গেম নাকি প্রফেশনাল টুল? জানুন পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার কোনটি!

আধুনিক ডিজিটাল যুগে সফটওয়্যার আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সাধারণ ডকুমেন্ট লেখা থেকে শুরু করে মহাকাশ গবেষণা পর্যন্ত সবকিছুই সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। কিন্তু আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, এই…

Avatar

 

আধুনিক ডিজিটাল যুগে সফটওয়্যার আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সাধারণ ডকুমেন্ট লেখা থেকে শুরু করে মহাকাশ গবেষণা পর্যন্ত সবকিছুই সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। কিন্তু আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, এই সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে “ভারী”? এই ভারী কথাটির দুটি অর্থ হতে পারে: একটি হলো ইনস্টলেশন সাইজ বা হার্ডডিস্কে কতটা জায়গা দখল করে, এবং অন্যটি হলো চলার সময় কম্পিউটারের কতটা রিসোর্স (RAM, CPU, GPU) ব্যবহার করে। এই দুটি দিক বিবেচনা করেই আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারগুলোর একটি সম্পূর্ণ চিত্র তুলে ধরব। নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র এবং পরিসংখ্যানের মাধ্যমে এই বিষয়টি গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

সাধারণভাবে বলতে গেলে, বর্তমানে ইনস্টলেশন সাইজের দিক থেকে ভিডিও গেম অন্যান্য সব ধরনের অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারকে ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষ করে, ARK: Survival Evolved তার সমস্ত এক্সপ্যানশন প্যাকসহ (DLCs) ইনস্টল করলে প্রায় ৪০০ জিবিরও বেশি জায়গা নিতে পারে, যা এটিকে এই তালিকার শীর্ষে রাখে। এর পাশাপাশি Call of Duty সিরিজের মতো গেমগুলোও ২৫০ জিবির গণ্ডি ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য পরিচিত। অন্যদিকে, রিসোর্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে 3D মডেলিং, ভিডিও রেন্ডারিং এবং সায়েন্টিফিক সিমুলেশন সফটওয়্যারগুলো সবচেয়ে এগিয়ে।

কেন সফটওয়্যারের আকার দিন দিন বাড়ছে?

গত এক দশকে সফটওয়্যারের আকার রকেটের গতিতে বেড়েছে। এর পেছনে বেশ কিছু প্রযুক্তিগত কারণ রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করে।

হাই-রেজোলিউশন টেক্সচার ও গ্রাফিক্স (High-Resolution Textures & Graphics)

সফটওয়্যারের আকার বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো উন্নত গ্রাফিক্স। বিশেষ করে ভিডিও গেম এবং 3D ডিজাইনিং সফটওয়্যারে 4K বা এমনকি 8K রেজোলিউশনের টেক্সচার ব্যবহার করা হয়। একটি বস্তুর সারফেসকে বাস্তবসম্মত দেখানোর জন্য এই টেক্সচারগুলো ব্যবহার করা হয়, এবং এগুলোর ফাইলের আকার অনেক বড় হয়। NVIDIA-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, 4K রেজোলিউশনে ফুল HD (1080p) থেকে চারগুণ বেশি পিক্সেল থাকে, যা ফাইলের আকারকেও বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

অডিও এবং ভিডিও ফাইলের গুণমান

আজকের অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে, বিশেষ করে গেমে, অসংকুচিত বা ন্যূনতম সংকুচিত (lossless) অডিও ফাইল ব্যবহার করা হয় যাতে সাউন্ডের গুণমান সর্বোচ্চ থাকে। একইভাবে, গেমের মধ্যে থাকা প্রি-রেন্ডার করা ভিডিও সিন বা কাটসিনগুলোও (cutscenes) হাই-ডেফিনিশনে থাকে। এই উচ্চমানের মাল্টিমিডিয়া ফাইলগুলো সফটওয়্যারের মোট আকারে বিশাল অংশ যোগ করে।

জটিল বিশ্ব এবং কন্টেন্টের পরিমাণ (Complex Worlds & Content Volume)

আধুনিক ওপেন-ওয়ার্ল্ড গেমগুলোতে বিশাল মানচিত্র, হাজার হাজার 3D মডেল, চরিত্র এবং মিশন থাকে। Grand Theft Auto V বা The Witcher 3: Wild Hunt-এর মতো গেমগুলোর বিশ্ব এতটাই বিশাল এবং বিস্তারিত যে সেগুলোর সমস্ত ডেটা সঞ্চয় করতে প্রচুর জায়গার প্রয়োজন হয়। প্রতিটি গাছ, বিল্ডিং, এবং চরিত্রের নিজস্ব ডেটা থাকে, যা সম্মিলিতভাবে ফাইলের আকার বাড়ায়।

