গলা ব্যথা বা গলায় ঘা (Sore Throat), প্রায় প্রত্যেকেরই জীবনে কোনো না কোনো সময় এই অস্বস্তিকর সমস্যাটির সম্মুখীন হতে হয়েছে। ঋতু পরিবর্তনের সময় বা ঠান্ডা লাগলে গলা ব্যথা হওয়াটা খুব সাধারণ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণকেই এর জন্য দায়ী করি। কিন্তু আপনি কি জানেন, আপনার খাদ্যাভ্যাসে কিছু নির্দিষ্ট ভিটামিনের অভাবও বারবার গলায় ঘা বা ব্যথার কারণ হতে পারে? হ্যাঁ, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল করে দেওয়া থেকে শুরু করে মুখের ভেতরের স্বাস্থ্য নষ্ট করা পর্যন্ত বিভিন্নভাবে ভিটামিনের অভাব গলায় ঘা হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
সাম্প্রতিক গবেষণা এবং স্বাস্থ্য তথ্য থেকে জানা যায়, পুষ্টির ঘাটতি, বিশেষ করে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজের অভাব, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সরাসরি প্রভাবিত করে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশে অপুষ্টিজনিত সমস্যা এখনও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। চট্টগ্রামে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের মধ্যে শ্বাসতন্ত্রের অসুস্থতা, মুখের ঘা (oral sores) এবং মাড়ির সমস্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং ইউনিসেফের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সবসময়ই সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে সুষম পুষ্টির গুরুত্বের কথা বলে আসছে। এই প্রবন্ধে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব কোন কোন ভিটামিনের অভাবে গলায় ঘা হতে পারে এবং এর প্রতিকারেই বা কী করণীয়।
গলায় ঘা এবং ভিটামিনের অভাব: প্রেক্ষাপট ও কার্যকারণ (Context of Sore Throat Vitamin Deficiency)
সাধারণত, গলায় ঘা বা ফ্যারিঞ্জাইটিস (Pharyngitis) হয় মূলত ভাইরাস (যেমন সাধারণ সর্দি-কাশির ভাইরাস) বা ব্যাকটেরিয়া (যেমন স্ট্রেপ্টোকক্কাস) সংক্রমণের কারণে। তবে আমাদের শরীর কতটা সফলভাবে এই জীবাণুগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবে, তা নির্ভর করে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর। আর এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী রাখতে ভিটামিন ও খনিজের ভূমিকা অপরিসীম।
যখন শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দেয়, তখন দুটি প্রধান ঘটনা ঘটে:
১. দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা: ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি এবং জিঙ্কের মতো পুষ্টি উপাদানগুলো ইমিউন কোষগুলোকে (Immune cells) সক্রিয় ও কার্যকর রাখতে সাহায্য করে। এদের অভাব হলে শরীর জীবাণুর বিরুদ্ধে সঠিকভাবে লড়তে পারে না, ফলে সহজেই সংক্রমণ হয় এবং গলা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।
২. ক্ষতিগ্রস্ত মিউকাস মেমব্রেন: মুখের ভেতর থেকে গলা পর্যন্ত যে শ্লেষ্মা ঝিল্লি বা মিউকাস মেমব্রেন (Mucous membrane) থাকে, তা জীবাণুকে শরীরে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং ভিটামিন এ এই ঝিল্লির স্বাস্থ্য বজায় রাখতে অত্যন্ত জরুরি। এদের অভাব হলে এই প্রতিরক্ষা স্তর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ঘা বা আলসার তৈরি হতে পারে।
যেসব ভিটামিন ও খনিজের অভাবে গলায় ঘা হতে পারে
আসুন নির্দিষ্টভাবে জেনে নেওয়া যাক কোন কোন পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি আপনার গলার সমস্যার জন্য দায়ী হতে পারে।
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স (Vitamin B Complex): মুখের স্বাস্থ্যের অতন্দ্র প্রহরী
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, বিশেষ করে ভিটামিন বি২ (রিবোফ্লাভিন), বি৩ (নিয়াসিন), বি৯ (ফোলেট) এবং বি১২ (কোবালামিন), মুখের এবং গলার ভেতরের আস্তরণের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ভিটামিন বি২ (রিবোফ্লাভিন): এর অভাবে মুখে ও ঠোঁটের কোণে ঘা হয়, যা অ্যাঙ্গুলার স্টোমাটাইটিস (Angular stomatitis) নামে পরিচিত। একই সাথে জিহ্বায় প্রদাহ (Glossitis) এবং গলা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
