উমানন্দ দ্বীপের নামকরণের পিছনে রয়েছে একটি পৌরাণিক কাহিনী। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, ভগবান শিব তাঁর প্রিয় পত্নী পার্বতীর (উমা) আনন্দের জন্য এই দ্বীপটি সৃষ্টি করেছিলেন। তাই এর নাম হয়েছে উমানন্দ – যেখানে ‘উমা’ অর্থ দেবী পার্বতী এবং ‘আনন্দ’ অর্থ আনন্দ বা সুখ। কিংবদন্তি অনুযায়ী, শিব নিজেও এখানে ভয়ানন্দ রূপে বাস করতেন।এই দ্বীপের আরেকটি নাম ভস্মাচল। পুরাণে বলা হয়েছে, একবার শিব এখানে গভীর ধ্যানে মগ্ন ছিলেন। সেই সময় কামদেব (প্রেমের দেবতা) এসে তাঁর ধ্যান ভঙ্গ করেন। ক্রুদ্ধ শিব তখন তাঁর তৃতীয় নেত্র দিয়ে কামদেবকে ভস্ম করে দেন। তাই এই স্থানের নাম হয় ভস্মাচল – যার অর্থ ‘ছাইয়ের পাহাড়’।
মন্দিরটির বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপ:
- এটি পারম্পরিক অসমীয় স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত।
- মন্দিরের দেয়ালে হিন্দু দেবদেবীদের মূর্তি ও ভাস্কর্য রয়েছে, যেমন সূর্য, শিব, গণেশ ও দেবী।
- মন্দিরের আশেপাশে বিষ্ণু ও তাঁর দশ অবতারের মূর্তি রয়েছে।
- ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে মন্দিরটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পরে তা পুনর্নির্মাণ করা হয়।
- পুনর্নির্মাণের সময় মন্দিরের অভ্যন্তরে বৈষ্ণব লিপি যোগ করা হয়।
- মন্দিরের গর্ভগৃহে একটি ছোট শিবলিঙ্গ ও পার্বতী মূর্তি রয়েছে।
- মন্দিরে প্রবেশের আগে প্রায় ১০০টি সিঁড়ি উঠতে হয়।
এছাড়াও দ্বীপে গণেশ, হরগৌরী, বৈদ্যনাথ, চলন্তিকা ও চন্দ্রশেখরের মন্দির রয়েছে। সামগ্রিকভাবে, উমানন্দ মন্দির ও অন্যান্য মন্দিরগুলি এই ক্ষুদ্র দ্বীপের ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব প্রতিফলিত করে।উমানন্দ দ্বীপের প্রধান স্থাপত্য হল উমানন্দ মন্দির, যা পারম্পরিক অসমীয়া স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত। এই মন্দিরের কিছু বিশেষ নকশাগত বৈশিষ্ট্য রয়েছে:
এই সব বৈশিষ্ট্য উমানন্দ মন্দিরকে একটি অনন্য ও আকর্ষণীয় স্থাপত্যে পরিণত করেছে।