শীতকালে লেপের ভেতর মুখ ঢেকে ঘুমালে কী বিপদ হতে পারে? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা জানুন!

শীতের রাতে উষ্ণতার জন্য অনেকেই লেপ বা কম্বলের ভেতর মুখ ঢেকে ঘুমানোর অভ্যাস করেন। এই অভ্যাসটি আরামদায়ক মনে হলেও, এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মুখ ঢেকে ঘুমালে…

Riddhi Datta

 

শীতের রাতে উষ্ণতার জন্য অনেকেই লেপ বা কম্বলের ভেতর মুখ ঢেকে ঘুমানোর অভ্যাস করেন। এই অভ্যাসটি আরামদায়ক মনে হলেও, এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মুখ ঢেকে ঘুমালে শ্বাসকষ্ট, অক্সিজেনের ঘাটতি, কার্বন ডাই-অক্সাইড জমা হওয়া এবং ঘুমের মান খারাপ হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। Sleep Foundation-এর তথ্য অনুযায়ী, সুস্থ মানুষের রক্তে অক্সিজেনের স্বাভাবিক মাত্রা ৯৫% থেকে ১০০% থাকা উচিত। তবে ঘন লেপ বা কম্বলের নিচে মুখ ঢেকে ঘুমালে এই মাত্রা কমে যেতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।

কেন মুখ ঢেকে ঘুমানো ক্ষতিকর?

শীতকালে আমরা প্রায়ই লেপ বা কম্বলের নিচে মুখ ঢেকে উষ্ণতা অনুভব করতে চাই। কিন্তু এই সময় আমাদের নাক ও মুখের চারপাশে একটি ছোট বদ্ধ পরিবেশ তৈরি হয়। এই বদ্ধ জায়গায় আমরা যে বাতাস শ্বাস ত্যাগ করি সেটাই বারবার শ্বাস নিতে থাকি।

PubMed-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, চার স্তরের বেশি কম্বলের নিচে মাথা ঢেকে রাখলে শ্বাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ ৮.৩% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক কারণ স্বাভাবিক বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা মাত্র ০.০৪%।

অক্সিজেনের ঘাটতি ও কার্বন ডাই-অক্সাইড বৃদ্ধি

লেপের নিচে মুখ ঢেকে রাখলে তাজা বাতাসের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমতে শুরু করে এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড জমা হতে থাকে। এই অবস্থাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে “রিব্রিদিং” বলা হয়, অর্থাৎ একই বাতাস বারবার শ্বাস নেওয়া।

NDTV-এর একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই পরিস্থিতিতে শরীরকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হয় অক্সিজেন সংগ্রহের জন্য। এতে হৃদযন্ত্রের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং ঘুমের মান খারাপ হয়।

রক্তে অক্সিজেনের স্বাভাবিক মাত্রা কতটুকু?

ঘুমের সময় রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। Sleep Foundation অনুযায়ী, সুস্থ মানুষের রক্তে অক্সিজেনের স্বাভাবিক মাত্রা নিম্নরূপ:

অক্সিজেন স্যাচুরেশন অবস্থা
৯৫% – ১০০% স্বাভাবিক
৯১% – ৯৫% কিছুটা কম
৮৮% – ৯১% কম
৮৮% এর নিচে বিপজ্জনক

রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৮৮% বা তার নিচে নামলে এটি জীবনের জন্য হুমকি হতে পারে। কারণ এই অবস্থায় শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না।

কম অক্সিজেনের লক্ষণ

ঘুমের সময় অক্সিজেনের মাত্রা কমলে কিছু লক্ষণ দেখা যায়:

  • ঘন ঘন ঘুম ভাঙা বা অস্থিরতা

  • ঘুমের মধ্যে হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট

  • সকালে মাথা ব্যথা

  • সারাদিন ক্লান্তি ও অবসাদ অনুভব

  • মনোযোগ কমে যাওয়া

  • ঠোঁট বা নখ নীলচে হয়ে যাওয়া (গুরুতর ক্ষেত্রে)

Cleveland Clinic-এর মতে, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৩% এর নিচে নামলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং ৮৮% এর নিচে নামলে জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।

ধূমপান ছাড়ার ২৪ ঘন্টায় শরীরে যে অবিশ্বাস্য পরিবর্তনগুলো ঘটে

শরীরে কী কী সমস্যা হতে পারে?

