Manoshi Das
১২ মার্চ ২০২৫, ৩:৫৬ অপরাহ্ণ
অনলাইন সংস্করণ

কলকাতার Zakaria Street-এর মাস্ট ভিজিট ফুড স্টল: একটি খাদ্যপ্রেমীর স্বর্গভূমি

Must-try dishes Zakaria Street Kolkata: কলকাতা শহরের হৃদয়ে যদি কোথাও খাবারের স্বর্গ খুঁজে পাওয়া যায়, তবে তা নিঃসন্দেহে Zakaria Street। এই রাস্তাটি শুধুমাত্র একটি সাধারণ গলি নয়, বরং এটি খাদ্যপ্রেমীদের জন্য একটি উৎসবের মঞ্চ। বিশেষ করে রমজানের সময় এখানকার খাবারের স্টলগুলো যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে। কাবাবের ঝাঁঝালো গন্ধ, বিরিয়ানির সুগন্ধ, আর মিষ্টির মোহনীয় টান—সব মিলিয়ে Zakaria Street-এর ফুড স্টলগুলো আপনাকে এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা দেবে। আপনি যদি কলকাতায় থাকেন বা এই শহরে ঘুরতে আসেন, তবে এই রাস্তার কিছু বিখ্যাত ফুড স্টল ভিজিট না করলে আপনার খাদ্যযাত্রা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। এই ব্লগে আমরা আপনাকে নিয়ে যাব Zakaria Street-এর সেই মাস্ট ভিজিট ফুড স্টলগুলোর খোঁজে, যেখানে স্বাদের সঙ্গে মিশে আছে ঐতিহ্য আর ভালোবাসা। তাহলে চলুন, শুরু করা যাক এই সুস্বাদু সফর!

Zakaria Street-এর খাবারের জগৎ: এক নজরে

Zakaria Street কলকাতার চিৎপুর এলাকায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক রাস্তা, যেটি নাখোদা মসজিদের কাছাকাছি বিস্তৃত। এই রাস্তাটি শুধুমাত্র খাবারের জন্যই নয়, এর পুরনো দিনের স্থাপত্য আর সংস্কৃতির জন্যও বিখ্যাত। তবে রমজানের সময় এখানে যে পরিবর্তন আসে, তা এক কথায় অসাধারণ। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় ইফতারের জন্য খাবারের মেলা। কাবাব, হালিম, বিরিয়ানি, ফালুদা, শিরমাল—এমন কিছুই বাদ যায় না, যা খাদ্যপ্রেমীদের মন ভরিয়ে না দেয়। এখানকার ফুড স্টলগুলোর বিশেষত্ব হলো, এগুলো প্রায় সবই পরিবারের হাতে পরিচালিত এবং কয়েক প্রজন্ম ধরে চলে আসছে। তাই প্রতিটি খাবারে মিশে থাকে ঐতিহ্যের ছোঁয়া। এই ব্লগে আমরা আলোচনা করব Zakaria Street-এর সেই সব ফুড স্টল নিয়ে, যেগুলো মিস করা মানে স্বাদের একটা বড় অংশ মিস করা।

কলকাতার সেরা ১০ বনেদি বাড়ির পুজো: ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মিলনমেলা

Zakaria Street-এর ফুড স্টল: ইতিহাস ও স্বাদের মেলবন্ধন

Zakaria Street-এর খাবারের গল্প শুরু হয় শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্য থেকে। এই রাস্তার নামকরণ হয়েছে হaji জাকারিয়া নামে একজন কুচি মেমন ব্যবসায়ীর নামে, যিনি উনবিংশ শতাব্দীতে এখানে বসতি স্থাপন করেছিলেন। ব্রিটিশ আমলে এটি ‘Jacquaria Street’ নামে পরিচিত ছিল। তবে আজ এটি কলকাতার মুঘলাই এবং আওয়াধি খাবারের একটি প্রধান কেন্দ্র। নাখোদা মসজিদের ছায়ায় গড়ে ওঠা এই রাস্তায় রমজানের সময় শতাধিক অস্থায়ী ফুড স্টল বসে, যেখানে মুখরোচক খাবারের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনও দেখা যায়।

এখানকার খাবার শুধু পেট ভরায় না, মনকেও তৃপ্তি দেয়। প্রতিটি স্টলের পেছনে রয়েছে একটি গল্প—কখনো সেটা ১৫০ বছরের পুরনো রেসিপি, কখনো বা পারিবারিক ঐতিহ্য। রমজান ছাড়াও এখানে সারা বছরই কিছু স্থায়ী স্টল খাবার পরিবেশন করে। তবে রমজানের সময় এটি একটি উৎসবে পরিণত হয়, যেখানে হিন্দু-মুসলিম সবাই একসঙ্গে খাবারের স্বাদ উপভোগ করে। এখন চলুন জেনে নিই Zakaria Street-এর সেই মাস্ট ভিজিট ফুড স্টলগুলোর কথা।

Zakaria Street-এর সেরা ফুড স্টল: কোথায় কী খাবেন?

