প্রতীক্ষার অবসান! Xiaomi 15T vs OnePlus 12: ক্যামেরার রাজা কে? পারফরম্যান্স, দাম ও স্পেসিফিকেশনের চূড়ান্ত লড়াই।

ভারতের স্মার্টফোন বাজারে ফ্ল্যাগশিপ সেগমেন্টে প্রতিযোগিতা সবসময়ের মতোই তুঙ্গে। একদিকে OnePlus তাদের প্রমাণিত পারফর্মার OnePlus 12 দিয়ে নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছে, অন্যদিকে টেক উত্সাহীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে Xiaomi-এর পরবর্তী…

Soumya Chatterjee

 

ভারতের স্মার্টফোন বাজারে ফ্ল্যাগশিপ সেগমেন্টে প্রতিযোগিতা সবসময়ের মতোই তুঙ্গে। একদিকে OnePlus তাদের প্রমাণিত পারফর্মার OnePlus 12 দিয়ে নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছে, অন্যদিকে টেক উত্সাহীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে Xiaomi-এর পরবর্তী ‘T’ সিরিজের ধামাকা, Xiaomi 15T-এর জন্য। যদিও OnePlus 12 বাজারে একটি প্রতিষ্ঠিত নাম, Xiaomi 15T এখনও লঞ্চ হয়নি এবং এর তথ্যগুলি বিভিন্ন বিশ্বস্ত টেক লিকস এবং রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এই আর্টিকেলে আমরা OnePlus 12-এর নিশ্চিত স্পেসিফিকেশনের সাথে Xiaomi 15T-এর প্রত্যাশিত বৈশিষ্ট্যগুলির একটি বিস্তারিত এবং নিরপেক্ষ তুলনা করব, যাতে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কোন ফোনটি আপনার জন্য সেরা হতে পারে। আমরা ফোন দুটির ডিজাইন, ডিসপ্লে, পারফরম্যান্স, ক্যামেরা, ব্যাটারি এবং মূল্যের মতো প্রতিটি দিক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করব

Xiaomi 15T বনাম OnePlus 12: এক নজরে মূল পার্থক্য

সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, চলুন এক নজরে দুটি ফোনের প্রধান প্রত্যাশিত এবং নিশ্চিত বৈশিষ্ট্যগুলি দেখে নিই। এটি আপনাকে একটি প্রাথমিক ধারণা দেবে।

বৈশিষ্ট্য (Feature) OnePlus 12 (নিশ্চিত) Xiaomi 15T (সম্ভাব্য/প্রত্যাশিত)
প্রসেসর Qualcomm Snapdragon 8 Gen 3 Qualcomm Snapdragon 8 Gen 3 / Gen 4
ডিসপ্লে 6.82″ QHD+ 120Hz ProXDR LTPO AMOLED 6.67″ 1.5K 144Hz CrystalRes AMOLED
প্রধান ক্যামেরা 50MP Sony LYT-808 (Hasselblad টিউনিং) 200MP Samsung HP3 / 50MP Sony IMX (Leica টিউনিং)
টেলিফটো ক্যামেরা 64MP পেরিস্কোপ (3x অপটিক্যাল জুম) 50MP টেলিফটো (2x/3x অপটিক্যাল জুম)
ব্যাটারি 5400 mAh 5000 mAh
চার্জিং 100W তারযুক্ত, 50W ওয়্যারলেস 120W / 150W তারযুক্ত, 50W ওয়্যারলেস
সফটওয়্যার OxygenOS (Android 14) HyperOS (Android 15)
সর্বোচ্চ ব্রাইটনেস 4500 নিটস (পিক) 2800+ নিটস (পিক)
সুরক্ষা Gorilla Glass Victus 2 Gorilla Glass Victus 2 / Victus 3

দ্রষ্টব্য: Xiaomi 15T-এর স্পেসিফিকেশনগুলি বিশ্বস্ত প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট যেমন Android Authority এর মতো প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত লিকস এবং রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে তৈরি। চূড়ান্ত পণ্যে এর পরিবর্তন হতে পারে।

