Zero Investment Business: বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে, অনেকেই নিজের ব্যবসা শুরু করতে চান কিন্তু পুঁজি না থাকায় পিছিয়ে থাকন। কিন্তু প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে বিনা পুঁজির ব্যবসা শুরু করা এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে। এই গাইডে আমরা আলোচনা করব ১০টি এমন ব্যবসা যা আপনি শূন্য পুঁজিতে শুরু করতে পারেন এবং ধীরে ধীরে তা থেকে লাভবান হতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় বিনা পুঁজির ব্যবসা। ফ্রিল্যান্সাররা তাদের দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন কাজ করেন এবং বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করেন। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হলে আপনাকে Upwork, Freelancer, এবং Fiverr এর মত প্ল্যাটফর্মগুলিতে প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। এসব প্ল্যাটফর্মে কাজের জন্য প্রচুর সুযোগ থাকে এবং আপনাকে সঠিক প্রোফাইল তৈরি করতে হবে যাতে ক্লায়েন্টরা আপনার দক্ষতা সম্পর্কে জানতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে হলে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, ওয়েব ডিজাইনিং, কনটেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, ইত্যাদি। অনলাইন কোর্স ও টিউটোরিয়াল দেখে এবং প্র্যাকটিসের মাধ্যমে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি করুন।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে প্রথমে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে আপনার পরিষেবার প্রস্তাব দিন। LinkedIn ও Facebook গ্রুপে নিজের প্রোফাইল শেয়ার করুন এবং ক্লায়েন্ট খুঁজুন।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টে দক্ষ হতে হলে Hootsuite, Buffer, এবং Canva-এর মত টুলস সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। এছাড়া, ট্রেন্ড বিশ্লেষণ এবং এনগেজমেন্ট বাড়ানোর কৌশল শেখা গুরুত্বপূর্ণ।
অনলাইন টিউটরিং শুরু করার জন্য প্রথমে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে কারা আপনার লক্ষ্য শ্রোতা হবে। যেমন, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বা বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রার্থী।
আপনার টিউটরিং সেবা প্রদানের জন্য Udemy, Coursera বা Zoom-এর মত প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন। কোর্স ডিজাইন করার সময় সিলেবাস অনুযায়ী বিস্তারিতভাবে পরিকল্পনা করুন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় রিসোর্স প্রস্তুত রাখুন।
ব্লগিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি নির্দিষ্ট নিশা বা বিষয় নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। জনপ্রিয় নিশাগুলির মধ্যে স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, ভ্রমণ, ফ্যাশন ইত্যাদি রয়েছে। নিজের আগ্রহ ও দক্ষতার সাথে মিলিয়ে নিশা নির্বাচন করুন।
ব্লগিং থেকে আয় করার জন্য গুগল অ্যাডসেন্স, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সরশিপ পোস্ট ইত্যাদি পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও, পেইড সাবস্ক্রিপশন বা অনলাইন কোর্স বিক্রির মাধ্যমেও আয় করা সম্ভব।
ড্রপশিপিং ব্যবসায়ে আপনাকে কোনো পণ্য মজুদ রাখতে হয় না। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে সরাসরি ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দেয়া হয়। Aliexpress, Oberlo এর মত প্ল্যাটফর্ম থেকে সরবরাহকারী খুঁজে পাওয়া যায়।
Shopify, WooCommerce এর মত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আপনার ড্রপশিপিং স্টোর সেটআপ করুন। পণ্য তালিকা, দাম নির্ধারণ এবং পেমেন্ট গেটওয়ে সেটআপ করুন।
ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য Adobe Premiere Pro, Final Cut Pro, এবং DaVinci Resolve এর মত সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয়। এই সফটওয়্যারগুলির উপর দক্ষতা অর্জন করুন এবং প্র্যাকটিসের মাধ্যমে নিজের কাজের মান উন্নত করুন।
