ISRO 2025 most expensive satellite launch: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে বিশ্বের সবচেয়ে দামি পৃথিবী পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট NISAR লঞ্চ করার পরিকল্পনা করছে। এই অত্যাধুনিক স্যাটেলাইটটি প্রতি ১২ দিনে পৃথিবীর প্রায় সমস্ত স্থলভাগ ও বরফাবৃত অঞ্চল স্ক্যান করবে এবং অত্যন্ত উচ্চ রেজোলিউশনের ছবি সরবরাহ করবে।
NISAR (NASA-ISRO Synthetic Aperture Radar) হল ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রকল্প, যা পৃথিবীর পরিবেশগত পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ পর্যবেক্ষণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই স্যাটেলাইটের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল:
গতিধারা প্রকল্প: পশ্চিমবঙ্গে গাড়ি কিনতে ১ লাখ টাকা সরকারি সাহায্য!
NISAR স্যাটেলাইট লঞ্চের পাশাপাশি, ISRO ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মিশন পরিচালনা করার পরিকল্পনা করছে। মহাকাশ মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন যে এই সময়কালে অন্তত ছয়টি বড় মিশন সম্পন্ন করা হবে।
২০২৪ সালে ISRO মোট ১৫টি মিশন সম্পন্ন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে কিছু প্রযুক্তি প্রদর্শন মিশন এবং বাণিজ্যিক লঞ্চ।
তারিখ | মিশন | বিবরণ |
---|---|---|
১ জানুয়ারি | XPoSat | এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট |
৬ জানুয়ারি | আদিত্য এল১ | সূর্যের হ্যালো কক্ষপথে ভারতীয় মহাকাশযান |
১৭ ফেব্রুয়ারি | INSAT-3DS | আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট |
১৬ আগস্ট | SSLV-D3/EOS-08 | ছোট স্যাটেলাইট লঞ্চ যানের তৃতীয় উন্নয়ন ফ্লাইট |
১৯ নভেম্বর | GSAT-N2 | NSIL-এর বাণিজ্যিক লঞ্চ |
৫ ডিসেম্বর | PSLV C59/PROBA-3 | ইউরোপের PROBA-3 মিশন |
৩০ ডিসেম্বর | SpaDeX | স্পেস ডেব্রি এক্সপেরিমেন্ট মিশন |
ISRO চেয়ারম্যান এস. সোমনাথ জানিয়েছেন যে ২০২৫ সাল হবে একটি অত্যন্ত ব্যস্ত বছর। তিনি নিম্নলিখিত পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেছেন:
গত দশকে ISRO মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য স্যাটেলাইট লঞ্চের মাধ্যমে ৪০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি রাজস্ব অর্জন করেছে।
এই আয়ের সিংহভাগ (১৫৭ মিলিয়ন ডলার ও ২৬০ মিলিয়ন ইউরো) গত দশ বছরে অর্জিত হয়েছে।
Indian Historical Event: ভারতের ইতিহাসে ২৮ জুন: একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন
NISAR মিশন শুধুমাত্র বিশ্বের সবচেয়ে দামি পৃথিবী পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট হিসেবেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মহাকাশ সহযোগিতার একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণও বটে। এই মিশনের মাধ্যমে:
২০২৫ সালে NISAR স্যাটেলাইট লঞ্চসহ ISRO-র বিভিন্ন পরিকল্পনা ভারতের মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পগুলি শুধু ভারতের প্রযুক্তিগত দক্ষতাই প্রদর্শন করবে না, বরং বৈশ্বিক পরিবেশ পর্যবেক্ষণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায়ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। ISRO-র ক্রমবর্ধমান সাফল্য ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম প্রমাণ করে যে ভারত এখন বিশ্বের অন্যতম প্রধান মহাকাশ শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
মন্তব্য করুন