্রদীপ দীপাবলির সবচেয়ে প্রাচীন এবং অপরিহার্য একটি অংশ। কুমোরদের হাতে তৈরি এই প্রদীপগুলি পঞ্চতত্ত্ব বা পঞ্চভূতের (ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ, ব্যোম) প্রতীক।

  • সাধারণ মাটির প্রদীপ: এটি সবচেয়ে সহজলভ্য এবং বহুল ব্যবহৃত প্রদীপ। এর সাদামাটা রূপ স্নিগ্ধতা এবং ঐতিহ্যের বার্তা বহন করে।
  • নকশা করা মাটির প্রদীপ: বর্তমানে কুমোররা বিভিন্ন আকার এবং রঙের নকশা দিয়ে মাটির প্রদীপ তৈরি করেন, যা দেখতে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়। ফুল, পাতা, স্বস্তিক বা জ্যামিতিক নকশা এই প্রদীপগুলিকে আরও সুন্দর করে তোলে।
  • বিশেষত্ব: মাটির প্রদীপ পরিবেশ-বান্ধব এবং ব্যবহারের পর সহজেই মাটিতে মিশে যায়। এটি গ্রামীণ অর্থনীতি এবং কুটির শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে। ভারতের খাদি ও গ্রামীণ শিল্প কমিশনের (KVIC) তথ্য অনুযায়ী, দীপাবলির সময় মাটির প্রদীপের চাহিদা বহু গুণ বেড়ে যায়, যা সরাসরি গ্রামীণ কারিগরদের আর্থিক সহায়তার কারণ হয়।

২. ধাতব প্রদীপ (Metal Diyas)

স্থায়িত্ব এবং নান্দনিকতার কারণে ধাতব প্রদীপের কদর চিরকালই রয়েছে। পূজা-অর্চনা এবং বিশেষ অনুষ্ঠানে এগুলি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

  • পিতলের প্রদীপ (Brass Diya): পিতলকে হিন্দু ধর্মে একটি পবিত্র ধাতু হিসেবে গণ্য করা হয়। এর সোনালি আভা ঘরের পরিবেশে এক স্বর্গীয় অনুভূতি তৈরি করে। বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি খোদাই করা ময়ূর বা হাতির আকারের পিতলের প্রদীপ বেশ জনপ্রিয়।
  • রুপোর প্রদীপ (Silver Diya): রুপো সমৃদ্ধি এবং শুদ্ধতার প্রতীক। বিশেষ পূজা বা ধনতেরাসের দিন রুপোর প্রদীপ জ্বালানো অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। যদিও এর দাম বেশি, তবে অনেকেই বংশপরম্পরায় এটি ব্যবহার করেন।
  • ব্রোঞ্জ বা কাঁসার প্রদীপ (Bronze Diya): এর অ্যান্টিক বা পুরনো দিনের চেহারা এক রাজকীয় আবহ তৈরি করে। দক্ষিণ ভারতে এর ব্যবহার বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায়।

ধাতব প্রদীপগুলি একবার কিনলে সারাজীবন ব্যবহার করা যায় এবং এগুলি দীপাবলির পর পূজার ঘরে স্থায়ীভাবে রাখা হয়।

৩. আধুনিক ও ডিজাইনার প্রদীপ (Modern and Designer Diyas)

আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে প্রদীপের জগতেও নতুনত্বের ছোঁয়া লেগেছে। যারা ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধন পছন্দ করেন, তাদের জন্য এই প্রদীপগুলি আদর্শ।

  • ফ্লোটিং দিয়া (Floating Diya): এই প্রদীপগুলি জলভর্তি পাত্রে বা সুইমিং পুলে ভাসিয়ে রাখার জন্য তৈরি। মোম বা হালকা উপকরণ দিয়ে তৈরি এই দিয়াগুলি আলোর এক মায়াবী প্রতিফলন তৈরি করে, যা দেখতে অত্যন্ত মনোরম।
  • জেল ওয়াক্স দিয়া (Gel Wax Diya): স্বচ্ছ কাঁচের পাত্রে রঙিন জেল মোম এবং সুন্দর সজ্জা (যেমন—শুকনো ফুল, পুঁতি, ঝিনুক) দিয়ে এই প্রদীপগুলি তৈরি হয়। এগুলি দীর্ঘ সময় ধরে জ্বলে এবং ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে।
  • বৈদ্যুতিক বা LED প্রদীপ (Electric or LED Diya): ব্যস্ত জীবনে যারা তেল-সলতের ঝামেলা এড়াতে চান, তাদের জন্য LED প্রদীপ একটি চমৎকার বিকল্প। এগুলি নিরাপদ, ধোঁয়াহীন এবং বারবার ব্যবহারযোগ্য। ফোর্বস ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুরক্ষা এবং সুবিধার কারণে শহরাঞ্চলে বৈদ্যুতিক আলোর চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। তবে এটি ঐতিহ্যবাহী অনুভূতির অভাব তৈরি করে।

