Durga Puja 2026 Dates Mahalaya: বাঙালির ক্যালেন্ডারে চোখ বোলালেই মনটা কেমন যেন উৎসব উৎসব করে ওঠে। আর সেই উৎসবের রাজা যদি হয় দুর্গাপূজা, তাহলে तो কথাই নেই। যদিও ২০২৫ সালের পূজা সবে শেষ হয়েছে বা হতে চলেছে, এর মধ্যেই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে শুরু করেছে, পরের বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে পূজার ঘণ্টা বাজবে কবে? উৎসবপ্রেমী বাঙালির সেই অপেক্ষার অবসান ঘটাতে আমরা নিয়ে এসেছি ২০২৬ সালের শারদোৎসবের সম্পূর্ণ দিনপঞ্জি। মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠ শোনার দিন থেকে শুরু করে মায়ের বিসর্জনের বিষণ্ণ সুর, সবকিছুর দিনক্ষণ রইল এই প্রতিবেদনে। ২০২৬ সালে মহালয়া অনুষ্ঠিত হবে ১৫ই অক্টোবর, বৃহস্পতিবার। এর ঠিক ছয় দিন পর, ২১শে অক্টোবর, বুধবার মহাপঞ্চমীর মাধ্যমে দুর্গাপূজার মূল পর্ব শুরু হবে এবং ২৬শে অক্টোবর, সোমবার বিজয়া দশমীর মধ্যে দিয়ে এই মহোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। এই উৎসব এখন শুধু বাংলার নয়, UNESCO-এর চোখে এক বিশ্বজনীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।
দুর্গাপূজা: শুধু উৎসব নয়, বাঙালির আবেগ ও সংস্কৃতি
দুর্গাপূজা শুধু একটি বাৎসরিক উৎসব নয়, এটি বাঙালির জীবনে এক গভীর আবেগ, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি। এটি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের এক মহামিলনের উৎসব। শরৎকালের মনোরম আবহাওয়া, আকাশে সাদা মেঘের ভেলা, শিউলি ফুলের গন্ধ আর ঢাকের আওয়াজ—এই সবকিছু মিলেমিশে এক অনবদ্য পরিবেশ তৈরি করে। এই সময়টা শুধু আনন্দ বা উদযাপনের নয়, এটি বাঙালির শৈল্পিক সত্তা, সৃজনশীলতা এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের এক বিশাল মঞ্চ।
২০২৬ সালের শারদীয়ার সম্পূর্ণ নির্ঘণ্ট (ক্যালেন্ডার)
আসন্ন ২০২৬ সালের দুর্গাপূজার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিন। ছুটির পরিকল্পনা থেকে শুরু করে কেনাকাটা, সবকিছু গুছিয়ে নেওয়ার জন্য নিচের তালিকাটি আপনাকে সাহায্য করবে।
উৎসবের দিন | তারিখ | বার | তিথি |
মহালয়া | ১৫ অক্টোবর, ২০২৬ | বৃহস্পতিবার | অমাবস্যা |
মহাপঞ্চমী | ২১ অক্টোবর, ২০২৬ | বুধবার | পঞ্চমী |
মহাষষ্ঠী | ২২ অক্টোবর, ২০২৬ | বৃহস্পতিবার | ষষ্ঠী |
মহাসপ্তমী | ২৩ অক্টোবর, ২০২৬ | শুক্রবার | সপ্তমী |
মহাষ্টমী | ২৪ অক্টোবর, ২০২৬ | শনিবার | অষ্টমী |
মহানবমী | ২৫ অক্টোবর, ২০২৬ | রবিবার | নবমী |
বিজয়া দশমী | ২৬ অক্টোবর, ২০২৬ | সোমবার | দশমী |
এই তারিখগুলি বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত এবং গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা উভয়ের গণনা অনুযায়ী প্রায় একই থাকবে, তবে সামান্য পার্থক্য দেখা যেতে পারে।
মহালয়া ২০২৬: দেবীপক্ষের সূচনা
মহালয়া দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘোষণা করে। এই দিনটি পিতৃপক্ষের অবসান এবং দেবীপক্ষের শুরুর সন্ধিক্ষণ। ২০২৬ সালের ১৫ই অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, ভোরবেলা থেকেই রেডিওতে বেজে উঠবে কিংবদন্তী শিল্পী বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের সেই অবিস্মরণীয় স্তোত্রপাঠ “মহিষাসুরমর্দিনী”। All India Radio (Akashvani)-র এই অনুষ্ঠানটি ছাড়া বাঙালির কাছে মহালয়ার সকাল যেন অসম্পূর্ণ। এই দিন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তির জন্য তর্পণ করেন। গঙ্গার ঘাটে ঘাটে হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমে এই তর্পণ করার জন্য। মহালয়া একাধারে যেমন বিষাদের দিন, তেমনই আবার আনন্দের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে।
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র: যার কন্ঠ ছাড়া মহালয়া ভাবা যায় না
প্রায় নয় দশক ধরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে “মহিষাসুরমর্দিনী” পাঠ বাঙালির ঐতিহ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। ১৯৩১ সালে প্রথম সম্প্রচারিত এই অনুষ্ঠানটি আজও তার আবেদন হারায়নি। এটি শুধু একটি রেডিও অনুষ্ঠান নয়, এটি বাঙালির কাছে এক জীবন্ত আবেগ যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসছে। মহালয়ার ভোর মানেই এই চণ্ডীপাঠের সুর, যাতে পূজার গন্ধ ছড়িয়ে দেয়।