নিজের কাজের উদাহরণ দিয়ে একটি পোর্টফোলিও তৈরি করুন এবং তা সোশ্যাল মিডিয়া ও ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করুন। এছাড়া, লোকাল প্রোডাকশন হাউস বা ইউটিউবারদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করা যায়, যেমন: ইমেইল ম্যানেজমেন্ট, ক্যালেন্ডার ম্যানেজমেন্ট, ডেটা এন্ট্রি, রিসার্চ ইত্যাদি। আপনার দক্ষতার ভিত্তিতে সেবা নির্বাচন করুন।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করার সময় কাজের সময় সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করা গুরুত্বপূর্ণ। টাইম ম্যানেজমেন্ট টুলস যেমন Trello, Asana ব্যবহার করতে পারেন।
আপনার এলাকায় পেট সিটিং ও ডগ ওয়াকিং পরিষেবার চাহিদা আছে কিনা তা বিশ্লেষণ করুন। স্থানীয় ফেসবুক গ্রুপ ও পোষ্য সংক্রান্ত ফোরামে পোস্ট করে তথ্য সংগ্রহ করুন।
পোষ্যদের মালিকদের সাথে ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলুন এবং তাদের পোষ্যদের যত্নের জন্য নির্ভরযোগ্যতা প্রদর্শন করুন। গ্রাহকদের কাছ থেকে রিভিউ এবং রেফারেল সংগ্রহ করুন।
হ্যান্ডমেড প্রোডাক্ট যেমন জুয়েলারি, গিফট আইটেম, ক্যান্ডেল, সোপ ইত্যাদি তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। প্রথমে একটি নির্দিষ্ট পণ্য নির্বাচন করুন যাতে আপনি দক্ষ।
Etsy, eBay এর মত অনলাইন মার্কেটপ্লেসে আপনার পণ্য তালিকাভুক্ত করুন। পণ্যের ভাল ছবি তুলে, বিস্তারিত বিবরণ লিখে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করুন।
সফল ব্যবসা শুরু করতে হলে ধৈর্য ও অধ্যবসায়ের প্রয়োজন। উপরে উল্লেখিত যেকোনো ব্যবসা শুরু করতে গেলে প্রথমে প্রচেষ্টা এবং পরিশ্রম দরকার। ধৈর্য ধরে কাজ করলে এবং সঠিক কৌশল প্রয়োগ করলে, আপনি বিনা পুঁজির ব্যবসা থেকেও সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
Zero Investment Business: বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে, অনেকেই নিজের ব্যবসা শুরু করতে চান কিন্তু পুঁজি না থাকায় পিছিয়ে থাকন। কিন্তু প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে বিনা পুঁজির ব্যবসা শুরু করা এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে। এই গাইডে আমরা আলোচনা করব ১০টি এমন ব্যবসা যা আপনি শূন্য পুঁজিতে শুরু করতে পারেন এবং ধীরে ধীরে তা থেকে লাভবান হতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় বিনা পুঁজির ব্যবসা। ফ্রিল্যান্সাররা তাদের দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন কাজ করেন এবং বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করেন। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হলে আপনাকে Upwork, Freelancer, এবং Fiverr এর মত প্ল্যাটফর্মগুলিতে প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। এসব প্ল্যাটফর্মে কাজের জন্য প্রচুর সুযোগ থাকে এবং আপনাকে সঠিক প্রোফাইল তৈরি করতে হবে যাতে ক্লায়েন্টরা আপনার দক্ষতা সম্পর্কে জানতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে হলে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, ওয়েব ডিজাইনিং, কনটেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, ইত্যাদি। অনলাইন কোর্স ও টিউটোরিয়াল দেখে এবং প্র্যাকটিসের মাধ্যমে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি করুন।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে প্রথমে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে আপনার পরিষেবার প্রস্তাব দিন। LinkedIn ও Facebook গ্রুপে নিজের প্রোফাইল শেয়ার করুন এবং ক্লায়েন্ট খুঁজুন।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টে দক্ষ হতে হলে Hootsuite, Buffer, এবং Canva-এর মত টুলস সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। এছাড়া, ট্রেন্ড বিশ্লেষণ এবং এনগেজমেন্ট বাড়ানোর কৌশল শেখা গুরুত্বপূর্ণ।
অনলাইন টিউটরিং শুরু করার জন্য প্রথমে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে কারা আপনার লক্ষ্য শ্রোতা হবে। যেমন, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বা বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রার্থী।
আপনার টিউটরিং সেবা প্রদানের জন্য Udemy, Coursera বা Zoom-এর মত প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন। কোর্স ডিজাইন করার সময় সিলেবাস অনুযায়ী বিস্তারিতভাবে পরিকল্পনা করুন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় রিসোর্স প্রস্তুত রাখুন।
ব্লগিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি নির্দিষ্ট নিশা বা বিষয় নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। জনপ্রিয় নিশাগুলির মধ্যে স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, ভ্রমণ, ফ্যাশন ইত্যাদি রয়েছে। নিজের আগ্রহ ও দক্ষতার সাথে মিলিয়ে নিশা নির্বাচন করুন।