৪. পরিবেশ-বান্ধব প্রদীপ (Eco-friendly Diyas)

পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির সাথে সাথে দীপাবলিতে পরিবেশ-বান্ধব প্রদীপের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এই প্রদীপগুলি প্রকৃতির কোনো ক্ষতি না করেই উৎসবের আনন্দকে দ্বিগুণ করে তোলে।

  • গোবরের প্রদীপ (Cow Dung Diya): পঞ্চগব্য (দুধ, দই, ঘি, গোমূত্র এবং গোবর) দিয়ে তৈরি এই প্রদীপগুলি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক। বিশ্বাস করা হয় যে গোবরের প্রদীপ জ্বালালে তা বাতাসকে শুদ্ধ করে এবং মশা-মাছির উপদ্রব কমায়। ব্যবহারের পর এটি সার হিসেবে মাটিতে মিশে যায়।
  • আটার প্রদীপ (Flour Diya): ময়দা বা আটা মেখে হাতে তৈরি এই প্রদীপগুলিও একটি চমৎকার বিকল্প। দীপাবলির পর এগুলি পশু-পাখি বা মাছকে খাইয়ে দেওয়া যায়, ফলে কোনো বর্জ্য তৈরি হয় না।
  • নারকেলের খোল বা অন্যান্য প্রাকৃতিক উপকরণের প্রদীপ: ফেলে দেওয়া নারকেলের খোল, শুকনো পাতা বা ফলের খোসাকেও প্রদীপের মতো ব্যবহার করা হয়, যা সৃজনশীলতা এবং পরিবেশ-সচেতনতার এক দারুণ উদাহরণ।

প্রদীপ তৈরির উপকরণ এবং তার প্রভাব

প্রদীপের প্রকারভেদ মূলত তার তৈরির উপকরণের উপর নির্ভর করে। প্রতিটি উপকরণের নিজস্ব সুবিধা, অসুবিধা এবং সাংস্কৃতিক তাৎপর্য রয়েছে।

প্রদীপের প্রকার উপকরণ সুবিধা অসুবিধা সাংস্কৃতিক তাৎপর্য
মাটির প্রদীপ পোড়া মাটি সস্তা, পরিবেশ-বান্ধব, ঐতিহ্যবাহী, গ্রামীণ অর্থনীতিতে সহায়ক। ভঙ্গুর, একবার ব্যবহারযোগ্য। পঞ্চতত্ত্বের প্রতীক, মাটির সাথে মানুষের সংযোগ স্থাপন করে।
ধাতব প্রদীপ পিতল, রুপো, ব্রোঞ্জ টেকসই, পুনর্ব্যবহারযোগ্য, নান্দনিকভাবে আকর্ষণীয়। ব্যয়বহুল, নিয়মিত পরিষ্কারের প্রয়োজন। সমৃদ্ধি, স্থায়িত্ব এবং শুদ্ধতার প্রতীক।
বৈদ্যুতিক প্রদীপ প্লাস্টিক, LED বাল্ব নিরাপদ, ধোঁয়াহীন, ব্যবহার করা সহজ, দীর্ঘস্থায়ী। ঐতিহ্যবাহী অনুভূতির অভাব, বিদ্যুৎ খরচ, পরিবেশগত বর্জ্য। আধুনিকতা এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রতীক।
পরিবেশ-বান্ধব প্রদীপ গোবর, আটা, প্রাকৃতিক উপাদান ১০০% বায়োডিগ্রেডেবল, শূন্য বর্জ্য, বাতাস শুদ্ধ করে। স্থায়িত্ব কম, সহজলভ্য নাও হতে পারে। প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা এবং টেকসই জীবনযাত্রার প্রতীক।

দীপাবলির অর্থনীতিতে প্রদীপের ভূমিকা

দীপাবলি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক উৎসব নয়, এটি ভারতের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। বিশেষ করে প্রদীপ শিল্প লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়।

দ্য ইকোনমিক টাইমসের একটি বিশ্লেষণ অনুসারে, দীপাবলির সময় వినియోగকারীদের ব্যয় (consumer spending) অর্থনীতিতে একটি বড় গতি আনে। এর একটি বিশাল অংশ আসে প্রদীপ, মোমবাতি এবং অন্যান্য সজ্জাসামগ্রী বিক্রি থেকে।

