গুগল ফর্মের আড়ালে ভয়ঙ্কর প্রতারণার ফাঁদ! এক ক্লিকেই খালি হতে পারে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট!

ডিজিটাল ইন্ডিয়ার দৌলতে আমাদের জীবনযাত্রা যেমন সহজ হয়েছে, তেমনই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অনলাইন প্রতারণার ঝুঁকি। নিত্যনতুন কৌশলে সাইবার অপরাধীরা সাধারণ মানুষকে তাদের কষ্টার্জিত অর্থ থেকে বঞ্চিত করছে। সম্প্রতি, এই প্রতারণার…

Soumya Chatterjee

 

ডিজিটাল ইন্ডিয়ার দৌলতে আমাদের জীবনযাত্রা যেমন সহজ হয়েছে, তেমনই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অনলাইন প্রতারণার ঝুঁকি। নিত্যনতুন কৌশলে সাইবার অপরাধীরা সাধারণ মানুষকে তাদের কষ্টার্জিত অর্থ থেকে বঞ্চিত করছে। সম্প্রতি, এই প্রতারণার তালিকায় নতুন এবং ভয়ঙ্কর সংযোজন হয়েছে ‘গুগল ফর্ম স্ক্যাম’। যা আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ মনে হলেও, এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে আপনার সর্বস্বান্ত হওয়ার আশঙ্কা। অফিসিয়াল সার্ভে, চাকরির আবেদন বা অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের আড়ালে পাতা এই ফাঁদে পা দিলেই মুহূর্তে ফাঁকা হয়ে যেতে পারে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। চলুন, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক এই প্রতারণার খুঁটিনাটি এবং এর থেকে বাঁচার উপায়।

গুগল ফর্ম কী এবং কীভাবে এটি প্রতারণার অস্ত্র হয়ে উঠছে?

গুগল ফর্ম (Google Forms) গুগলের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত একটি পরিষেবা। বিভিন্ন ধরণের তথ্য সংগ্রহ, সার্ভে, কুইজ, অনলাইন রেজিস্ট্রেশন, চাকরির আবেদনপত্র তৈরি এবং বিতরণের জন্য এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এর সহজ ব্যবহার এবং নির্ভরযোগ্যতার কারণে বিভিন্ন সংস্থা এবং ব্যক্তিগত স্তরে এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।

কিন্তু সম্প্রতি, সাইবার অপরাধীরা এই জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মটিকেই তাদের প্রতারণার অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে। তারা বিভিন্ন নামীদামী সংস্থা, ব্যাঙ্ক, সরকারি প্রতিষ্ঠান বা চাকরির নিয়োগকর্তার ছদ্মবেশে ভুয়ো গুগল ফর্ম তৈরি করছে। এই ফর্মগুলি এতটাই নিখুঁতভাবে ডিজাইন করা হয় যে, আসল এবং নকলের মধ্যে পার্থক্য করা সাধারণ মানুষের পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

প্রতারণার কার্যপ্রণালী:

১. ইমেল বা মেসেজের মাধ্যমে লিঙ্ক প্রেরণ: প্রতারকরা সাধারণত ইমেল, হোয়াটসঅ্যাপ, বা অন্য কোনও মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে একটি লিঙ্ক পাঠায়। এই মেসেজগুলিতে আকর্ষণীয় চাকরির অফার, লটারি জেতার লোভনীয় প্রস্তাব, KYC আপডেট করার জরুরি বার্তা, অথবা কোনও বিশেষ সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার কথা বলা থাকে।

২. বিশ্বাসযোগ্যতার অভিনয়: মেসেজের ভাষা এবং উপস্থাপনা এতটাই পেশাদার হয় যে সহজেই বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়। তারা প্রায়শই পরিচিত কোম্পানির লোগো এবং ব্র্যান্ডিং ব্যবহার করে।

৩. ভুয়ো গুগল ফর্মে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ: পাঠানো লিঙ্কে ক্লিক করলে একটি গুগল ফর্ম খোলে। এই ফর্মে আপনার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বরের মতো সাধারণ তথ্যের পাশাপাশি অত্যন্ত সংবেদনশীল তথ্য যেমন – ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের বিবরণ, CVV, পিন নম্বর, ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড চাওয়া হয়।