ডিজাইন ও ডিসপ্লে: চোখের আরাম এবং হাতের প্রিমিয়াম অনুভূতি

যেকোনো ফ্ল্যাগশিপ ফোনের প্রথম আকর্ষণ হলো তার ডিজাইন এবং ডিসপ্লে। এই ক্ষেত্রে OnePlus এবং Xiaomi উভয়েই তাদের নিজস্ব পরিচিতি তৈরি করেছে।

OnePlus 12: পরিচিত এলিগেন্স

OnePlus 12 তার পূর্বসূরীদের মতোই একটি চেনা অথচ পরিমার্জিত ডিজাইন নিয়ে এসেছে। এর পেছনের দিকে থাকা गोलाকার ক্যামেরা মডিউলটি, যা একটি বিলাসবহুল ঘড়ির ডায়াল থেকে অনুপ্রাণিত, ফোনটিকে একটি স্বতন্ত্র পরিচয় দেয়। অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেম এবং Gorilla Glass Victus 2-এর সুরক্ষা এটিকে কেবল সুন্দরই নয়, টেকসইও করে তুলেছে। হাতে নিলে ফোনটি বেশ প্রিমিয়াম অনুভূতি দেয়।

ডিসপ্লের ক্ষেত্রে OnePlus 12 এককথায় অসাধারণ। এতে রয়েছে 6.82-ইঞ্চির একটি QHD+ (3168 x 1440) ProXDR LTPO 4.0 AMOLED ডিসপ্লে। এর প্রধান আকর্ষণ হলো 4500 নিটস-এর অভাবনীয় পিক ব্রাইটনেস, যা সরাসরি সূর্যের আলোতেও কন্টেন্ট দেখতে কোনো সমস্যা হতে দেয় না। 1Hz থেকে 120Hz অ্যাডাপ্টিভ রিফ্রেশ রেট থাকার কারণে এটি যেমন মসৃণ স্ক্রোলিং অভিজ্ঞতা দেয়, তেমনই ব্যাটারি সাশ্রয় করে। Dolby Vision এবং HDR10+ সাপোর্ট থাকায় ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতা হয় চমৎকার।

Xiaomi 15T: নতুন চমকের প্রত্যাশা

Xiaomi-এর ‘T’ সিরিজ সাধারণত ফ্ল্যাট ডিসপ্লে এবং একটি আধুনিক, মিনিমালিস্টিক ডিজাইনের জন্য পরিচিত। আশা করা হচ্ছে Xiaomi 15T-ও তার ব্যতিক্রম হবে না। লিকস অনুযায়ী, এতে একটি ফ্ল্যাট অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেম এবং একটি নতুন ডিজাইনের ক্যামেরা আইল্যান্ড থাকতে পারে, যা এটিকে Xiaomi 15 সিরিজের অন্যান্য ফোন থেকে আলাদা করবে।

ডিসপ্লের ক্ষেত্রে, Xiaomi 15T-তে একটি 6.67-ইঞ্চির 1.5K CrystalRes AMOLED প্যানেল থাকার সম্ভাবনা প্রবল। যদিও রেজোলিউশন OnePlus 12-এর থেকে কিছুটা কম হতে পারে, তবে এর প্রধান আকর্ষণ হতে পারে 144Hz রিফ্রেশ রেট, যা গেমিং এবং দ্রুত স্ক্রোলিং-এ আরও মসৃণ অভিজ্ঞতা দেবে। এর পিক ব্রাইটনেস 2800 নিটস বা তার বেশি হতে পারে, যা দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য যথেষ্টর চেয়েও বেশি। Xiaomi তাদের ডিসপ্লেতে দারুণ কালার অ্যাকুরেসি এবং কাস্টমাইজেশন অপশন দিয়ে থাকে, যা 15T-তেও প্রত্যাশিত।

পারফরম্যান্স ও হার্ডওয়্যার: গতির লড়াইয়ে কে জিতবে?