  • কুটির শিল্পের প্রচার: মাটির প্রদীপ শিল্প মূলত একটি অসংগঠিত কুটির শিল্প। দীপাবলির কয়েক মাস আগে থেকে সারা দেশের কুমোর সম্প্রদায় লক্ষ লক্ষ প্রদীপ তৈরি করে। সরকারের “Vocal for Local” প্রচার এই শিল্পকে আরও উৎসাহিত করেছে, যার ফলে ভারতীয় কারিগরদের তৈরি জিনিসের চাহিদা বাড়ছে।
  • কর্মসংস্থান: প্রদীপ তৈরি, রঙ করা, প্যাকেজিং এবং বিক্রি করার প্রক্রিয়ার সাথে বহু মানুষ যুক্ত থাকেন। এটি বহু পরিবারের জন্য বছরের প্রধান আয়ের উৎস।
  • বাজারের আকার: দীপাবলির সময় প্রদীপ এবং মোমবাতির বাজার কয়েক হাজার কোটি টাকার। যদিও সস্তা চীনা বৈদ্যুতিক আলোর সাথে একটি প্রতিযোগিতা রয়েছে, তবে ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী প্রদীপের প্রতি মানুষের আবেগ এবং চাহিদা এখনও অটুট।

বাস্তুশাস্ত্র এবং জ্যোতিষশাস্ত্রে প্রদীপের স্থান

বাস্তু এবং জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, সঠিক নিয়ম মেনে প্রদীপ জ্বালালে ঘরে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার হয় এবং নেতিবাচক শক্তি দূর হয়।

  • প্রদীপ জ্বালানোর দিক: বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, প্রদীপ উত্তর বা পূর্ব দিকে মুখ করে রাখা উচিত। এতে ঘরে ধন-সম্পদ এবং সুখ-শান্তি বৃদ্ধি পায়। রান্নাঘর বা বাথরুমে প্রদীপ রাখা উচিত নয়।
  • তেলের ব্যবহার: জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, বিভিন্ন ধরনের তেল ব্যবহারে নির্দিষ্ট ফল পাওয়া যায়। যেমন:
    • ঘি: এটি সবচেয়ে পবিত্র বলে মনে করা হয়। ঘি-এর প্রদীপ জ্বালালে দেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হন এবং ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি আসে।
    • সرسের তেল: শনি গ্রহের দোষ কাটাতে এবং অশুভ শক্তি দূর করতে সরষের তেলের প্রদীপ জ্বালানো হয়।
    • তিলের তেল: দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তি পেতে এবং মানসিক শান্তি আনতে তিলের তেলের প্রদীপ অত্যন্ত উপকারী।
  • সলতের সংখ্যা: একটি সলতের প্রদীপ সাধারণ পূজার জন্য, দুটি সলতে পরিবারে ঐক্য আনে এবং পাঁচটি সলতে (পঞ্চমুখী প্রদীপ) সর্বাঙ্গীণ উন্নতির প্রতীক।

দীপাবলির প্রদীপ কেবল অন্ধকার দূর করার একটি মাধ্যম নয়, এটি হাজার বছরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, বিশ্বাস এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের এক জীবন্ত প্রতীক। মাটির সাধারণ দিয়া থেকে শুরু করে আধুনিক পরিবেশ-বান্ধব প্রদীপ পর্যন্ত এর প্রতিটি রূপই আলোর উৎসবকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে। প্রদীপের স্নিগ্ধ আলো আমাদের ভেতরের অন্ধকারকে দূর করে জ্ঞান, আশা এবং ভালোবাসার বার্তা দেয়। তাই এই দীপাবলিতে, আপনার পছন্দের প্রদীপ জ্বালিয়ে শুধু নিজের ঘর নয়, অন্যের জীবনও আলোকিত করার সংকল্প নিন এবং আলোর এই মহান উৎসবকে সার্থক করে তুলুন।

About Author
Ishita Ganguly

ঈশিতা গাঙ্গুলী ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি (IGNOU) থেকে স্নাতক। তিনি একজন উদ্যমী লেখক এবং সাংবাদিক, যিনি সমাজের বিভিন্ন দিক নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ ও অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে থাকেন। ঈশিতার লেখার ধরন স্পষ্ট, বস্তুনিষ্ঠ এবং তথ্যবহুল, যা পাঠকদের মুগ্ধ করে। তার নিবন্ধ ও প্রতিবেদনের মাধ্যমে তিনি সমাজের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে সামনে আনেন এবং পাঠকদের চিন্তা-চেতনার পরিসরকে বিস্তৃত করতে সহায়তা করেন। সাংবাদিকতার জগতে তার অটুট আগ্রহ ও নিষ্ঠা তাকে একটি স্বতন্ত্র পরিচিতি দিয়েছে, যা তাকে ভবিষ্যতে আরও সাফল্যের দিকে নিয়ে যাবে।