শ্বাসকষ্ট ও শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা

মুখ ঢেকে ঘুমালে শ্বাসতন্ত্রের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। Times of India-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে (২ ডিসেম্বর ২০২৫) উল্লেখ করা হয়েছে যে, পুনর্ব্যবহৃত বাতাস শ্বাস নেওয়ার ফলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে অ্যাজমা, সিওপিডি (COPD) বা শ্বাসকষ্টের রোগীদের সমস্যা আরও বাড়তে পারে।

যাদের স্লিপ অ্যাপনিয়া বা নাসারন্ধ্র বন্ধ থাকার সমস্যা আছে, তাদের জন্য এই অভ্যাস আরও ক্ষতিকর। কারণ তাদের শ্বাসনালী ইতিমধ্যেই সংকুচিত থাকে এবং বাড়তি বাধা তৈরি হলে শ্বাসকষ্ট তীব্র হতে পারে।

ঘুমের মান খারাপ হওয়া

NIH-তে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ঘুমের জন্য আদর্শ তাপমাত্রা ২০°C থেকে ২৫°C। এই তাপমাত্রায় ঘুম সবচেয়ে গভীর ও আরামদায়ক হয়। তাপমাত্রা ২৫°C থেকে ৩০°C এ বাড়লে ঘুমের কার্যকারিতা ৫-১০% কমে যায়।

লেপের নিচে মুখ ঢাকলে সেখানে তাপ ও আর্দ্রতা বাড়ে, যা গভীর ঘুমের জন্য প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করে। ফলে ঘুম বারবার ভাঙে এবং সকালে ক্লান্তি লাগে।

ত্বকের সমস্যা

মুখ ঢেকে ঘুমালে ত্বকের উপরও প্রভাব পড়ে। বদ্ধ পরিবেশে ঘাম জমে থাকে এবং লোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। এতে ব্রণ, র‌্যাশ বা অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাদের একজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যা আছে, তাদের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।

কাদের জন্য এই অভ্যাস সবচেয়ে বিপজ্জনক?

শিশু ও নবজাতক

শিশু বিশেষজ্ঞরা সবচেয়ে বেশি সতর্ক করেন শিশুদের ক্ষেত্রে। BMJ Paediatrics Open-এ প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে যে, নরম বিছানা বা বালিশের কাছে শিশুর মুখ থাকলে কার্বন ডাই-অক্সাইড রিব্রিদিং এর ঝুঁকি বাড়ে।

NICHD (National Institute of Child Health and Human Development)-এর নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, “ঘুমের সময় শিশুর মুখ ও মাথা অবশ্যই খোলা রাখতে হবে।” কারণ এই অভ্যাস সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোম (SIDS) এর ঝুঁকি বাড়ায়।

PubMed-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, আকস্মিকভাবে মারা যাওয়া শিশুদের মধ্যে ২৮% পর্যন্ত শিশুকে বিছানার চাদর বা কম্বলের নিচে সম্পূর্ণ ঢাকা অবস্থায় পাওয়া গেছে।

বয়স্ক ব্যক্তি

বয়স্ক ব্যক্তিদের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই কম থাকে। তাই তাদের জন্য লেপের নিচে মুখ ঢেকে ঘুমানো ঝুঁকিপূর্ণ। অক্সিজেনের ঘাটতি তাদের হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

শ্বাসকষ্টের রোগী

যাদের অ্যাজমা, ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস, সিওপিডি বা স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে, তাদের জন্য এই অভ্যাস একেবারেই উচিত নয়। কারণ তাদের শ্বাসতন্ত্র ইতিমধ্যেই দুর্বল এবং অতিরিক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড তাদের অবস্থা আরও জটিল করতে পারে।

শীতে মুখ ঢাকার ইচ্ছা কেন হয়?

মানুষ সাধারণত কয়েকটি কারণে মুখ ঢেকে ঘুমাতে চায়:

কারণ বিবরণ
উষ্ণতার জন্য শীতের ঠান্ডা থেকে বাঁচতে মুখ ঢাকা স্বাভাবিক প্রবণতা
নিরাপত্তার অনুভূতি অনেকে মানসিক স্বস্তির জন্য মুখ ঢাকেন
আলো থেকে সুরক্ষা ঘরে আলো থাকলে মুখ ঢাকার প্রবণতা বাড়ে
শব্দ থেকে রক্ষা কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে অনেকে মুখ ঢাকেন
অভ্যাস শৈশব থেকে করে আসা একটি অভ্যাস

এই কারণগুলো স্বাভাবিক হলেও, স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে বিকল্প উপায় খুঁজে বের করা উচিত।

নিরাপদে উষ্ণ থাকার উপায়

সঠিক পোশাক পরুন

মুখ ঢাকার বদলে শরীর ঢাকার দিকে মনোযোগ দিন। থার্মাল অন্তর্বাস, গরম মোজা এবং উলের সোয়েটার পরে ঘুমালে পর্যাপ্ত উষ্ণতা পাওয়া যায়। এতে মুখ ঢাকার প্রয়োজন হয় না।

