Abdominal hardening during pregnancy : গর্ভাবস্থায় পেট শক্ত হওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। প্রথম ত্রৈমাসিক থেকেই অনেক মহিলা পেটে টানটান ভাব অনুভব করেন। গর্ভাবস্থার বিভিন্ন পর্যায়ে এর কারণ ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত জরায়ুর বৃদ্ধি ও শিশুর বিকাশের কারণে এমনটি হয়। তবে কখনও কখনও এটি গর্ভপাত বা অকাল প্রসবের লক্ষণও হতে পারে।
প্রথম ত্রৈমাসিকে (১-১৩ সপ্তাহ) নিম্নলিখিত কারণে পেট শক্ত হতে পারে:
জরায়ু ও ভ্রূণের বৃদ্ধির সাথে সাথে পেটের পেশী ও লিগামেন্ট প্রসারিত হয়। এর ফলে পেটে টানটান ভাব অনুভূত হয়। সাধারণত ৭-৮ সপ্তাহের দিকে এটি শুরু হয়।
হরমোনের পরিবর্তনের কারণে অন্ত্রের গতি মন্থর হয়ে যায়। এছাড়া আয়রন সাপ্লিমেন্টের কারণেও মল শক্ত হয়ে যেতে পারে। এর ফলে পেটে গ্যাস জমে পেট শক্ত হয়ে যায়
Fruits for Digestive: পেট পরিষ্কার রাখতে দারুণ কার্যকরী এই ৫ ফল!
কদাচিৎ প্রথম ত্রৈমাসিকে পেট শক্ত হওয়া গর্ভপাতের লক্ষণ হতে পারে। অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে রয়েছে:
দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (১৪-২৭ সপ্তাহ) নিম্নলিখিত কারণে পেট শক্ত হতে পারে:
জরায়ুর বৃদ্ধির সাথে সাথে রাউন্ড লিগামেন্ট প্রসারিত হয়। এর ফলে পেটের দুপাশে তীব্র ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
এই সময় থেকে অনেক মহিলা ব্র্যাক্সটন হিকস সংকোচন অনুভব করেন। এগুলো মিথ্যা প্রসব বেদনা বা অনুশীলন সংকোচন নামেও পরিচিত। এগুলো সাধারণত ৩০-৬০ সেকেন্ড স্থায়ী হয়।
তৃতীয় ত্রৈমাসিকে (২৮-৪০ সপ্তাহ) নিম্নলিখিত কারণে পেট শক্ত হতে পারে:
ব্র্যাক্সটন হিকস সংকোচন
এই সময় ব্র্যাক্সটন হিকস সংকোচন আরও বেশি অনুভূত হয়। এগুলো প্রসবের জন্য জরায়ুকে প্রস্তুত করে।
তৃতীয় ত্রৈমাসিকের শেষদিকে পেট শক্ত হওয়া প্রসব বেদনার লক্ষণ হতে পারে। প্রসব বেদনা ক্রমশ তীব্র হয় এবং নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর হয়।
গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হয় কেন? কারন এবং ১০০% উপশমের কৌশল
কারণ | করণীয় |
---|---|
পেশী প্রসারণ | বিশ্রাম নেওয়া, অবস্থান পরিবর্তন করা |
কোষ্ঠকাঠিন্য | পর্যাপ্ত পানি ও আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া |
রাউন্ড লিগামেন্ট ব্যথা | ধীরে ধীরে অবস্থান পরিবর্তন করা |
ব্র্যাক্সটন হিকস | হাঁটাহাঁটি করা, পানি পান করা |
প্রসব বেদনা | চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া |
নিম্নলিখিত লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে:
গর্ভাবস্থায় পেট শক্ত হওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি স্বাভাবিক এবং চিন্তার কারণ নয়। তবে কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নিয়মিত পরীক্ষা করানো এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।