Windows 11 Unknown Feature: সর্বশেষ অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ১১ এর প্রকাশ্য ফিচারগুলো নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও, এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়ে গেছে অনালোচিত। আজ আমরা এমন ১১টি কম পরিচিত ফিচার নিয়ে আলোচনা করব, যা আপনার কম্পিউটার ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে উন্নত করতে পারে।
উইন্ডোজ ১১ এ ভার্চুয়াল ডেস্কটপ ফিচারটি আরও শক্তিশালী হয়েছে। আপনি এখন সহজেই একাধিক ডেস্কটপ তৈরি করে আলাদা আলাদা কাজের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। Win+Tab চেপে আপনি সহজেই ডেস্কটপগুলো মধ্যে স্যুইচ করতে পারবেন।
স্ন্যাপ লেআউট ও স্ন্যাপ গ্রুপ ফিচারটি মাল্টিটাস্কিং কে আরও সহজ করেছে। কোনো উইন্ডো ম্যাক্সিমাইজ করার আইকনে মাউস নিয়ে গেলে বিভিন্ন লেআউট অপশন দেখতে পাবেন। এছাড়া একবার সাজানো উইন্ডোগুলো গ্রুপ আকারে সেভ করে রাখা যায়।
পাওয়ার থ্রটলিং এর মাধ্যমে উইন্ডোজ ১১ স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ডিভাইসের পারফরম্যান্স ও ব্যাটারি লাইফ অপ্টিমাইজ করে। এটি প্রসেসর ও অন্যান্য হার্ডওয়্যারের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে যাতে প্রয়োজনীয় পারফরম্যান্স পাওয়া যায় কিন্তু অতিরিক্ত শক্তি ব্যয় না হয়।
ডাইনামিক রিফ্রেশ রেট ফিচারটি আপনার স্ক্রিনের রিফ্রেশ রেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে সামঞ্জস্য করে। যখন উচ্চ রিফ্রেশ রেটের প্রয়োজন হয় (যেমন গেমিং এ) তখন তা বাড়িয়ে দেয়, আবার যখন কম প্রয়োজন (যেমন ডকুমেন্ট পড়ার সময়) তখন কমিয়ে দেয়। এটি ব্যাটারি সাশ্রয় করতে সাহায্য করে।
TPM ২.০ সাপোর্ট উইন্ডোজ ১১ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ফিচার। এটি হার্ডওয়্যার-ভিত্তিক সুরক্ষা প্রদান করে যা হ্যাকিং ও ম্যালওয়্যার থেকে আপনার সিস্টেমকে রক্ষা করে।
ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আপনি সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন কোন অ্যাপ আপনার ক্যামেরা বা মাইক্রোফোন ব্যবহার করতে পারবে। Settings > Privacy & Security > Camera/Microphone এ গিয়ে এই সেটিংস পরিবর্তন করা যায়।
ফোকাস সেশন ফিচারটি আপনাকে বিভ্রান্তি এড়িয়ে কাজে মনোযোগী হতে সাহায্য করে। এটি নোটিফিকেশন বন্ধ করে দেয় এবং টাস্ক বার থেকে অপ্রয়োজনীয় আইকন সরিয়ে ফেলে।
ক্লিপবোর্ড হিস্টরি ফিচারটি আপনার সাম্প্রতিক কপি করা আইটেমগুলোর একটি তালিকা সংরক্ষণ করে। Win+V চেপে আপনি এই তালিকা দেখতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় আইটেম বেছে নিতে পারেন।
অটো HDR ফিচারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে গেম ও ভিডিওর রং ও উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়। এটি সাধারণ কন্টেন্টকে HDR মানের কাছাকাছি নিয়ে আসে, যা ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতাকে উন্নত করে।
DirectStorage টেকনোলজি গেমিং অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করে। এটি গেমের লোডিং সময় কমিয়ে দেয় এবং বড় ওপেন ওয়ার্ল্ড গেমে নতুন এলাকায় প্রবেশের সময় লোডিং স্ক্রিন দেখানোর প্রয়োজন কমিয়ে দেয়।
উইন্ডোজ ১১ এ কিছু লুকানো থিম সেটিংস রয়েছে। রেজিস্ট্রি এডিটর ব্যবহার করে আপনি এই সেটিংসগুলো অ্যাক্সেস করতে পারেন এবং অপারেটিং সিস্টেমের চেহারা আরও বেশি কাস্টমাইজ করতে পারেন।
স্টার্ট মেনু পারসোনালাইজেশন এর মাধ্যমে আপনি স্টার্ট মেনুর আকার পরিবর্তন করতে পারেন, পিন করা অ্যাপের সংখ্যা নির্ধারণ করতে পারেন, এবং সাম্প্রতিক ফাইল বা অ্যাপ দেখানো বন্ধ করতে পারেন।
ট্যাবড ফাইল এক্সপ্লোরার ফিচারটি ফাইল ম্যানেজমেন্টকে আরও সহজ করেছে। আপনি এখন একাধিক ফোল্ডার একই উইন্ডোতে খুলতে পারেন, ঠিক ব্রাউজারের ট্যাবের মতো।
স্মার্ট রিনেম ফাংশন দিয়ে আপনি একসাথে অনেকগুলো ফাইলের নাম পরিবর্তন করতে পারেন। এটি ফাইলের ধরন অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে নামকরণের প্যাটার্ন প্রস্তাব করে।
হাপটিক ফিডব্যাক ফিচারটি টাচস্ক্রিন ডিভাইসে ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরও স্বাভাবিক করে তোলে। এটি টাচ ইনপুটের সময় ছোট কম্পন সৃষ্টি করে যা আসল বাটন টিপার অনুভূতি দেয়।
জেস্চার নেভিগেশন এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন স্বাইপ ও টাচ জেস্চার ব্যবহার করে সিস্টেম নেভিগেট করতে পারেন। এটি ট্যাবলেট মোডে বিশেষভাবে উপযোগী।
উইন্ডোজ কপাইলট ইন্টিগ্রেশন উইন্ডোজ ১১ এর একটি নতুন যোগ। এটি একটি AI সহকারী যা আপনাকে বিভিন্ন কাজে সাহায্য করতে পারে, যেমন লেখা সংক্ষিপ্ত করা, ইমেজ এডিটিং, কোড লেখা ইত্যাদি।
স্মার্ট টেক্সট প্রেডিকশন ফিচারটি আপনার টাইপিং স্পীড বাড়াতে সাহায্য করে। এটি আপনার লেখার ধরন শিখে নেয় এবং সম্ভাব্য শব্দ বা বাক্যাংশ সাজেস্ট করে।
উইন্ডোজ ১১ এর এই গোপন ফিচারগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার কম্পিউটিং অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত ও ব্যক্তিগতকৃত করতে পারেন। মাইক্রোসফট নিয়মিত আপডেটের মাধ্যমে নতুন ফিচার যোগ করছে, তাই সর্বশেষ আপডেট ইনস্টল করা নিশ্চিত করুন।
মন্তব্য করুন