ব্লগিং থেকে আয় করার জন্য গুগল অ্যাডসেন্স, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সরশিপ পোস্ট ইত্যাদি পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও, পেইড সাবস্ক্রিপশন বা অনলাইন কোর্স বিক্রির মাধ্যমেও আয় করা সম্ভব।
ড্রপশিপিং ব্যবসায়ে আপনাকে কোনো পণ্য মজুদ রাখতে হয় না। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে সরাসরি ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দেয়া হয়। Aliexpress, Oberlo এর মত প্ল্যাটফর্ম থেকে সরবরাহকারী খুঁজে পাওয়া যায়।
Shopify, WooCommerce এর মত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আপনার ড্রপশিপিং স্টোর সেটআপ করুন। পণ্য তালিকা, দাম নির্ধারণ এবং পেমেন্ট গেটওয়ে সেটআপ করুন।
ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য Adobe Premiere Pro, Final Cut Pro, এবং DaVinci Resolve এর মত সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয়। এই সফটওয়্যারগুলির উপর দক্ষতা অর্জন করুন এবং প্র্যাকটিসের মাধ্যমে নিজের কাজের মান উন্নত করুন।
নিজের কাজের উদাহরণ দিয়ে একটি পোর্টফোলিও তৈরি করুন এবং তা সোশ্যাল মিডিয়া ও ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করুন। এছাড়া, লোকাল প্রোডাকশন হাউস বা ইউটিউবারদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করা যায়, যেমন: ইমেইল ম্যানেজমেন্ট, ক্যালেন্ডার ম্যানেজমেন্ট, ডেটা এন্ট্রি, রিসার্চ ইত্যাদি। আপনার দক্ষতার ভিত্তিতে সেবা নির্বাচন করুন।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করার সময় কাজের সময় সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করা গুরুত্বপূর্ণ। টাইম ম্যানেজমেন্ট টুলস যেমন Trello, Asana ব্যবহার করতে পারেন।
আপনার এলাকায় পেট সিটিং ও ডগ ওয়াকিং পরিষেবার চাহিদা আছে কিনা তা বিশ্লেষণ করুন। স্থানীয় ফেসবুক গ্রুপ ও পোষ্য সংক্রান্ত ফোরামে পোস্ট করে তথ্য সংগ্রহ করুন।
পোষ্যদের মালিকদের সাথে ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলুন এবং তাদের পোষ্যদের যত্নের জন্য নির্ভরযোগ্যতা প্রদর্শন করুন। গ্রাহকদের কাছ থেকে রিভিউ এবং রেফারেল সংগ্রহ করুন।
হ্যান্ডমেড প্রোডাক্ট যেমন জুয়েলারি, গিফট আইটেম, ক্যান্ডেল, সোপ ইত্যাদি তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। প্রথমে একটি নির্দিষ্ট পণ্য নির্বাচন করুন যাতে আপনি দক্ষ।
Etsy, eBay এর মত অনলাইন মার্কেটপ্লেসে আপনার পণ্য তালিকাভুক্ত করুন। পণ্যের ভাল ছবি তুলে, বিস্তারিত বিবরণ লিখে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করুন।
সফল ব্যবসা শুরু করতে হলে ধৈর্য ও অধ্যবসায়ের প্রয়োজন। উপরে উল্লেখিত যেকোনো ব্যবসা শুরু করতে গেলে প্রথমে প্রচেষ্টা এবং পরিশ্রম দরকার। ধৈর্য ধরে কাজ করলে এবং সঠিক কৌশল প্রয়োগ করলে, আপনি বিনা পুঁজির ব্যবসা থেকেও সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
Zero Investment Business: বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে, অনেকেই নিজের ব্যবসা শুরু করতে চান কিন্তু পুঁজি না থাকায় পিছিয়ে থাকন। কিন্তু প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে বিনা পুঁজির ব্যবসা শুরু করা এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে। এই গাইডে আমরা আলোচনা করব ১০টি এমন ব্যবসা যা আপনি শূন্য পুঁজিতে শুরু করতে পারেন এবং ধীরে ধীরে তা থেকে লাভবান হতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় বিনা পুঁজির ব্যবসা। ফ্রিল্যান্সাররা তাদের দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন কাজ করেন এবং বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করেন। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হলে আপনাকে Upwork, Freelancer, এবং Fiverr এর মত প্ল্যাটফর্মগুলিতে প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। এসব প্ল্যাটফর্মে কাজের জন্য প্রচুর সুযোগ থাকে এবং আপনাকে সঠিক প্রোফাইল তৈরি করতে হবে যাতে ক্লায়েন্টরা আপনার দক্ষতা সম্পর্কে জানতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে হলে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, ওয়েব ডিজাইনিং, কনটেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, ইত্যাদি। অনলাইন কোর্স ও টিউটোরিয়াল দেখে এবং প্র্যাকটিসের মাধ্যমে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি করুন।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে প্রথমে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে আপনার পরিষেবার প্রস্তাব দিন। LinkedIn ও Facebook গ্রুপে নিজের প্রোফাইল শেয়ার করুন এবং ক্লায়েন্ট খুঁজুন।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টে দক্ষ হতে হলে Hootsuite, Buffer, এবং Canva-এর মত টুলস সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। এছাড়া, ট্রেন্ড বিশ্লেষণ এবং এনগেজমেন্ট বাড়ানোর কৌশল শেখা গুরুত্বপূর্ণ।