৪. তথ্য হাতিয়ে নেওয়া: আপনি সরল বিশ্বাসে এই সমস্ত তথ্য পূরণ করে সাবমিট করার সাথে সাথেই সেই তথ্য সরাসরি প্রতারকদের হাতে পৌঁছে যায়।

৫. ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালি: এরপর সেই তথ্য ব্যবহার করে প্রতারকরা আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে সমস্ত টাকা তুলে নেয়। অনেক ক্ষেত্রে, তারা এই তথ্য ব্যবহার করে আপনার নামে লোনও তুলে নিতে পারে, যার দায়ভার আপনার উপরেই বর্তায়।

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান: ভারতে অনলাইন প্রতারণার ভয়ঙ্কর চিত্র

বর্তমানে ভারত ডিজিটাল প্রতারণার এক ভয়ঙ্কর ঢেউয়ের সম্মুখীন। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, এই ধরণের অপরাধের সংখ্যা এবং তার ফলে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

  • আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ: ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে সাইবার অপরাধের কারণে ভারতীয়রা ২২,৮৪৫ কোটি টাকার বেশি খুইয়েছেন, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ২০৬% বেশি। এই পরিসংখ্যান অনলাইন আর্থিক প্রতারণার ভয়াবহতাকেই তুলে ধরে।
  • অভিযোগের সংখ্যা: ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টালে (NCRP) ২০২৪ সালে ৩৬ লক্ষেরও বেশি আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
  • ফিশিং অ্যাটাকের বৃদ্ধি: Zscaler-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ফিশিং অ্যাটাকের ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। এর থেকেই বোঝা যায়, ভুয়ো লিঙ্ক বা ফর্ম পাঠিয়ে তথ্য চুরির ঘটনা কতটা বেড়েছে।
  • গাণিতিক বিশ্লেষণ: যদি ধরে নেওয়া হয় যে, ২০২৪ সালে ৩৬ লক্ষ প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে এবং মোট ক্ষতির পরিমাণ ২২,৮৪৫ কোটি টাকা, তাহলে প্রতিটি ঘটনায় গড় ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ₹৬৩,৪৫৮। যদিও কিছু ক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ লক্ষ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যায়।

এই পরিসংখ্যানগুলি প্রমাণ করে যে, গুগল ফর্মের মতো আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ টুল ব্যবহার করে প্রতারকরা কত বড় আকারের আর্থিক ক্ষতিসাধন করতে সক্ষম।

কীভাবে চিনবেন ভুয়ো গুগল ফর্ম? সতর্ক থাকার উপায়

প্রতারকদের হাত থেকে বাঁচতে হলে নিজেকেই সচেতন হতে হবে। কিছু বিষয় মাথায় রাখলে আপনি সহজেই আসল এবং নকল গুগল ফর্মের পার্থক্য করতে পারবেন।

১. প্রেরকের পরিচয় যাচাই করুন: যেকোনো অজানা বা সন্দেহজনক উৎস থেকে আসা ইমেল বা মেসেজের লিঙ্কে ক্লিক করার আগে প্রেরকের পরিচয় ভালোভাবে যাচাই করুন। ইমেল অ্যাড্রেসটি কি অফিসিয়াল ডোমেইন থেকে এসেছে? নাকি সেটি কোনও ব্যক্তিগত Gmail বা অন্য কোনও ফ্রি ইমেল পরিষেবা থেকে পাঠানো হয়েছে? যেমন, কোনও ব্যাঙ্কের ইমেল সবসময় তাদের অফিসিয়াল ডোমেইন ( @sbi.co.in) থেকে আসে, @gmail.com থেকে নয়।