অতিরিক্ত কন্টেন্ট (DLC) এবং আপডেট

অনেক সফটওয়্যার এবং গেম রিলিজের পরেও নতুন ফিচার, ম্যাপ বা স্টোরিলাইন যোগ করার জন্য ডাউনলোডেবল কন্টেন্ট (DLC) বা এক্সপ্যানশন প্যাক প্রকাশ করে। সময়ের সাথে সাথে এই অতিরিক্ত কন্টেন্টগুলো মূল সফটওয়্যারের আকারকে প্রায় দ্বিগুণ বা তারও বেশি করে তুলতে পারে। ARK: Survival Evolved এর একটি বড় উদাহরণ, যার মূল গেমের আকারের চেয়ে DLC-গুলোর আকার অনেক বেশি।

ইনস্টলেশন সাইজ: কোন সফটওয়্যার সবচেয়ে বেশি জায়গা নেয়?

হার্ডডিস্কের জায়গা দখলের প্রতিযোগিতায় ভিডিও গেমগুলো অনস্বীকার্যভাবে বিজয়ী। তবে কিছু প্রফেশনাল সফটওয়্যার স্যুটও এই তালিকায় পিছিয়ে নেই।

ভিডিও গেম: আকারের প্রতিযোগিতায় শীর্ষে

ডিজিটাল বিনোদনের এই মাধ্যমটি প্রযুক্তিগত দিক থেকে এতটাই উন্নত হয়েছে যে এর আকার এখন সাধারণ ব্যবহারকারীর ধারণার বাইরে চলে যাচ্ছে।

  • ARK: Survival Evolved: এই সারভাইভাল গেমটি তার বিশাল বিশ্ব, ডাইনোসর এবং অসংখ্য DLC-এর জন্য পরিচিত। Steam-এর তথ্য অনুযায়ী, মূল গেম এবং সমস্ত এক্সপ্যানশন প্যাক (যেমন Scorched Earth, Aberration, Extinction, এবং Genesis পার্ট ১ ও ২) ইনস্টল করলে এটি ৪০০ জিবিরও বেশি জায়গা নিতে পারে। এটি বর্তমানে সবচেয়ে বড় আকারের গেমগুলোর মধ্যে অন্যতম।
  • Call of Duty Series: Call of Duty: Modern Warfare (2019) এবং Call of Duty: Black Ops Cold War গেম দুটি তাদের বিশাল আকারের জন্য কুখ্যাতি অর্জন করেছিল। ওয়ারজোন (Warzone) মোডের একীকরণের কারণে এবং হাই-রেজোলিউশন টেক্সচার প্যাকগুলোর জন্য, এই গেমগুলোর আকার প্রায়শই ২৫০ জিবির কাছাকাছি পৌঁছে যেত। যদিও ডেভেলপাররা পরে ফাইলের আকার কমানোর জন্য কিছু অপ্টিমাইজেশন করেছে, তবুও এটি অন্যতম ভারী গেম হিসেবেই পরিচিত।
  • Microsoft Flight Simulator (2020): এই সিমুলেটরটি পুরো পৃথিবীকে ম্যাপ হিসেবে ব্যবহার করে, যা Bing Maps থেকে রিয়েল-টাইম ডেটা স্ট্রিম করে। যদিও এর বেস ইনস্টলেশন সাইজ প্রায় ১৫০ জিবি, তবে সমস্ত ওয়ার্ল্ড আপডেট, বিভিন্ন এয়ারক্রাফট এবং উচ্চমানের সিনারি যোগ করলে এর আকার আরও অনেক বেড়ে যায়। এটি ক্লাউড প্রযুক্তির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল, যা ডেটা স্ট্রিমিং করে আকার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

সবচেয়ে ভারী কিছু গেমের তালিকা

সফটওয়্যার/গেমের নাম (Software/Game Name) আনুমানিক আকার (Approximate Size) সোর্স (Source)
ARK: Survival Evolved (with all DLCs) ~৪০০ জিবি+ Steam
Call of Duty: Modern Warfare / Warzone ~২৫০ জিবি+ Activision Support
Microsoft Flight Simulator (2020) ~১৫০ জিবি+ (with updates) Microsoft
Star Citizen (Alpha) ~১০০ জিবি+ (এবং বাড়ছে) Roberts Space Industries

প্রফেশনাল সফটওয়্যার স্যুট (Professional Software Suites)

যদিও এককভাবে কোনো প্রফেশনাল সফটওয়্যার ভিডিও গেমের মতো বড় হয় না, তবে সম্পূর্ণ স্যুট বা প্যাকেজ ইনস্টল করলে ও প্রচুর জায়গা নিতে পারে।