একটি ফ্ল্যাগশিপ ফোনের আসল পরিচয় তার পারফরম্যান্সে। এখানে প্রসেসর, র‍্যাম এবং সফটওয়্যার অপটিমাইজেশন মূল ভূমিকা পালন করে।

 প্রসেসর: Snapdragon-এর শক্তি

OnePlus 12 ফোনে রয়েছে বর্তমানে উপলব্ধ অন্যতম শক্তিশালী চিপসেট Qualcomm Snapdragon 8 Gen 3। এই 4nm প্রসেসরটি দৈনন্দিন কাজ থেকে শুরু করে হাই-এন্ড গেমিং পর্যন্ত সবকিছুই অনায়াসে সামলাতে পারে। এর উন্নত AI ক্ষমতা এবং পাওয়ার এফিসিয়েন্সি এটিকে একটি সম্পূর্ণ প্যাকেজ করে তুলেছে। Qualcomm-এর অফিসিয়াল তথ্য অনুযায়ী, এটি আগের জেনারেশনের তুলনায় 30% দ্রুত CPU এবং 25% দ্রুত GPU পারফরম্যান্স প্রদান করে।

অন্যদিকে, Xiaomi 15T-এর লঞ্চের সময় একটি বড় ফ্যাক্টর হবে। যদি এটি বছরের শেষের দিকে আসে, তবে এতেও Snapdragon 8 Gen 3 ব্যবহার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে, যদি Xiaomi কোনো চমক দিতে চায় এবং লঞ্চটি 2025 সালের শুরুর দিকে হয়, তবে আমরা হয়তো নতুন Snapdragon 8 Gen 4 চিপসেটও দেখতে পারি। যদি 8 Gen 4 ব্যবহার করা হয়, তবে পারফরম্যান্সের দিক থেকে এটি OnePlus 12-কে সহজেই পেছনে ফেলে দেবে।

 র‍্যাম, স্টোরেজ এবং সফটওয়্যার

OnePlus 12-এ 16GB পর্যন্ত LPDDR5X RAM এবং 512GB পর্যন্ত UFS 4.0 স্টোরেজ পাওয়া যায়, যা মাল্টিটাস্কিং এবং অ্যাপ লোডিং-এর জন্য অসাধারণ গতি নিশ্চিত করে। এর সাথে রয়েছে OxygenOS 14, যা Android 14-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। OxygenOS তার ক্লিন ইন্টারফেস এবং কম ব্লোটওয়্যারের জন্য পরিচিত, যা ব্যবহারকারীদের একটি মসৃণ অভিজ্ঞতা দেয়।

Xiaomi 15T-তেও আমরা LPDDR5X RAM এবং UFS 4.0 স্টোরেজ আশা করতে পারি। তবে, সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে Xiaomi এখন তাদের নতুন HyperOS ব্যবহার করছে। HyperOS অনেক বেশি ফিচার-সমৃদ্ধ এবং Xiaomi-এর ইকোসিস্টেমের সাথে গভীরভাবে সংযুক্ত। যদিও এতে কিছু প্রি-ইনস্টলড অ্যাপ থাকতে পারে, তবে এর পারফরম্যান্স অপটিমাইজেশন এবং কাস্টমাইজেশন অপশনগুলো অনেক ব্যবহারকারীর কাছে আকর্ষণীয় মনে হতে পারে। আশা করা যায়, 15T সরাসরি Android 15 এবং HyperOS 2.0 নিয়ে লঞ্চ হবে।

ক্যামেরা: Hasselblad বনাম Leica-এর শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই

বর্তমানে ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার অন্যতম প্রধান কারণ হলো তার ক্যামেরা। এই বিভাগে OnePlus এবং Xiaomi দুটি ভিন্ন দর্শন অনুসরণ করে।

OnePlus 12: Hasselblad-এর ন্যাচারাল কালার

OnePlus তাদের ক্যামেরার জন্য বিখ্যাত সুইডিশ ক্যামেরা নির্মাতা Hasselblad-এর সাথে পার্টনারশিপ করেছে। এর ফলাফল হলো OnePlus 12-এর অসাধারণ ক্যামেরা সিস্টেম।

  • প্রধান ক্যামেরা: 50MP Sony LYT-808 সেন্সর (f/1.6 অ্যাপারচার এবং OIS সহ)। এটি দুর্দান্ত ডিটেইলস এবং ডাইনামিক রেঞ্জ সহ ছবি তোলে।
  • আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা: 48MP Sony IMX581 সেন্সর, যা ম্যাক্রো শটের জন্যও কাজ করে।
  • পেরিস্কোপ টেলিফটো: 64MP OmniVision OV64B সেন্সর, যা 3x অপটিক্যাল জুম এবং 120x পর্যন্ত ডিজিটাল জুম সাপোর্ট করে।

