Think Bengal Logo
  • হোম
  • পশ্চিমবঙ্গ
  • ভারত
  • বাংলাদেশ
  • প্রযুক্তি
  • স্বাস্থ্য টিপস
  • অটোমোবাইল
  • বিবিধ
  • হোম
  • পশ্চিমবঙ্গ
  • ভারত
  • বাংলাদেশ
  • প্রযুক্তি
  • স্বাস্থ্য টিপস
  • অটোমোবাইল
  • বিবিধ
⌂ / বিবিধ / মাসিক হলে কি সিঁদুর পরা যায়? প্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক দৃষ্টিকোণ

মাসিক হলে কি সিঁদুর পরা যায়? প্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক দৃষ্টিকোণ

  • স্টাফ রিপোর্টার
  • - ৯:৩০ পূর্বাহ্ণ
  • মার্চ ২৬, ২০২৫

Sindoor and menstruation beliefs:  মাসিকের সময় সিঁদুর পরা যাবে কি না, এই প্রশ্নটি অনেক হিন্দু বিবাহিত মহিলাদের মনে স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে। সিঁদুর হিন্দু সংস্কৃতিতে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক, যা বিবাহিত মহিলাদের পরিচয় ও সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে পরিচিত1। অনেক ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও নিয়ম-কানুন থাকলেও, মাসিকের সময় সিঁদুর পরা নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা সবসময় পাওয়া যায় না। আসুন এই বিষয়ে জানা ও অজানা দিকগুলি নিয়ে আলোচনা করি।

সিঁদুরের ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক তাৎপর্য

সিঁদুর বা সিন্দুর হিন্দু সংস্কৃতিতে হাজার হাজার বছর ধরে প্রচলিত একটি ঐতিহ্য। মেহেরগড় ও হরপ্পা সভ্যতার গবেষণায় দেখা গেছে যে, ৫০০০ বছরেরও আগে থেকে মহিলারা চুলের সিঁথিতে সিঁদুর ব্যবহার করতেন। প্রাচীন হিন্দু গ্রন্থগুলিতে, যেমন পুরাণ, ললিতা সহস্রনাম এবং সৌন্দর্য লহরীতেও সিঁদুরের উল্লেখ পাওয়া যায়।

সিঁদুর পরার সঠিক দিক: হিন্দু ঐতিহ্য ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ

সিঁদুর পরার প্রথাটি হিন্দু মিথলজির সাথে গভীরভাবে জড়িত। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, দেবী পার্বতী তাঁর সিঁথিতে সিঁদুর পরতেন এবং বিশ্বাস করা হয় যে যে সমস্ত বিবাহিতা নারীরা সিঁদুর পরেন, দেবী পার্বতী তাঁদের স্বামীদের রক্ষা করেন1। এছাড়া, ভগবান শিব-পার্বতীর বিবাহে শিব পার্বতীর কপালে সিঁদুর পরিয়েছিলেন, এবং সেই থেকেই হিন্দু বিবাহে এই প্রথা চলে আসছে।

সিঁদুরের রঙ ও প্রতীকী অর্থ

সিঁদুরের লাল রং হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। লাল রঙ উর্বরতা, সমৃদ্ধি, শান্তি ও সুখের প্রতীক। এই রং প্রেম ও উত্সাহের প্রতীক এবং শক্তি ও নারী শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। বাংলাসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সিঁদুরের রং ভিন্ন হয়ে থাকে – বিহার, ছত্তিসগড়, উত্তর প্রদেশে কমলা রঙের সিঁদুর ব্যবহার করা হয়, অন্যদিকে বাংলা, ত্রিপুরা ও আসামে লাল রঙের সিঁদুর বেশি ব্যবহার করা হয়।

হিন্দু ধর্মে মাসিকের দৃষ্টিকোণ

হিন্দু ধর্মে মাসিক নিয়ে বিভিন্ন ধরণের দৃষ্টিকোণ রয়েছে। অনেকে মনে করেন, মাসিককালে একজন নারী অশুচি থাকেন, যার কারণে কিছু ধর্মীয় কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু এই ধারণাটি অনেকাংশে ভুল ব্যাখ্যা থেকে উৎপন্ন।

ভারতীয় মেনস্ট্রুয়াল হেল্থ শিক্ষাবিদ সিনু জোসেফের মতে, হিন্দু ধর্মে মাসিককালীন মহিলাদের অবস্থানকে ভিন্নভাবে দেখা হয়। অনেক হিন্দু সম্প্রদায়ে মনে করা হয় যে, মাসিককালে একজন নারী এতটাই পবিত্র যে তাকে ‘জীবন্ত দেবী’ হিসাবে পূজা করা হয়।

দক্ষিণ কর্ণাটকের বাসিন্দারা বিশ্বাস করেন যে মাসিককালীন তিন দিন মাতৃভূমি তার রজঃচক্র শুরু করেন, যার কারণে কোনো কৃষিকাজ করা হয় না। এখানে ঋতুশুদ্ধি অনুষ্ঠানও এই ধারণা থেকে উৎপন্ন, যেখানে নারীদের প্রজনন ক্ষমতার জন্য সম্মান দেখানো হয়, অশুচি হিসাবে নয়।

