Health benefits of cheese: চিজ একটি জনপ্রিয় ডেইরি পণ্য যা অনেকেই পছন্দ করে খায়। তবে এর স্বাস্থ্যগত প্রভাব নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। চিজে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকলেও এতে সম্পৃক্ত চর্বি এবং সোডিয়ামের পরিমাণও বেশি। তাই চিজ খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
চিজের পুষ্টিগুণ
চিজে নিম্নলিখিত পুষ্টি উপাদানগুলি পাওয়া যায়:
- উচ্চমানের প্রোটিন
- ক্যালসিয়াম
- ভিটামিন A, B12, D
- জিংক
- ফসফরাস
- রাইবোফ্লাভিন
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ১ আউন্স চেডার চিজে প্রায় ১২০ ক্যালোরি, ৭ গ্রাম প্রোটিন এবং ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে।
৬টি ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় খাদ্য ব্র্যান্ড: ৫০+ বছর ধরে কোটি কোটি টাকার ব্যবসায় সফল”
চিজের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা
চিজ খাওয়ার কিছু সম্ভাব্য উপকারিতা রয়েছে:
হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা
চিজে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে। নিয়মিত চিজ খাওয়া অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।
দাঁতের স্বাস্থ্য উন্নতি
গবেষণায় দেখা গেছে, চিজ খাওয়ার ফলে মুখের pH মান বৃদ্ধি পায় যা দাঁতের ক্ষয় রোধে সাহায্য করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, মাঝারি পরিমাণে চিজ খাওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
চিজের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি
অন্যদিকে, চিজ খাওয়ার কিছু সম্ভাব্য ঝুঁকিও রয়েছে:
উচ্চ সম্পৃক্ত চর্বি
চিজে সম্পৃক্ত চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে। অতিরিক্ত সম্পৃক্ত চর্বি খাওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
উচ্চ সোডিয়াম
অনেক চিজেই সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণ উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়।
ক্যান্সারের ঝুঁকি
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত চিজ খাওয়া প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
কোন চিজ সীমিত বা এড়িয়ে চলা উচিত
স্বাস্থ্যগত কারণে নিম্নলিখিত চিজগুলি সীমিত বা এড়িয়ে চলা উচিত:
উচ্চ ফ্যাটযুক্ত চিজ
- ক্রিম চিজ
- মস্কারপোন
- ব্রি
- কামেম্বার্ট
এই চিজগুলিতে সম্পৃক্ত চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে।
উচ্চ সোডিয়ামযুক্ত চিজ
- ফেটা
- হালুমি
- পারমেসান
এই চিজগুলিতে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে।
প্রতিদিন দই খেলে কী হয় জানেন? এই ১০টি চমকপ্রদ উপকারিতা আপনাকে অবাক করবে!
নরম চিজ (গর্ভবতী মহিলাদের জন্য)
- ব্রি
- কামেম্বার্ট
- রোকফোর্ট
এই চিজগুলিতে লিস্টেরিয়া ব্যাকটেরিয়া থাকার ঝুঁকি বেশি।
স্বাস্থ্যকর চিজ বিকল্প
স্বাস্থ্যকর চিজ খাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত বিকল্পগুলি বেছে নেওয়া যেতে পারে:
- কম ফ্যাটযুক্ত মোজারেলা
- কটেজ চিজ
- রিকোটা চিজ
- কম ফ্যাটযুক্ত চেডার
এই চিজগুলিতে ফ্যাট ও সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকে।
চিজ খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা
চিজ খাওয়ার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত:
- পরিমিত পরিমাণে খান। দৈনিক ১-২ আউন্সের বেশি খাওয়া উচিত নয়।
- কম ফ্যাটযুক্ত চিজ বেছে নিন।
- সোডিয়াম কম আছে এমন চিজ বেছে নিন।
- গর্ভবতী মহিলাদের নরম চিজ এড়িয়ে চলা উচিত।
- ল্যাক্টোজ অসহিষ্ণুতা থাকলে ল্যাক্টোজ-মুক্ত চিজ খান।
চিজ পুষ্টিকর খাবার হলেও এর অতিরিক্ত সেবন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে এবং সঠিক প্রকারের চিজ বেছে খাওয়া উচিত। একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে আপনার জন্য উপযুক্ত চিজ নির্বাচন করা যেতে পারে। সুষম খাদ্যাভ্যাসের অংশ হিসেবে মাঝে মাঝে চিজ খাওয়া যেতে পারে।