Zakaria Street-এ পা রাখলেই আপনার নাকের সামনে ভেসে আসবে কাবাবের গন্ধ, মিষ্টির সুবাস আর তন্দুর থেকে ভাপ ওঠা রুটির ঘ্রাণ। এখানকার প্রতিটি স্টলের নিজস্ব বিশেষত্ব রয়েছে। নিচে কিছু বিখ্যাত ফুড স্টলের কথা বলছি, যেগুলো এখানে এলে মিস করা উচিত নয়।

Adam’s Kebab Shop – সুতলি কাবাবের রাজ্য

Zakaria Street-এর খাবারের যাত্রা শুরু করতে চাইলে প্রথম গন্তব্য হতে পারে Adam’s Kebab Shop। এই দোকানটি ১৫০ বছরেরও বেশি পুরনো এবং এর সুতলি কাবাব (Suta Kebab) কলকাতায় একটি কিংবদন্তি। এই কাবাব তৈরি করা হয় গরুর মাংসের পেস্ট আর মশলা দিয়ে, যা লোহার শিকে বেঁধে সুতো দিয়ে আটকে রান্না করা হয়। এটি এতটাই নরম যে সুতো না থাকলে মাংস ছড়িয়ে পড়ে। তন্দুরে ঝলসানো এই কাবাব মুখে দিলে গলে যায়। এছাড়া এখানে বোটি কাবাবও পাওয়া যায়, যা সমান জনপ্রিয়।

  • কী খাবেন: সুতলি কাবাব, বোটি কাবাব
  • মূল্য: প্রতি পিস ১০-২৫ টাকা
  • সময়: দুপুর থেকে রাত ১টা পর্যন্ত

Taskeen – মুর্গ চাঙ্গেজি ও ফালুদার জাদু

Taskeen হলো Zakaria Street-এর আরেকটি জনপ্রিয় নাম। এখানকার মুর্গ চাঙ্গেজি (Murgh Changezi) একটি বিশেষ খাবার, যা মুরগির মাংসকে দই, মশলা আর ক্রিম দিয়ে ম্যারিনেট করে তৈরি করা হয়। এটি গভীর তেলে ভেজে পরিবেশন করা হয় মিন্ট চাটনির সঙ্গে। এছাড়া মাছ প্রেমীদের জন্য রয়েছে মাহি আকবরি (Maahi Akbari)—কাতলা মাছের বড় টুকরো মশলায় মাখিয়ে ভাজা। আর খাবারের শেষে ফালুদা বা লস্যি দিয়ে মুখ ঠান্ডা করতে ভুলবেন না।

  • কী খাবেন: মুর্গ চাঙ্গেজি, মাহি আকবরি, ফালুদা
  • মূল্য: ৩০০-৬০০ টাকা (দুজনের জন্য)
  • সময়: দুপুর ১২টা থেকে ভোর ৪টা

Bombay Hotel – বিফ চাঁপের স্বর্গ

যারা গরুর মাংসের ভক্ত, তাদের জন্য Bombay Hotel একটি অবশ্য ভিজিট স্থান। এখানকার বিফ চাঁপ (Beef Chaap) এবং বিফ ভুনা শুধু স্বাদেই নয়, গন্ধেও মন কাড়ে। পাতলা মাংসের টুকরো মশলায় ম্যারিনেট করে ধীর আঁচে রান্না করা হয়, যা মুখে দিলে গলে যায়। এছাড়া এখানে ফিরনিও পাওয়া যায়, যা খাবারের শেষে একটি মিষ্টি সমাপ্তি দেয়।

  • কী খাবেন: বিফ চাঁপ, বিফ ভুনা, ফিরনি
  • মূল্য: ২৫০-৫০০ টাকা (দুজনের জন্য)
  • সময়: সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত

Haji Allauddin Sweets – মিষ্টির রাজ্যে

খাবারের শেষে মিষ্টি না হলে কলকাতার খাদ্যযাত্রা অসম্পূর্ণ। Haji Allauddin Sweets হলো Zakaria Street-এর সবচেয়ে পুরনো এবং বিখ্যাত মিষ্টির দোকান। এখানকার গুলাব জামুন ছোট হলেও স্বাদে অতুলনীয়। এছাড়া আখরোট হালওয়া (Akhrot Halwa) এবং বত্তিশি হালওয়া এখানকার বিশেষ আকর্ষণ। রমজানের সময় এখানে নতুন নতুন মিষ্টি চেখে দেখার সুযোগও মেলে।

  • কী খাবেন: গুলাব জামুন, আখরোট হালওয়া, বত্তিশি হালওয়া
  • মূল্য: ১০০-৩০০ টাকা (প্রতি কেজি)
  • সময়: সকাল থেকে রাত পর্যন্ত

Muradabadi Laziz Kebab – মাছ ও মুরগির ভোজ

Zakaria Street-এর রাস্তার ধারে ছোট্ট একটি কিয়স্ক, Muradabadi Laziz Kebab, যেখানে মাছ আর মুরগির বিভিন্ন পদ পাওয়া যায়। এখানে মাছের মাথা ভাজা (Fish Head Fry) এবং মুরগি ভাজা অত্যন্ত জনপ্রিয়। মাংস মশলায় মাখিয়ে লালচে করে ভাজা হয়, যা দেখতেও সুন্দর আর খেতেও মজাদার।

Zakaria Street-এর খাবারের বৈচিত্র্য: কী কী পাবেন?

Zakaria Street-এর ফুড স্টলগুলো শুধু কাবাব বা বিরিয়ানিতে সীমাবদ্ধ নয়। এখানে মুঘলাই, আওয়াধি এবং আফগানি খাবারের এক অসাধারণ সম্মিলন দেখা যায়। এখানকার খাবারের তালিকায় রয়েছে:

খাবারের ধরন বিশেষত্ব প্রসিদ্ধ স্টল
কাবাব সুতলি, মালাই, খিরি, বোটি Adam’s, Abdul Hamid
বিরিয়ানি গরুর মাংস, আলু সহ কলকাতার স্টাইল Royal India Hotel, Aminia
হালিম মশলাদার, গরুর মাংসের স্বাদ Sufia, Bashir
মিষ্টি গুলাব জামুন, আখরোট হালওয়া Haji Allauddin Sweets
রুটি/নান শিরমাল, বাকারখানি রাস্তার স্টল
পানীয় ফালুদা, লস্যি, রূহ আফজা শরবত Taskeen, রাস্তার স্টল

এছাড়া এখানে শেওয়াই (Sevai), লাচ্ছা পরোটা, এবং বিভিন্ন ফলের শরবতও পাওয়া যায়, যা রমজানের ইফতারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

Zakaria Street-এ যাওয়ার আগে যা জানা দরকার

Zakaria Street-এ ফুড ট্রিপে যাওয়ার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখলে আপনার অভিজ্ঞতা আরও সুন্দর হবে।

কখন যাবেন?

রমজানের সময় সন্ধ্যা ৬টার পর এখানে ভিড় বাড়ে। ইফতারের পর থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত স্টলগুলো সক্রিয় থাকে। তবে হালিমের মতো জনপ্রিয় খাবার চাইলে বিকেল ৫টার মধ্যে পৌঁছে যাওয়া ভালো, কারণ দ্রুত শেষ হয়ে যায়।

কীভাবে যাবেন?

Zakaria Street সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন এবং এম জি রোড থেকে হাঁটা দূরত্বে। গাড়ি নিয়ে যাওয়া এড়িয়ে মেট্রো বা বাস ব্যবহার করাই ভালো, কারণ পার্কিংয়ের জায়গা কম।

কী সঙ্গে নেবেন?

  • নগদ টাকা (বেশিরভাগ স্টল কার্ড গ্রহণ করে না)
  • হালকা পোশাক (গরমে আরামদায়ক)
  • পানির বোতল (ভিড়ে তেষ্টা লাগতে পারে)

সতর্কতা

  • ভিড়ে পকেটমারি থেকে সাবধান থাকুন।
  • অতিরিক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন, কারণ খাবারগুলো ভারী হতে পারে।
  • পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর রাখুন, কারণ রাস্তার খাবারে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকতে পারে।

কেন Zakaria Street খাদ্যপ্রেমীদের জন্য বিশেষ?