সিঁদুর ও মাসিক: প্রথাগত বিশ্বাস ও আচরণ

মাসিককালে সিঁদুর পরা নিয়ে সরাসরি কোন নিষেধাজ্ঞা হিন্দু শাস্ত্রে উল্লেখ নেই। তবে, মাসিককালে কিছু ধর্মীয় কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা আছে। যেমন, মন্দিরে প্রবেশ, পূজায় অংশগ্রহণ ইত্যাদি। কিন্তু সিঁদুর পরা হল একটি বিবাহিত মহিলার প্রতিদিনের অভ্যাস, যা তার বৈবাহিক অবস্থার প্রতীক।

সিঁদুর স্বামীর দীর্ঘজীবন এবং অমঙ্গল থেকে রক্ষা করার প্রতীক, যা নারীর বিবাহিত স্থিতি নির্দেশ করে। অতএব, যে সময়ে মহিলারা মাসিকের কারণে কিছু ধর্মীয় কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকেন, সেই সময়ে সিঁদুর পরা নিয়ে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই, কারণ এটি তার বিবাহিত অবস্থার সামাজিক চিহ্ন।

বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে সিঁদুর

প্রাচীনকালে, সিঁদুর প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা হত, যেমন হলুদ, ফিটকিরি বা চুন। এটি শুধু সামাজিক প্রতীক হিসেবে নয়, বরং স্বাস্থ্যগত সুবিধা প্রদানের জন্যও ব্যবহার করা হত। সিঁদুরের প্রধান উপাদান কুসুম্বা বা সিনাবারিস সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে মহিলাদের সিঁথি রক্ষা করে। এটি সাফ্রানিন পিগমেন্টের থার্মোরেগুলেটরি বৈশিষ্ট্যের কারণে চুল ও স্কাল্পকে ঠান্ডা রাখে।

আধুনিক সময়ে সিঁদুর ব্যবহার ও নতুন দৃষ্টিকোণ

আধুনিক সময়ে, সিঁদুর পরার প্রথা ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয় হয়ে উঠেছে। অনেক শিক্ষিত ও আধুনিক নারী এই প্রথাকে শ্রদ্ধা করেন এবং সম্মান করেন, কিন্তু তারা প্রতিদিন এটি পরতে নাও পারেন। কিছু মহিলা এটিকে অত্যন্ত ঐতিহ্যবাহী মনে করেন এবং এড়িয়ে যেতে পারেন।

সিন্দুর খেলা, যা দুর্গা পূজার বিজয়া দশমীর দিন উদযাপিত হয়, এটি ঐতিহ্যগতভাবে কেবল বিবাহিত মহিলাদের জন্য ছিল। কিন্তু আধুনিক সময়ে, এই উৎসবকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার প্রচেষ্টা হয়েছে। কলকাতা টাইমসের একটি প্রচারণার মাধ্যমে, এখন বিধবা, অবিবাহিত, ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তি এবং লাল-আলোর এলাকার মহিলারাও এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন, যা দেখায় যে এটি কেবল বিবাহিত মহিলাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সমস্ত নারী, সমস্ত বোনদের মধ্যে একটি সার্বজনীন বন্ধন।

বিশেষজ্ঞদের মতামত

ধর্মীয় বিশেষজ্ঞরা বলেন, সিঁদুর পরা একটি সামাজিক ও ধর্মীয় প্রথা, যা মূলত একজন বিবাহিত মহিলার অবস্থার প্রতীক। মাসিককালীন সময়ে, হিন্দু ধর্মানুসারে কিছু ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা থাকলেও, সিঁদুর পরার ক্ষেত্রে সরাসরি কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।

আসলে, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন প্রথা রয়েছে। কিছু জায়গায় মাসিককালীন সময়ে সিঁদুর পরার প্রথা না থাকতে পারে, কিন্তু এটি স্থানীয় রীতিনীতি এবং পারিবারিক ঐতিহ্যের উপর নির্ভর করে।

ব্যক্তিগত পছন্দ এবং সামাজিক প্রথা

সিঁদুর পরা বা না পরা একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত। আধুনিক সময়ে, অনেক মহিলা ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে চান। কিছু মহিলা সিঁদুর পরাকে একটি বাধ্যবাধকতা হিসাবে দেখেন, অন্যরা এটিকে একটি পছন্দের বিষয় হিসাবে দেখেন।

প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন শুধু মহিলাদেরই বিবাহিত অবস্থা প্রদর্শন করতে হবে? একজন পুরুষকে কেন তার বিবাহিত অবস্থা প্রদর্শন করতে হয় না? এই প্রশ্নগুলি আধুনিক সমাজে গুরুত্বপূর্ণ এবং নারীদের অধিকার ও সমতার জন্য লড়াইয়ের অংশ।