  • Adobe Creative Cloud: অ্যাডোবির “All Apps” প্ল্যান, যার মধ্যে Photoshop, Premiere Pro, After Effects, Illustrator-এর মতো ২০টিরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে, সেগুলো একসঙ্গে ইনস্টল করলে ১০০ জিবিরও বেশি জায়গার প্রয়োজন হতে পারে। প্রতিটি সফটওয়্যার তার নিজস্ব লাইব্রেরি, ফন্ট এবং প্লাগইন নিয়ে আসে, যা সম্মিলিতভাবে আকার বাড়িয়ে দেয়।
  • Autodesk Entertainment Creation Suite: 3D অ্যানিমেশন এবং ভিজ্যুয়াল এফেক্টসের জন্য ব্যবহৃত Autodesk Maya, 3ds Max, এবং MotionBuilder-এর মতো সফটওয়্যারগুলো একসঙ্গে ইনস্টল করলে এটিও একটি বিশাল জায়গা দখল করে। এই সফটওয়্যারগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় লাইব্রেরি, রেন্ডারিং ইঞ্জিন এবং স্যাম্পেল ফাইলগুলোও আকারে বেশ বড়।
  • MATLAB: ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সায়েন্টিফিক কম্পিউটিং-এর জন্য ব্যবহৃত MATLAB সফটওয়্যারটির মূল আকার তুলনামূলকভাবে কম হলেও, এর আসল শক্তি আসে এর টুলবক্সগুলো (Toolboxes) থেকে। MathWorks-এর ওয়েবসাইট অনুযায়ী, সমস্ত টুলবক্সসহ একটি সম্পূর্ণ MATLAB ইনস্টলেশনের জন্য কয়েক ডজন গিগাবাইট জায়গার প্রয়োজন হতে পারে, যা ব্যবহারকারীর প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে।

রিসোর্স ব্যবহার: কোন সফটওয়্যার আপনার কম্পিউটারকে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত রাখে?

ইনস্টলেশন সাইজ ছাড়াও, একটি সফটওয়্যার চলার সময় কতটা কম্পিউটারের শক্তি (CPU, RAM, GPU) ব্যবহার করে, তা-ও এর “ভারী” হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি। এই ক্ষেত্রে, প্রফেশনাল অ্যাপ্লিকেশনগুলো প্রায়শই গেমকে ছাড়িয়ে যায়।

3D মডেলিং এবং রেন্ডারিং সফটওয়্যার

  • Blender, Autodesk Maya, Cinema 4D: এই সফটওয়্যারগুলো ব্যবহার করে যখন কোনো জটিল 3D দৃশ্য বা অ্যানিমেশন রেন্ডার করা হয়, তখন এটি কম্পিউটারের প্রসেসরের (CPU) সমস্ত কোরকে ১০০% ব্যবহারে নিয়ে যেতে পারে এবং গ্রাফিক্স কার্ডকেও (GPU) তার সর্বোচ্চ ক্ষমতায় কাজ করাতে পারে। একটি হাই-কোয়ালিটি ফ্রেম রেন্ডার করতে কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে এবং এই সময়ে কয়েক ডজন গিগাবাইট RAM ব্যবহৃত হওয়াও স্বাভাবিক।

ভিডিও এডিটিং এবং ভিজ্যুয়াল এফেক্টস (VFX)

  • Adobe Premiere Pro, DaVinci Resolve, After Effects: 4K বা 8K রেজোলিউশনের RAW ভিডিও ফুটেজ এডিট করা, কালার গ্রেডিং করা বা জটিল ভিজ্যুয়াল এফেক্টস যোগ করা কম্পিউটারের জন্য অত্যন্ত শ্রমসাধ্য কাজ। এই প্রক্রিয়াটি প্রচুর পরিমাণে RAM ব্যবহার করে এবং একটি শক্তিশালী GPU ছাড়া রিয়েল-টাইম প্লেব্যাক প্রায় অসম্ভব। Puget Systems-এর একটি বেঞ্চমার্ক অনুযায়ী, পেশাদার ভিডিও সম্পাদনার জন্য ৩২ জিবি বা তার বেশি RAM এবং একটি উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন গ্রাফিক্স কার্ড অপরিহার্য।

সায়েন্টিফিক এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সিমুলেশন সফটওয়্যার

  • ANSYS, SolidWorks, COMSOL: এই সফটওয়্যারগুলো জটিল ইঞ্জিনিয়ারিং সমস্যা, যেমন—একটি গাড়ির অ্যারোডাইনামিক্স বা একটি বিল্ডিংয়ের ভূমিকম্প সহনশীলতা বিশ্লেষণ করতে ব্যবহৃত হয়। এই সিমুলেশনগুলো চালাতে অত্যন্ত শক্তিশালী কম্পিউটারের প্রয়োজন হয়, যা অনেক সময় সুপারকম্পিউটারের পর্যায়ে পড়ে। এগুলি প্রায়শই একাধিক CPU এবং বিপুল পরিমাণ RAM ব্যবহার করে দিনের পর দিন ধরে চলে।

ভবিষ্যতে সফটওয়্যারের আকার কি আরও বাড়বে?