- ভিটামিন বি৯ (ফোলেট) ও বি১২ (কোবালামিন): এই দুটি ভিটামিনের অভাবে মুখে বারবার ঘা বা অ্যাপথাস আলসার (Aphthous ulcers) দেখা দেয়। এই ঘা গলা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং খাবার গিলতে কষ্ট হয়। দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের মধ্যে, বিশেষ করে যারা নিরামিষাশী, ভিটামিন বি১২-এর অভাব বেশ সাধারণ একটি সমস্যা। একটি গবেষণা মেটা-বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে ভারতে প্রায় ৫১% মানুষের শরীরে ভিটামিন বি১২-এর অভাব রয়েছে, যা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর জন্যও একটি সতর্কবার্তা।
- আয়রনের অভাব: ভিটামিন বি১২-এর অভাবের সাথে প্রায়শই আয়রনের ঘাটতি বা অ্যানিমিয়া (Anemia) দেখা যায়। আয়রনের অভাবেও জিহ্বায় ঘা, মুখের আস্তরণ ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া এবং খাবার গিলতে অসুবিধা (Dysphagia) হতে পারে।
ভিটামিন সি (Vitamin C): রোগ প্রতিরোধের মূল শক্তি
ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এর জুড়ি নেই। এর অভাবে যেসব সমস্যা হতে পারে:
- স্কার্ভি (Scurvy): ভিটামিন সি-এর شدید অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়, যার অন্যতম লক্ষণ হলো মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, মাড়ি ফুলে যাওয়া এবং মুখের ভেতরে ঘা হওয়া।
- দুর্বল ইমিউনিটি: ভিটামিন সি শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদন এবং কার্যকারিতা বাড়ায়, যা জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। এর ঘাটতি হলে শরীর সহজেই ঠান্ডা, কাশি এবং গলা ব্যথার মতো সংক্রমণে আক্রান্ত হয়। ভারতে পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বয়স্ক জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশের মধ্যে ভিটামিন সি-এর অভাব রয়েছে, যা তাদের ঘন ঘন অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
ভিটামিন ডি (Vitamin D): ‘সুপারস্টার’ ইমিউন মডিউলেটর
হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য পরিচিত হলেও, ভিটামিন ডি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে এক অলৌকিক ভূমিকা পালন করে।
- শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধ: গবেষণা বলছে, যাদের শরীরে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা পর্যাপ্ত, তাদের শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ (যেমন ফ্লু, ব্রঙ্কাইটিস) হওয়ার ঝুঁকি কম। এই সংক্রমণগুলোই গলা ব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ।
- ব্যাপক ঘাটতি: উদ্বেগজনকভাবে, বাংলাদেশের প্রায় ৮৫-৯০% মানুষ ভিটামিন ডি-এর অভাবে ভুগছে বলে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। অপর্যাপ্ত সূর্যালোক এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে এই ঘাটতি ব্যাপক আকার ধারণ করেছে, যা மக்களை সংক্রামক রোগের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
জিঙ্ক (Zinc): কোষের মেরামত ও সুরক্ষায় অপরিহার্য
জিঙ্ক একটি অপরিহার্য খনিজ যা কোষের বৃদ্ধি, ক্ষত নিরাময় এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
- জিঙ্কের অভাব ও সংক্রমণ: ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, জিঙ্কের অভাব শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং তাদের নিউমোনিয়া ও অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলে। জিঙ্ক সাপ্লিমেন্টেশন শিশুদের মধ্যে ঠান্ডার স্থায়িত্ব এবং তীব্রতা কমাতে সাহায্য করে বলে একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত ও বৈশ্বিক পরিসংখ্যান
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বারবারই পুষ্টি এবং সংক্রামক রোগের মধ্যেকার সম্পর্ক তুলে ধরেছে। তাদের মতে, অপুষ্টি, এমনকি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের (ভিটামিন ও খনিজ) অভাবও, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এমনভাবে দুর্বল করে দেয় যে সাধারণ সংক্রমণও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে, যেখানে খাদ্যাভ্যাসে বৈচিত্র্যের অভাব এবং পুষ্টি সচেতনতা কম, সেখানে ভিটামিনের অভাবজনিত মুখের এবং গলার ঘা একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। অনেক সময়ই মানুষ এটিকে কেবল ঠান্ডা লাগা ভেবে এড়িয়ে যান, কিন্তু এর পেছনে যে পুষ্টির ঘাটতির মতো গভীর কারণ থাকতে পারে, তা ভাবা হয় না।
