Signs your period is coming: পিরিয়ড একজন নারীর জীবনের একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। তবে অনেক নারীই প্রশ্ন করেন: “কিভাবে বুঝবো পিরিয়ড হবে?” এটি জানতে কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ ও শারীরিক পরিবর্তনের দিকে নজর রাখতে হবে। এই নিবন্ধে আমরা পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগের লক্ষণ, শরীরের পরিবর্তন এবং কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত রাখতে পারেন তা বিস্তারিত আলোচনা করবো।
পিরিয়ড, যাকে মাসিক বা মেনস্ট্রুয়েশন বলা হয়, নারীর শরীরের প্রজনন প্রক্রিয়ার একটি অংশ। সাধারণত প্রতি ২৮-৩৫ দিন পর পর পিরিয়ড হয়। এটি শুরু হওয়ার আগে শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা দেয়, যা বুঝতে পারলে একজন নারী সহজেই প্রস্তুতি নিতে পারেন।
Period Pain: পিরিয়ডের সময় জয়েন্টে ব্যথা, কারণ ও প্রতিকার – বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগে শরীর কিছু নির্দিষ্ট সংকেত দেয়। নিচে সেই লক্ষণগুলো পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হলো:
পিরিয়ডের আগের একটি সাধারণ লক্ষণ হলো পেটের নিচের অংশে ব্যথা। সাধারণত এই ব্যথাকে প্রি-মেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম (PMS) বলা হয়। ব্যথাটি হালকা থেকে মাঝারি হতে পারে এবং পিরিয়ড শুরুর ১-২ দিন আগে শুরু হয়।
উপসর্গ:
পিরিয়ডের আগে অনেক নারীর স্তনে ফোলাভাব এবং সংবেদনশীলতা বেড়ে যায়। এটি হরমোনের পরিবর্তনের কারণে ঘটে।
উপসর্গ:
পিরিয়ডের আগে হরমোন পরিবর্তনের কারণে অনেক নারীর মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। তারা কখনও খুব আবেগপ্রবণ, আবার কখনও খুব রাগান্বিত হয়ে পড়েন।
উপসর্গ:
লক্ষণ | নারীদের শতকরা হার |
---|---|
পেটের নিচের ব্যথা | ৭৫% |
স্তনের সংবেদনশীলতা | ৬৫% |
মেজাজ পরিবর্তন | ৭০% |
ক্লান্তি ও ঘুমের সমস্যা | ৬০% |
হরমোনের তারতম্যের কারণে পিরিয়ডের আগে অনেকের ত্বকে ব্রণ বা ফুসকুড়ি দেখা যায়।
পিরিয়ড শুরুর আগে অনেক নারী অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করেন। ঘুমের সমস্যা ও অবসাদও দেখা দিতে পারে।
কিছু নারী পিরিয়ডের আগে হজমের সমস্যায় ভুগে থাকেন। ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও হতে পারে।
পিরিয়ডের আগের লক্ষণগুলো বুঝতে পারলে আপনি সহজেই প্রস্তুতি নিতে পারবেন। নিচে কিছু টিপস দেওয়া হলো:
সবসময় নিজের ব্যাগে প্যাড বা ট্যাম্পন রাখুন। বিশেষ করে যখন পিরিয়ডের সময়সীমা ঘনিয়ে আসে।
পেটের ব্যথা কমাতে হালকা ব্যায়াম কার্যকর হতে পারে। যোগব্যায়াম ও মেডিটেশনও উপকারী।
পিরিয়ডের আগে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখতে পুষ্টিকর খাবার খান। বিশেষ করে ফলমূল, শাকসবজি এবং প্রোটিন।
পিরিয়ডের আগের কিছু উপসর্গ প্রাকৃতিক উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নিচে কিছু প্রাকৃতিক টিপস দেওয়া হলো:
যদি পিরিয়ডের আগে বা সময়ে খুব বেশি ব্যথা হয় অথবা অন্যান্য অস্বাভাবিক উপসর্গ দেখা দেয়, তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কিছু ক্ষেত্রে পিরিয়ডের আগে অতিরিক্ত ব্যথা এন্ডোমেট্রিওসিস বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (PCOS) এর লক্ষণ হতে পারে।
প্রত্যেক নারীকে তাদের শরীর সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। পিরিয়ড শুরুর আগে শরীর যে সংকেত দেয় সেগুলো বুঝতে পারলে মানসিক এবং শারীরিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সহজ হয়। “কিভাবে বুঝবো পিরিয়ড হবে?” এই প্রশ্নের উত্তর হলো আপনার শরীরের সংকেতগুলো পর্যবেক্ষণ করা। নিয়মিত ডায়েরি বা ক্যালেন্ডারে তারিখ লিখে রাখুন এবং পিরিয়ডের আগের লক্ষণগুলো পর্যবেক্ষণ করুন। এতে আপনি সঠিক সময়ে প্রস্তুত থাকতে পারবেন এবং অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়তে হবে না।
মন্তব্য করুন