প্রযুক্তি যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে এটা প্রায় নিশ্চিত যে সফটওয়্যারের আকার এবং রিসোর্সের চাহিদা ভবিষ্যতেও বাড়তে থাকবে।

  1. রিয়েলিজম-এর চাহিদা: 8K গেমিং, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR), এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি (AR) আরও উন্নত এবং বাস্তবসম্মত গ্রাফিক্সের দাবি করে, যা ফাইলের আকারকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
  2. AI-এর একীকরণ: সফটওয়্যারের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং মেশিন লার্নিং মডেলের ব্যবহার বাড়ছে। এই মডেলগুলো সঠিকভাবে কাজ করার জন্য বড় ডেটাসেটের প্রয়োজন হয়, যা সফটওয়্যারের আকার বাড়াতে পারে।
  3. দ্রুতগতির স্টোরেজ: NVMe SSD-এর মতো দ্রুতগতির স্টোরেজ ডিভাইসগুলো এখন অনেক সহজলভ্য। Forbes-এর একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে, স্টোরেজ প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ডেভেলপাররা ডেটা কম্প্রেশনের দিকে কম মনোযোগ দিয়ে গুণমানের দিকে বেশি জোর দিতে পারছেন, যা পরোক্ষভাবে ফাইলের আকার বাড়াচ্ছে।

ব্যবহারকারীদের জন্য কিছু পরামর্শ

এই বিশাল আকারের সফটওয়্যারগুলো পরিচালনা করা অনেক ব্যবহারকারীর জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। নিচে কিছু টিপস দেওয়া হলো:

  • সঠিক স্টোরেজ বাছুন: আপনার কম্পিউটারে কমপক্ষে ১ টেরাবাইট (TB) দ্রুতগতির SSD (Solid State Drive) ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
  • অপ্রয়োজনীয় উপাদান আনইনস্টল করুন: অনেক গেম এবং সফটওয়্যার আপনাকে নির্দিষ্ট অংশ (যেমন মাল্টিপ্লেয়ার মোড বা অতিরিক্ত ভাষার প্যাক) আলাদাভাবে ইনস্টল বা আনইনস্টল করার সুযোগ দেয়। এটি ব্যবহার করে আপনি জায়গা বাঁচাতে পারেন।
  • ক্লাউড গেমিং ব্যবহার করুন: NVIDIA GeForce Now বা Xbox Cloud Gaming-এর মতো পরিষেবাগুলো ব্যবহার করে আপনি শক্তিশালী গেমগুলো ইনস্টল না করেই খেলতে পারেন। এক্ষেত্রে গেমটি একটি দূরবর্তী সার্ভারে চলে এবং আপনার ডিভাইসে শুধু ভিডিও স্ট্রিম হয়।
  • নিয়মিত ফাইল পরিষ্কার করুন: সফটওয়্যারের ক্যাশে (cache) এবং টেম্পোরারি ফাইলগুলো সময়ের সাথে সাথে অনেক জায়গা দখল করতে পারে। এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

শেষ পর্যন্ত, “পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার কোনটি?”—এই প্রশ্নের কোনো একটি নির্দিষ্ট উত্তর নেই। ইনস্টলেশন সাইজের দিক থেকে বিচার করলে, ARK: Survival Evolved-এর মতো আধুনিক ভিডিও গেমগুলো তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে। কিন্তু রিসোর্স ব্যবহারের দিক থেকে দেখলে, 3D রেন্ডারিং, ভিডিও এডিটিং এবং সায়েন্টিফিক সিমুলেশন সফটওয়্যারগুলো সবচেয়ে শক্তিশালী এবং “ভারী” হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে সফটওয়্যারের আকার এবং ক্ষমতা উভয়ই বাড়তে থাকবে, যা আমাদের ডিজিটাল অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে, তবে এর জন্য আমাদের হার্ডওয়্যারকেও সমানভাবে আপগ্রেড করে যেতে হবে।

About Author
Avatar

আমাদের স্টাফ রিপোর্টারগণ সর্বদা নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন যাতে আপনি বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের সর্বশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে পারেন। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রতিশ্রুতি আমাদের ওয়েবসাইটকে একটি বিশ্বস্ত তথ্যের উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।তারা নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ রিপোর্টিংয়ে বিশ্বাসী, দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক প্রতিবেদন তৈরিতে সক্ষম