প্রতিকার ও প্রতিরোধের উপায় (Future Outlook & Recommendations for Sore Throat Vitamin Deficiency)
যদি আপনার ঘন ঘন গলায় ঘা হয়, তাহলে শুধুমাত্র গরম জল বা লবণ পানি দিয়ে গার্গল করাই যথেষ্ট নয়। এর মূল কারণ খুঁজে বের করা জরুরি।
১. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন:
* ভিটামিন বি কমপ্লেক্স: দুধ, ডিম, দই, চিজ, মাছ, মুরগির মাংস, কলিজা, সবুজ শাকসবজি (পালং, ব্রকোলি), ডাল এবং গোটা শস্য জাতীয় খাবার খান।
* ভিটামিন সি: লেবু, আমলকী, পেয়ারা, কমলা, জাম্বুরা, স্ট্রবেরি, পেঁপে এবং সবুজ মরিচের মতো টক জাতীয় ফল ও সবজি খাদ্যতালিকায় রাখুন।
* ভিটামিন ডি: এর প্রধান উৎস হলো সূর্যের আলো। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টার মধ্যে ১৫-২০ মিনিট সূর্যের আলো গায়ে লাগানো উচিত। এছাড়াও সামুদ্রিক মাছ, ডিমের কুসুম, মাশরুম এবং ফোর্টিফাইড দুধ থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
* জিঙ্ক: বাদাম, কুমড়োর বীজ, শিম, মুরগির মাংস এবং দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে।
২. চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ: যদি খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের পরেও সমস্যা না কমে, তবে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে তিনি আপনার শরীরে কোনো ভিটামিনের অভাব আছে কিনা তা নির্ণয় করতে পারবেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের পরামর্শ দেবেন।
৩. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন:
* পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
* ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন, কারণ এগুলো মুখের ভেতরের আস্তরণকে শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত করে।
* মুখের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।
সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ Section)
১. গলায় ঘা হলে কি ভিটামিন সি ট্যাবলেট খাওয়া উচিত?
হ্যাঁ, ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে সংক্রমণ সারাতে সাহায্য করে। চিকিৎসকের পরামর্শে আপনি ভিটামিন সি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন। তবে প্রাকৃতিক উৎস যেমন টক ফল খাওয়া সবচেয়ে ভালো।
২. কোন ভিটামিনের অভাবে জিহ্বায় ঘা হয়?
মূলত ভিটামিন বি১২, বি২ (রিবোফ্লাভিন), বি৯ (ফোলেট) এবং আয়রনের অভাবে জিহ্বায় ঘা, জ্বালাপোড়া বা লাল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
৩. বারবার গলা ব্যথার কারণ কি শুধু ভিটামিনের অভাব?
না, বারবার গলা ব্যথার পেছনে অন্যান্য কারণও থাকতে পারে, যেমন – অ্যালার্জি, অ্যাসিড রিফ্লাক্স (GERD), শুষ্ক বাতাস, ধূমপান অথবা ক্রনিক টনসিলাইটিস। যদি সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে অবশ্যই একজন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৪. ভিটামিন ডি কি সরাসরি গলা ব্যথা কমায়?
ভিটামিন ডি সরাসরি গলা ব্যথা কমায় না, তবে এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলে যাতে শরীর ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। ফলে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ এবং গলা ব্যথার ঝুঁকি কমে।
৫. শিশুদের গলায় ঘা হলে কী করণীয়?
শিশুদের ক্ষেত্রে পুষ্টির ঘাটতি খুব সাধারণ। তাদের খাদ্যতালিকায় ফল, সবজি, দুধ, ডিমের মতো পুষ্টিকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। সমস্যা গুরুতর হলে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন, কারণ তাদের ক্ষেত্রে কারণটি সংক্রমণ বা অন্য কিছুও হতে পারে।
উপসংহার
গলায় ঘা বা ব্যথাকে একটি সাধারণ সমস্যা ভেবে অবহেলা করা উচিত নয়, বিশেষ করে যদি তা বারবার হতে থাকে। এটি হতে পারে আপনার শরীরের ভেতর থেকে পাঠানো একটি সতর্কবার্তা যে আপনার খাদ্যাভ্যাসে কোনো ঘাটতি রয়েছে। একটি সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্যতালিকা শুধুমাত্র আপনার গলাকেই নয়, বরং আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখবে। তাই আপনার ডায়েটে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজ যোগ করুন এবং সুস্থ থাকুন। মনে রাখবেন, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।