Hasselblad-এর কালার সায়েন্সের কারণে OnePlus 12-এর ছবিগুলিতে একটি অত্যন্ত প্রাকৃতিক এবং বাস্তবসম্মত রঙের ছোঁয়া পাওয়া যায়, যা অনেক ফটোগ্রাফি উত্সাহীর পছন্দ। বিভিন্ন রিভিউ প্ল্যাটফর্ম, যেমন DXOMARK, এর ক্যামেরা পারফরম্যান্সকে উচ্চ রেটিং দিয়েছে, বিশেষ করে এর পোট্রেট মোড এবং টেলিফটো ক্ষমতার জন্য।

Xiaomi 15T: Leica-এর ভাইব্র্যান্ট শটস

Xiaomi তাদের ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলির জন্য কিংবদন্তী জার্মান ক্যামেরা ব্র্যান্ড Leica-এর সাথে কাজ করে। Xiaomi 15T-তেও এই পার্টনারশিপ অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

  • প্রধান ক্যামেরা: লিকস অনুযায়ী, এতে একটি 200MP Samsung HP3 সেন্সর অথবা একটি নতুন 50MP Sony সেন্সর ব্যবহার করা হতে পারে। Leica-এর সাথে টিউন করা এই ক্যামেরাটি অসাধারণ ডিটেইলস এবং ভাইব্র্যান্ট কালার প্রদান করবে বলে আশা করা যায়।
  • আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা: একটি হাই-রেজোলিউশন 50MP সেন্সর থাকতে পারে।
  • টেলিফটো ক্যামেরা: 50MP সেন্সর সহ একটি 2x বা 3x অপটিক্যাল জুম লেন্স প্রত্যাশিত।

Leica-এর দুটি সিগনেচার মোড – Leica Authentic (ন্যাচারাল লুক) এবং Leica Vibrant (কনট্রাস্ট এবং স্যাচুরেশন বাড়ানো) – ব্যবহারকারীদের তাদের পছন্দ অনুযায়ী ছবি তোলার স্বাধীনতা দেবে। ভিডিও রেকর্ডিং-এর ক্ষেত্রেও Xiaomi বেশ কিছু উন্নত ফিচার, যেমন 8K রেকর্ডিং এবং প্রো-লেভেল কন্ট্রোল, অফার করতে পারে।

ব্যাটারি ও চার্জিং: গতির নতুন সংজ্ঞা

ব্যাটারি লাইফ এবং চার্জিং স্পিড এখনকার দিনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই ক্ষেত্রে দুটি ফোনই খুব শক্তিশালী প্রতিযোগী।

OnePlus 12-এ একটি বিশাল 5400 mAh ব্যাটারি রয়েছে, যা স্বাভাবিক ব্যবহারে সহজেই দেড় থেকে দুই দিন পর্যন্ত চলতে পারে। এর সাথে বক্সের মধ্যেই একটি 100W SUPERVOOC চার্জার দেওয়া হয়, যা মাত্র 26-28 মিনিটের মধ্যে ফোনটিকে 1% থেকে 100% চার্জ করতে পারে। এছাড়াও, এতে 50W AIRVOOC ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট রয়েছে, যা ফ্ল্যাগশিপ ফোনের জন্য একটি আবশ্যকীয় ফিচার।

অন্যদিকে, Xiaomi চার্জিং প্রযুক্তিতে বরাবরই বাজারের নেতা। Xiaomi 15T-তে একটি 5000 mAh ব্যাটারি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও ব্যাটারির আকার OnePlus 12-এর থেকে কিছুটা ছোট হতে পারে, তবে এর চার্জিং গতি হতে পারে অবিশ্বাস্য। রিপোর্ট অনুযায়ী, এতে 120W বা এমনকি 150W HyperCharge প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে পারে। যদি 150W চার্জিং থাকে, তবে ফোনটি সম্পূর্ণ চার্জ হতে মাত্র 15-18 মিনিট সময় লাগতে পারে। 50W ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্টও প্রত্যাশিত।