অনলাইন টিউটরিং শুরু করার জন্য প্রথমে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে কারা আপনার লক্ষ্য শ্রোতা হবে। যেমন, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বা বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রার্থী।
আপনার টিউটরিং সেবা প্রদানের জন্য Udemy, Coursera বা Zoom-এর মত প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন। কোর্স ডিজাইন করার সময় সিলেবাস অনুযায়ী বিস্তারিতভাবে পরিকল্পনা করুন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় রিসোর্স প্রস্তুত রাখুন।
ব্লগিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি নির্দিষ্ট নিশা বা বিষয় নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। জনপ্রিয় নিশাগুলির মধ্যে স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, ভ্রমণ, ফ্যাশন ইত্যাদি রয়েছে। নিজের আগ্রহ ও দক্ষতার সাথে মিলিয়ে নিশা নির্বাচন করুন।
ব্লগিং থেকে আয় করার জন্য গুগল অ্যাডসেন্স, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সরশিপ পোস্ট ইত্যাদি পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও, পেইড সাবস্ক্রিপশন বা অনলাইন কোর্স বিক্রির মাধ্যমেও আয় করা সম্ভব।
ড্রপশিপিং ব্যবসায়ে আপনাকে কোনো পণ্য মজুদ রাখতে হয় না। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে সরাসরি ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দেয়া হয়। Aliexpress, Oberlo এর মত প্ল্যাটফর্ম থেকে সরবরাহকারী খুঁজে পাওয়া যায়।
Shopify, WooCommerce এর মত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আপনার ড্রপশিপিং স্টোর সেটআপ করুন। পণ্য তালিকা, দাম নির্ধারণ এবং পেমেন্ট গেটওয়ে সেটআপ করুন।
ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য Adobe Premiere Pro, Final Cut Pro, এবং DaVinci Resolve এর মত সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয়। এই সফটওয়্যারগুলির উপর দক্ষতা অর্জন করুন এবং প্র্যাকটিসের মাধ্যমে নিজের কাজের মান উন্নত করুন।
নিজের কাজের উদাহরণ দিয়ে একটি পোর্টফোলিও তৈরি করুন এবং তা সোশ্যাল মিডিয়া ও ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করুন। এছাড়া, লোকাল প্রোডাকশন হাউস বা ইউটিউবারদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করা যায়, যেমন: ইমেইল ম্যানেজমেন্ট, ক্যালেন্ডার ম্যানেজমেন্ট, ডেটা এন্ট্রি, রিসার্চ ইত্যাদি। আপনার দক্ষতার ভিত্তিতে সেবা নির্বাচন করুন।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করার সময় কাজের সময় সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করা গুরুত্বপূর্ণ। টাইম ম্যানেজমেন্ট টুলস যেমন Trello, Asana ব্যবহার করতে পারেন।
আপনার এলাকায় পেট সিটিং ও ডগ ওয়াকিং পরিষেবার চাহিদা আছে কিনা তা বিশ্লেষণ করুন। স্থানীয় ফেসবুক গ্রুপ ও পোষ্য সংক্রান্ত ফোরামে পোস্ট করে তথ্য সংগ্রহ করুন।
পোষ্যদের মালিকদের সাথে ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলুন এবং তাদের পোষ্যদের যত্নের জন্য নির্ভরযোগ্যতা প্রদর্শন করুন। গ্রাহকদের কাছ থেকে রিভিউ এবং রেফারেল সংগ্রহ করুন।
হ্যান্ডমেড প্রোডাক্ট যেমন জুয়েলারি, গিফট আইটেম, ক্যান্ডেল, সোপ ইত্যাদি তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। প্রথমে একটি নির্দিষ্ট পণ্য নির্বাচন করুন যাতে আপনি দক্ষ।
Etsy, eBay এর মত অনলাইন মার্কেটপ্লেসে আপনার পণ্য তালিকাভুক্ত করুন। পণ্যের ভাল ছবি তুলে, বিস্তারিত বিবরণ লিখে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করুন।
সফল ব্যবসা শুরু করতে হলে ধৈর্য ও অধ্যবসায়ের প্রয়োজন। উপরে উল্লেখিত যেকোনো ব্যবসা শুরু করতে গেলে প্রথমে প্রচেষ্টা এবং পরিশ্রম দরকার। ধৈর্য ধরে কাজ করলে এবং সঠিক কৌশল প্রয়োগ করলে, আপনি বিনা পুঁজির ব্যবসা থেকেও সফলতা অর্জন করতে পারবেন।