২. URL বা লিঙ্ক পরীক্ষা করুন: লিঙ্কে ক্লিক করার আগে সেটির উপর মাউস হোভার করে (ডেস্কটপে) বা লিঙ্কটি চেপে ধরে (মোবাইলে) তার সম্পূর্ণ URL টি দেখে নিন। গুগল ফর্মের লিঙ্ক সাধারণত docs.google.com/forms/... দিয়ে শুরু হয়। যদি লিঙ্কটি সন্দেহজনক বা সংক্ষিপ্ত করা (shortened) থাকে, তাহলে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন।

৩. অত্যন্ত সংবেদনশীল তথ্য চাওয়া হচ্ছে কিনা খেয়াল করুন: মনে রাখবেন, কোনও বৈধ সংস্থা বা ব্যাঙ্ক কখনই গুগল ফর্মে আপনার ব্যাঙ্কের পাসওয়ার্ড, পিন, CVV, বা সম্পূর্ণ কার্ড নম্বর জানতে চাইবে না। যদি কোনও ফর্মে এই ধরণের তথ্য চাওয়া হয়, তাহলে নিশ্চিতভাবে ধরে নেবেন এটি একটি প্রতারণার ফাঁদ।

৪. বানান এবং ব্যাকরণের ভুল: প্রতারকদের তৈরি করা ফর্মে প্রায়শই বানান বা ব্যাকরণগত ভুল থাকে। তাড়াহুড়ো করে তৈরি করার ফলে এই ভুলগুলি থেকে যায়। পেশাদার সংস্থাগুলির যোগাযোগে এই ধরণের ভুল থাকার সম্ভাবনা প্রায় শূন্য।

৫. লোভনীয় এবং অবাস্তব অফার থেকে সাবধান: যদি কোনও ফর্ম আপনাকে বিনামূল্যে 엄청 পুরষ্কার, লটারি জেতা বা অবিশ্বাস্য ছাড়ের প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলে সতর্ক হন। “সহজেই টাকা রোজগারের” কোনও পথই আসলে সহজ নয়।

৬. HTTPS প্রোটোকল: ওয়েবসাইটের লিঙ্কটি “https” দিয়ে শুরু হচ্ছে কিনা তা দেখুন। “s” এর অর্থ “secure” বা সুরক্ষিত। যদিও প্রতারকরাও এখন HTTPS ব্যবহার করতে শুরু করেছে, তবুও এটি একটি প্রাথমিক সুরক্ষার স্তর।

৭. সরাসরি সংস্থার সাথে যোগাযোগ করুন: যদি কোনও ইমেল বা মেসেজ কোনও পরিচিত সংস্থা থেকে এসেছে বলে মনে হয়, কিন্তু আপনার সন্দেহ হয়, তাহলে সেই ফর্মটি পূরণ না করে সরাসরি সেই সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করে সত্যতা যাচাই করে নিন।

প্রতারণার শিকার হলে তৎক্ষণাৎ কী করবেন?

সমস্ত সতর্কতা সত্ত্বেও যদি আপনি প্রতারণার শিকার হন, তাহলে সময় নষ্ট না করে অবিলম্বে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করুন:

১. ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করুন: অবিলম্বে আপনার ব্যাঙ্কের কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে আপনার কার্ড এবং নেট ব্যাঙ্কিং পরিষেবা ব্লক করে দিন।

২. সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দায়ের করুন: জাতীয় সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টালে (www.cybercrime.gov.in) অথবা হেল্পলাইন নম্বর ১৯৩০ (1930)-তে ফোন করে বিস্তারিত অভিযোগ দায়ের করুন। যত তাড়াতাড়ি অভিযোগ করবেন, টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়বে।

৩. প্রমাণ সংগ্রহ করুন: প্রতারণামূলক মেসেজ, ইমেল, গুগল ফর্মের লিঙ্ক এবং লেনদেনের সমস্ত বিবরণ স্ক্রিনশট নিয়ে বা সেভ করে রাখুন। এটি তদন্তে সাহায্য করবে।

৪. ভুয়ো ফর্মটি রিপোর্ট করুন: যে গুগল ফর্মের মাধ্যমে প্রতারণা হয়েছে, সেই ফর্মের নীচে “Report Abuse” অপশনে ক্লিক করে সেটিকে ফিশিং বা স্প্যাম হিসেবে রিপোর্ট করুন।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQs)