দাম ও ভ্যালু ফর মানি

OnePlus 12 ভারতে ₹64,999 থেকে শুরু হয়েছে এর বেস ভেরিয়েন্টের জন্য। এই দামে এটি একটি শক্তিশালী অল-রাউন্ড প্যাকেজ অফার করে।

Xiaomi-এর ‘T’ সিরিজ সাধারণত তাদের ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোর থেকে কিছুটা কম দামে লঞ্চ হয়, তবে ফিচার প্রায় একই রকম থাকে। এই ট্রেন্ড অনুযায়ী, ভারতে Xiaomi 15T-এর দাম ₹50,000 থেকে ₹60,000-এর মধ্যে শুরু হতে পারে। যদি এই দামে এটি Snapdragon 8 Gen 4 (বা Gen 3), একটি Leica ক্যামেরা সিস্টেম এবং 120W/150W চার্জিং অফার করে, তবে এটি “ফ্ল্যাগশিপ কিলার” হিসেবে OnePlus 12-এর জন্য একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। ভারতের বাজারে এর দামের তথ্য বিভিন্ন অনলাইন রিটেলর যেমন Amazon India থেকে লঞ্চের পর যাচাই করা যাবে।

চূড়ান্ত রায়: আপনার জন্য কোনটি সেরা?

সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত চাহিদা এবং পছন্দের উপর নির্ভর করে।

OnePlus 12 আপনার জন্য সেরা যদি:

  • আপনি একটি প্রমাণিত এবং নির্ভরযোগ্য অল-রাউন্ডার ফ্ল্যাগশিপ চান।
  • একটি ক্লিন, ব্লোটওয়্যার-মুক্ত সফটওয়্যার অভিজ্ঞতা আপনার অগ্রাধিকার।
  • ন্যাচারাল কালার টোন সহ একটি শক্তিশালী এবং ভার্সেটাইল ক্যামেরা সিস্টেম আপনার প্রয়োজন।
  • আপনি এখনই একটি নতুন ফোন কিনতে চান।

Xiaomi 15T আপনার জন্য সেরা হতে পারে যদি:

  • আপনি লেটেস্ট প্রযুক্তি এবং সম্ভাব্য সেরা পারফরম্যান্স (যেমন Snapdragon 8 Gen 4) চান।
  • অবিশ্বাস্য দ্রুত চার্জিং স্পিড আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • Leica-এর সিগনেচার ভাইব্র্যান্ট ফটোগ্রাফি স্টাইল আপনার পছন্দ।
  • আপনি একটি নতুন ফোনের জন্য কয়েক মাস অপেক্ষা করতে রাজি আছেন এবং একটি সম্ভাব্য প্রতিযোগিতামূলক দাম চান।

উভয় ফোনই ফ্ল্যাগশিপ সেগমেন্টের শক্তিশালী প্রতিযোগী। OnePlus 12 একটি নিরাপদ এবং পরীক্ষিত বিকল্প, যেখানে Xiaomi 15T একটি উত্তেজনাপূর্ণ এবং সম্ভাব্য গেম-চেঞ্জার প্যাকেজ হিসেবে আসতে চলেছে।

About Author
Soumya Chatterjee

সৌম্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক এবং প্রযুক্তি বিষয়ক লেখালিখিতে বিশেষ আগ্রহী। তিনি একজন উদ্যমী লেখক, যিনি প্রযুক্তির জটিল ধারণাগুলোকে সহজভাবে উপস্থাপন করতে দক্ষ। তার লেখার মূল ক্ষেত্রগুলোতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে নতুন প্রযুক্তি, গ্যাজেট রিভিউ, সফটওয়্যার গাইড, এবং উদীয়মান টেক প্রবণতা। সৌম্যর প্রাঞ্জল ও তথ্যবহুল লেখনী পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রযুক্তি সম্পর্কে তার গভীর জ্ঞান এবং অনুসন্ধিৎসু মনোভাব তাকে পাঠকদের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয় করে তুলেছে। টেক জগতে চলমান পরিবর্তনগুলির সাথে তাল মিলিয়ে সৌম্য সর্বদা নতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ বিষয়বস্তু নিয়ে আসতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।