Zakaria Street শুধু খাবারের জন্য নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতাও। এখানে হিন্দু, মুসলিম, বাঙালি, অবাঙালি—সবাই একসঙ্গে খাবার উপভোগ করে। রমজানে এখানে প্রায় ১০০টিরও বেশি অস্থায়ী স্টল বসে, যা কলকাতার অন্য কোথাও দেখা যায় না। এছাড়া এখানকার দাম তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী। একটি প্লেট কাবাব বা বিরিয়ানি ১০০-৩০০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যায়। তবে রমজানের ভিড়ে দাম কিছুটা বাড়তে পারে।

Zakaria Street-এর স্বাদ নিন

Zakaria Street-এর ফুড স্টলগুলো শুধু খাবার পরিবেশন করে না, এটি একটি ঐতিহ্যের ধারক। Adam’s Kebab Shop-এর সুতলি কাবাব থেকে Haji Allauddin-এর গুলাব জামুন—প্রতিটি স্টলের নিজস্ব গল্প আছে। আপনি যদি খাদ্যপ্রেমী হন, তবে এই রাস্তায় একবার পা রাখতেই হবে। তবে মনে রাখবেন, একদিনে সব চেখে দেখা সম্ভব নয়। তাই পরিকল্পনা করে যান, আর স্বাদের এই উৎসবে নিজেকে ডুবিয়ে দিন। Zakaria Street-এর খাবার শুধু পেট নয়, মনকেও ভরিয়ে দেবে—এটাই এর সৌন্দর্য।

কলকাতার এই খাবারের স্বর্গে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন হলো? মন্তব্যে জানান, আর আপনার প্রিয় স্টলের নামও শেয়ার করতে ভুলবেন না!

Facebook Comments Box

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অস্ত্র আমদানির দৌড়ে শীর্ষে ইউক্রেন, ভারতের স্থান দ্বিতীয়: বিশ্বে কী বার্তা?

মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কে নজর! বঙ্গের সব আসনে লড়তে প্রস্তুত আইএমআইএম

হোলির রঙে ব্যাঙ্ক বন্ধ: আগামীকাল থেকে টানা ৪ দিন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ব্যাঙ্ক ছুটি, তালিকা দেখে নিন

কেকেআরের প্রস্তুতি শুরু: কলকাতায় নাইটদের ক্যাপ্টেন-কোচের সঙ্গে প্রকাশিত হল প্র্যাক্টিস সূচি

শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে ‘ক্রিমিনাল’ পোস্টার: সিপিএম নেতার থানায় তলব!

কলকাতার Zakaria Street-এর মাস্ট ভিজিট ফুড স্টল: একটি খাদ্যপ্রেমীর স্বর্গভূমি

অলক্ষ্যে ঋত্বিক: ঋত্বিক ঘটকের জীবনালেখ্য নিয়ে আসছে বাঙালির প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র

আইপিএল-এ তামাকের বিজ্ঞাপন বন্ধ! স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কড়া নির্দেশ জারি!

দেওয়ালের কোন দিকে কোন রঙ শুভ? বাস্তুশাস্ত্রের চোখে একটি গভীর দৃষ্টিপাত

ডিএলএফ-এমআরএফ-আমূল-পেটিএম: সংক্ষিপ্ত নামেই ভারত বিখ্যাত, এবার জেনে নিন এই ব্র্যান্ডগুলোর পুরো নাম!

১০

সেক্সসমনিয়া: ঘুমের মধ্যে লুকিয়ে থাকা এক বিরল রহস্য

১১

ভীষণ ক্ষতিকর Non-Stick প্যানে রান্না করছেন না তো? জেনে নিন সেরা বিকল্পগুলো

১২

কাক ডাকার ফলাফল: ইসলাম ও হিন্দু শাস্ত্রে কী বলা আছে?

১৩

দিনে ৮ ঘণ্টা AC চালালে মাসে কত ‘Electric Bill’ আসবে? সহজ হিসেবে নিশ্চিন্তে থাকুন

১৪

প্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা কি বুদ্ধিমানের কাজ? একটি গভীর বিশ্লেষণ

১৫

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের জাদু: কীভাবে ভারত হয়ে উঠল অপ্রতিরোধ্য?

১৬

বাংলার প্রথম এসি লোকাল ট্রেন শিয়ালদা-কৃষ্ণনগর রুটে, ভাড়া কত জানেন?

১৭

ভারতে রাজ্যভিত্তিক হীরার মজুদ: কোন রাজ্য হীরা উৎপাদনে সেরা?

১৮

আলমারি কোন দিকে রাখা উচিত? বাস্তুশাস্ত্র ও আধুনিক ইন্টেরিয়র ডিজাইন

১৯

ব ফলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম, জানুন খুব সহজ উপায়

২০
close