সিঁদুরের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক

সিঁদুর শুধু একটি সৌন্দর্য উপাদান নয়, এটি হিন্দু সমাজে একটি গভীর সাংস্কৃতিক অর্থ বহন করে। এটি বিবাহিত মহিলাদের জন্য একটি সামাজিক চিহ্ন, যা সমাজে তাদের অবস্থান ও পরিচয় নির্দেশ করে। মাসিককালীন সময়ে সিঁদুর পরা বা না পরা সম্পর্কে কোন স্পষ্ট নির্দেশনা না থাকলেও, এটি অন্যান্য মাসিক সংক্রান্ত রীতিনীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে পারে।

সিঁদুর দানের পর মুখ ঢেকে দেওয়া হয় কেন? রহস্যময় এই প্রথার গভীর তাৎপর্য

মাসিককালীন সিঁদুর পরার বিষয়ে, হিন্দু শাস্ত্রে সরাসরি কোন নিষেধাজ্ঞা উল্লেখ নেই। সিঁদুর পরা একটি সামাজিক ও ধর্মীয় প্রথা, যা বিবাহিত মহিলার অবস্থা ও স্বামীর দীর্ঘজীবনের প্রতীক। মাসিককালীন সময়ে কিছু ধর্মীয় কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা থাকলেও, সিঁদুর পরা ব্যক্তিগত ও সামাজিক অভ্যাসের অংশ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

আধুনিক সময়ে, অনেক মহিলা ঐতিহ্য ও ব্যক্তিগত পছন্দের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখেন। কেউ কেউ মাসিককালে সিঁদুর পরা থেকে বিরত থাকতে পারেন, আবার কেউ কেউ এটি পরতে পারেন। সবশেষে, এটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত এবং স্থানীয় রীতিনীতি ও পারিবারিক ঐতিহ্যের উপর নির্ভর করে। যা মনে রাখা জরুরি, তা হল সম্মান ও বোঝাপড়ার মনোভাব, যেখানে প্রত্যেক মহিলা তার নিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

সাম্প্রতিক খবর:

অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস: হঠাৎ অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহের ভয়াবহতা ও করণীয়

এক্স-ফ্যাক্টর SUV: Mahindra XUV700 – আধুনিক প্রযুক্তি, স্টাইল ও পারফরম্যান্সে অনন্য

আধুনিক স্পিড, স্টাইল আর বাজেটের মেলবন্ধন – ভারতের বাজারে আসছে ৫টি সেরা Sub 500 cc বাইক!

ইরান-ইসরায়েল: বোমা, ফাইটার জেট আর গোয়েন্দা প্রযুক্তি—কার হাতে কত শক্তি?

SIF (Specialized Investment Fund) কী? বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন দিগন্ত

বন্ধু ছিল একসময়, এখন রক্তশত্রু! ইরান-ইসরায়েল সম্পর্কের বিস্ফোরক ইতিহাস

বদলে গেল টিকিট বুকিংয়ের নিয়ম, কি বলছে IRCTC! জানুন বিস্তারিত

‘মাত্র তিন ঘণ্টায় বৈষ্ণোদেবী থেকে শ্রীনগর: চালু হল বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু পেরিয়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’

Confirm টিকিটেও যাত্রীর নাম বদলাবেন কিভাবে? সহজ নিয়মেই সমাধান!

অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস বন্ধের দিন : সাপ্তাহিক বন্ধের বিস্তারিত তথ্য জানুন

শিয়ালদা-বনগাঁ লাইনে AC লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে, জেনে নিন স্টপেজ ও ভাড়ার বিস্তারিত তথ্য

বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী: উত্তরবঙ্গের সাথে রাজধানীর সুবর্ণ সেতু

দীঘার নতুন জগন্নাথ মন্দির: পুরীর অনুরূপ দর্শন এবার বাঙালির দোরগোড়ায়

Skyscanner vs. Google Flights: ২০২৫ সালে সস্তায় বিমান টিকেট খুঁজে পাওয়ার সেরা উপায়

হিমাচল প্রদেশের শীর্ষ ১০ বিলাসবহুল হোটেল ও রিসোর্ট: স্বর্গীয় অভিজ্ঞতার নির্দেশিকা

বিমান টেকঅফের সময় এসি বন্ধ থাকে কেন? জানুন অজানা বিমান প্রযুক্তির রহস্য

আরো খবর

নিউজ বাংলা

  • আন্তর্জাতিক
  • বিবিধ
  • বাংলাদেশ
  • বাংলাদেশ রাজনীতি

খেলাধুলা

  • অলিম্পিক
  • ক্রিকেট
  • ফুটবল
  • সংস্কৃতি

টেকনোলজি

  • গেজেট
  • এআই
  • আইওএস
  • প্রযুক্তি

© 2025 Think Bengal All Rights Reserved
  • আমাদের সম্পর্কে
  • যোগাযোগ
  • ফ্যাক্ট চেকিং পলিসি
  • প্রাইভেসি পলিসি
  • কারেকশন পলিসি

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.