দুর্গাপূজার ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট
দুর্গাপূজার ইতিহাস বহু প্রাচীন। প্রথমে এটি ছিল মূলত জমিদার এবং অভিজাত পরিবারগুলির মধ্যে সীমাবদ্ধ, যা “বনেদি বাড়ির পূজা” নামে পরিচিত। কলকাতার সাবর্ণ রায় চৌধুরী পরিবারের পূজা প্রায় ৪০০ বছরেরও বেশি পুরোনো বলে মনে করা হয়। তবে অষ্টাদশ শতকের শেষের দিকে কলকাতায় বারো জন বন্ধুর মিলিত উদ্যোগে প্রথম সার্বজনীন বা “বারোয়ারি” পূজা শুরু হয়, যা পরে ধীরে ধীরে আজকের এই বিশাল রূপ নিয়েছে।
ইউনেস্কোর স্বীকৃতি: বিশ্বমঞ্চে কলকাতা ও দুর্গাপূজা
২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে, রাষ্ট্রপুঞ্জের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (UNESCO) কলকাতার দুর্গাপূজাকে “মানবতার জন্য অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের” (Intangible Cultural Heritage of Humanity) তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এই স্বীকৃতি শুধুমাত্র উৎসবের বিশালতাকে নয়, এর সাথে জড়িত শিল্পী, কারিগর এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের সৃজনশীলতা ও আবেগকে সম্মান জানায়। এই স্বীকৃতির ফলে বিশ্বজুড়ে দুর্গাপূজার পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্ব বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। BBC News এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে প্রচার করেছিল।
দুর্গাপূজার অর্থনীতি: এক বিশাল সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ
দুর্গাপূজা শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক উৎসব নয়, এটি পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতির একটি বড় চালিকাশক্তি। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে এক বিশাল সৃজনশীল অর্থনীতি (Creative Economy) গড়ে উঠেছে, যা প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেন করে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে।
পরিসংখ্যানের আলোকে শারদোৎসব
- অর্থনৈতিক মূল্য: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন বিভাগের সহযোগিতায় ব্রিটিশ কাউন্সিলের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, কলকাতার দুর্গাপূজার অর্থনৈতিক মূল্য প্রায় ৩২,৩৭৭ কোটি টাকা, যা রাজ্যের মোট জিডিপি-র (GDP) ২.৫৮%। এই পরিসংখ্যানটি ২০১৯ সালের এবং বর্তমানে এর পরিমাণ আরও বেড়েছে বলে অনুমান করা হয়।
- কর্মসংস্থান: এই উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিমা শিল্পী, প্যান্ডেল নির্মাতা, আলোকসজ্জা শিল্পী, ঢাকি, পুরোহিত থেকে শুরু করে বস্ত্র, পরিবহন, খাদ্য এবং খুচরো ব্যবসার সাথে যুক্ত লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়।
- খুচরো ব্যবসা: দুর্গাপূজার সময় পশ্চিমবঙ্গে খুচরো ব্যবসার পরিমাণ প্রায় ২৮-৩০% বৃদ্ধি পায়। পোশাক, অলঙ্কার, ইলেকট্রনিক্স এবং উপহার সামগ্রীর বিক্রি এই সময় তুঙ্গে থাকে।
- পর্যটন: ইউনেস্কোর স্বীকৃতির পর দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকদের আগমন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। রাজ্য পর্যটন দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পূজা দেখার জন্য আসা পর্যটকদের মাধ্যমেও অর্থনীতি শক্তিশালী হয়।
এই পরিসংখ্যানগুলি প্রমাণ করে যে দুর্গাপূজা এখন আর শুধুমাত্র একটি উৎসব নয়, এটি পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি এবং সামাজিক কাঠামোর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
পূজার প্রতিটি দিনের তাৎপর্য: ষষ্ঠী থেকে দশমী
দুর্গাপূজার মূল পর্বটি মূলত পাঁচ দিন ধরে চলে। প্রতিটি দিনের নিজস্ব রীতিনীতি, পূজা এবং তাৎপর্য রয়েছে।
মহাষষ্ঠী: মায়ের আবাহন
মহাষষ্ঠীর দিন কল্পারম্ভের মাধ্যমে পূজার সূচনা হয়। এই দিন সন্ধ্যায় দেবীর মূর্তিতে চোখ আঁকা হয় এবং “বোধনের” মাধ্যমে দেবীকে আবাহন করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, এই দিন দেবী তার সন্তানদের নিয়ে কৈলাস থেকে মর্ত্যে তার বাপের বাড়িতে আসেন। মণ্ডপে মণ্ডপে ঢাকের আওয়াজ এবং মানুষের উল্লাস এই দিনের আগমনকে চিহ্নিত করে।