প্রশ্ন: গুগল ফর্ম কি আদৌ সুরক্ষিত? উত্তর: হ্যাঁ, গুগল ফর্ম নিজে একটি সুরক্ষিত প্ল্যাটফর্ম। গুগল ডেটা সুরক্ষার জন্য এনক্রিপশন ব্যবহার করে। সমস্যাটি প্ল্যাটফর্মের নয়, বরং প্রতারকদের যারা এই প্ল্যাটফর্মটিকে অপব্যবহার করে।

প্রশ্ন: প্রতারকরা কীভাবে আমার ইমেল বা ফোন নম্বর পায়? উত্তর: বিভিন্ন ডেটা লিক, অনিরাপদ ওয়েবসাইটে তথ্য প্রদান, অথবা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রতারকরা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।

প্রশ্ন: শুধুমাত্র নাম এবং ফোন নম্বর দিলে কি আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হতে পারে? উত্তর: শুধুমাত্র নাম এবং ফোন নম্বর দিয়ে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা কঠিন। কিন্তু এই তথ্য ব্যবহার করে প্রতারকরা আপনাকে টার্গেট করে আরও সংবেদনশীল তথ্য (যেমন OTP) হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে।

প্রশ্ন: চাকরির আবেদনের জন্য গুগল ফর্মে তথ্য দেওয়া কি নিরাপদ? উত্তর: অনেক বৈধ সংস্থা চাকরির আবেদনের জন্য গুগল ফর্ম ব্যবহার করে। কিন্তু আবেদন করার আগে সংস্থার সত্যতা যাচাই করে নিন। কোনও বৈধ নিয়োগকর্তা চাকরির জন্য অগ্রিম টাকা বা ব্যাঙ্কিং পাসওয়ার্ড চাইবে না।

প্রশ্ন: আমি কীভাবে একটি ভুয়ো গুগল ফর্ম রিপোর্ট করব? উত্তর: প্রতিটি গুগল ফর্মের নীচে “Never submit passwords through Google Forms” লেখার পাশে একটি “Report Abuse” লিঙ্ক থাকে। সেখানে ক্লিক করে আপনি ফর্মটিকে স্প্যাম বা ফিশিং হিসেবে রিপোর্ট করতে পারেন।

উপসংহার: ডিজিটাল যুগে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলির ব্যবহার অপরিহার্য। কিন্তু এর সাথে আসা ঝুঁকিগুলি সম্পর্কেও আমাদের সচেতন থাকতে হবে। গুগল ফর্ম একটি অত্যন্ত দরকারি টুল, কিন্তু সাইবার অপরাধীদের হাতে এটি একটি ভয়ংকর অস্ত্রে পরিণত হয়েছে। সামান্য সতর্কতা এবং জ্ঞানই পারে আপনাকে এই ধরণের প্রতারণার হাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে। কোনও লিঙ্কে ক্লিক করার আগে দু’বার ভাবুন, কোনও ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার আগে যাচাই করুন। আপনার ডিজিটাল সুরক্ষা আপনারই হাতে।

About Author
Soumya Chatterjee

সৌম্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক এবং প্রযুক্তি বিষয়ক লেখালিখিতে বিশেষ আগ্রহী। তিনি একজন উদ্যমী লেখক, যিনি প্রযুক্তির জটিল ধারণাগুলোকে সহজভাবে উপস্থাপন করতে দক্ষ। তার লেখার মূল ক্ষেত্রগুলোতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে নতুন প্রযুক্তি, গ্যাজেট রিভিউ, সফটওয়্যার গাইড, এবং উদীয়মান টেক প্রবণতা। সৌম্যর প্রাঞ্জল ও তথ্যবহুল লেখনী পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রযুক্তি সম্পর্কে তার গভীর জ্ঞান এবং অনুসন্ধিৎসু মনোভাব তাকে পাঠকদের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয় করে তুলেছে। টেক জগতে চলমান পরিবর্তনগুলির সাথে তাল মিলিয়ে সৌম্য সর্বদা নতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ বিষয়বস্তু নিয়ে আসতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।