মহাসপ্তমী: নবপত্রিকা স্থাপন
মহাসপ্তমীর সকালে “নবপত্রিকা” বা “কলাবউ”-কে স্নান করিয়ে পূজা মণ্ডপে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই নবপত্রিকা আসলে নয়টি ভিন্ন গাছের পাতা ও ডাল দিয়ে তৈরি, যা দেবী দুর্গার নয়টি রূপের প্রতীক। অনেকেই কলাবউকে গণেশের স্ত্রী বলে ভুল করলেও, আসলে এটি দেবী দুর্গারই একটি রূপ।
মহাষ্টমী: অঞ্জলি ও সন্ধিপূজা
মহাষ্টমী পূজার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলির মধ্যে অন্যতম। সকাল থেকে উপবাস করে দেবীর চরণে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার জন্য মণ্ডপে মণ্ডপে বিশাল ভিড় জমে। মহাষ্টমীর প্রধান আকর্ষণ হলো “সন্ধিপূজা”। অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট এবং নবমী তিথির প্রথম ২৪ মিনিট, অর্থাৎ মোট ৪৮ মিনিটের এই সন্ধিক্ষণে দেবী চামুণ্ডা রূপে মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়। এই সময় ১০৮টি মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে এবং ১০৮টি পদ্মফুল দিয়ে দেবীর বিশেষ আরাধনা করা হয়।
মহানবমী: পূজার সমাপ্তির প্রস্তুতি
মহানবমী হলো দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিক শেষ দিন। এই দিন বিশেষ পূজা, হোম এবং যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। চারিদিকে উৎসবের আনন্দ থাকলেও, মনে বাজতে থাকে বিদায়ের সুর। এই দিনে বিভিন্ন মণ্ডপে ভোগ বিতরণ করা হয় এবং মানুষ শেষবারের মতো ঠাকুর দেখার জন্য বেরিয়ে পড়ে।
বিজয়া দশমী: বিষাদ ও আনন্দের মিশ্রণ
দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। এই দিন বিবাহিত মহিলারা সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন। তারা দেবীর চরণে সিঁদুর অর্পণ করেন এবং একে অপরের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন। এরপর বাপের বাড়ি থেকে মেয়ে উমাকে বিদায় জানানোর পালা। ঢাকের তালে তালে শোভাযাত্রা করে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। বিসর্জনের পর “শান্তিজল” গ্রহণ করা হয় এবং বড়দের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ নেওয়া হয়। এইভাবেই শেষ হয় বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব।
থিমের পূজা বনাম সাবেকিয়ানা: এক শৈল্পিক বিবর্তন
বিগত কয়েক দশকে কলকাতার দুর্গাপূজা এক শৈল্পিক বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে গেছে। সাবেকী একচালার প্রতিমার পাশাপাশি এখন “থিম” পূজার চল প্রচণ্ড। বিভিন্ন ক্লাব এবং পূজা কমিটিগুলি প্রতি বছর নতুন নতুন ভাবনা বা থিম নিয়ে আসে। এই থিমগুলি হতে পারে সামাজিক, রাজনৈতিক, পরিবেশগত বা সম্পূর্ণ কাল্পনিক। প্যান্ডেল, প্রতিমা, আলোকসজ্জা—সবকিছুই সেই থিমের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। এই থিম পূজা দুর্গাপূজাকে এক আন্তর্জাতিক শিল্প প্রদর্শনীতে পরিণত করেছে। তবে এর পাশাপাশি বনেদি বাড়ি এবং কিছু সার্বজনীন পূজায় আজও সাবেকিয়ানার ঐতিহ্য অটুট রয়েছে।
বিশ্বজুড়ে দুর্গাপূজা
দুর্গাপূজা এখন আর শুধু পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বিশ্বের যেখানেই বাঙালিরা রয়েছেন, সেখানেই এই উৎসব পালিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতেও প্রবাসী বাঙালিরা দুর্গাপূজার আয়োজন করেন। এই পূজাগুলি তাদের কাছে শুধু একটি উৎসব নয়, নিজেদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটি মাধ্যম। Forbes-এর মতো আন্তর্জাতিক পত্রিকাও দুর্গাপূজার এই বিশ্বজনীন রূপকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
দুর্গাপূজা বাঙালির জীবনে এক নতুন আনন্দ এবং উদ্দীপনা নিয়ে আসে। এটি শুধু আনন্দ এবং উদযাপনের উৎসব নয়, এটি মিলন, সম্প্রীতি এবং ভালোবাসার উৎসব। ২০২৬ সালের দুর্গাপূজার এখনও অনেকটা দেরি থাকলেও, এই দিনপঞ্জি আপনাকে আগামী বছরের পরিকল্পনা করতে সাহায্য করবে। ঢাকের আওয়াজ, শিউলির গন্ধ আর মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকা—এই অনুভূতির জন্য বাঙালি সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে। আসুন, আমরা সবাই মিলেমিশে এই সাংস্কৃতিক মহাযজ্ঞকে আরও সুন্দর করে তুলি।