লেপ সঠিকভাবে ব্যবহার করুন

লেপ বা কম্বল কাঁধের নিচে রাখুন যাতে মুখ ও নাক খোলা থাকে। শরীর গরম রাখতে একাধিক হালকা স্তরের কাপড় ব্যবহার করুন। এটি একটি ভারী কম্বলের চেয়ে বেশি কার্যকর এবং নিরাপদ।

ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন

শীতে ঘরের তাপমাত্রা আরামদায়ক রাখার চেষ্টা করুন। রুম হিটার বা ব্লোয়ার ব্যবহার করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন অতিরিক্ত গরম ঘরে ঘুমানোও স্বাস্থ্যকর নয়। ২০-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ঘুমের জন্য আদর্শ।

বায়ু চলাচল নিশ্চিত করুন

শীতে জানালা দরজা বন্ধ রাখলেও সামান্য বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন। এতে ঘরে তাজা অক্সিজেন থাকবে এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড জমা হবে না।

শীতে ঘুমের আরও কিছু সুস্থ অভ্যাস

ঘুমানোর আগে গরম পানীয়

ঘুমানোর আগে এক কাপ গরম দুধ বা হালকা গরম পানি পান করুন। এতে শরীর ভেতর থেকে গরম থাকে এবং আরামদায়ক ঘুম হয়।

গরম পানিতে পা ভেজানো

ঘুমানোর আগে হালকা গরম পানিতে কিছুক্ষণ পা ভিজিয়ে রাখলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং পা গরম থাকে। এটি গভীর ঘুমে সাহায্য করে।

হাইড্রেশন বজায় রাখুন

শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং শ্বাসনালী শুকিয়ে যেতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ঘরে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করলে বাতাসে আর্দ্রতা বজায় থাকে।

বিশেষ পরিস্থিতিতে করণীয়

যদি অসুস্থতা থাকে

যাদের শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগ আছে তাদের মুখ ঢেকে ঘুমানো একদম এড়িয়ে চলা উচিত। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

অতিরিক্ত ঠান্ডা অনুভব হলে

যদি ঘরে খুব বেশি ঠান্ডা লাগে এবং মুখ ঢাকার ইচ্ছা হয়, তাহলে ঘরের তাপমাত্রা বাড়ানোর ব্যবস্থা করুন। ইলেকট্রিক হিটার, হট ওয়াটার ব্যাগ বা গরম কাপড় ব্যবহার করুন। কিন্তু মুখ ঢেকে ঘুমাবেন না।

শিশুদের ক্ষেত্রে

শিশুদের ঘুমানোর সময় অবশ্যই মুখ খোলা রাখুন। শিশুদের জন্য হালকা এবং শ্বাস নেওয়ার উপযোগী কাপড় ব্যবহার করুন। বেবি স্লিপিং ব্যাগ একটি নিরাপদ বিকল্প হতে পারে।

পড়াশোনায় সাফল্য পেতে কোন দিকে মুখ করে বসবেন? জেনে নিন বাস্তুশাস্ত্রের নির্দেশনা

দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য ঝুঁকি

নিয়মিত মুখ ঢেকে ঘুমানোর অভ্যাস দীর্ঘমেয়াদে কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে:

হৃদযন্ত্রের উপর প্রভাব

দীর্ঘস্থায়ী অক্সিজেন ঘাটতি হৃদযন্ত্রের উপর চাপ বাড়ায়। Sleep Foundation অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকলে স্ট্রোক ও হার্ট ফেইলিওরের ঝুঁকি বাড়ে।

মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস

মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতার জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেন প্রয়োজন। নিয়মিত অক্সিজেন ঘাটতিতে স্মৃতিশক্তি কমে যেতে পারে এবং মনোযোগ দিতে সমস্যা হতে পারে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস

খারাপ ঘুম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়। শীতে সর্দি-কাশি ও অন্যান্য সংক্রমণের ঝুঁকি এমনিতেই বেশি থাকে। খারাপ ঘুম এই ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়।

ভুল ধারণা দূর করুন

অনেকে মনে করেন কম্বল এয়ারটাইট নয় বলে মুখ ঢাকলে সমস্যা হয় না। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ সত্য নয়। ঘন ফাইবারের কম্বল বা লেপ বাতাস চলাচল উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। এতে মুখের কাছে কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব বাড়তে থাকে।

আরেকটি ভুল ধারণা হলো, সুস্থ তরুণদের কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে যে, সুস্থ মানুষেরও এই অভ্যাসে ঘুমের মান খারাপ হয় এবং সকালে ক্লান্তি লাগে।

কখন ডাক্তার দেখাবেন?

নিম্নলিখিত লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন:

  • ঘুম থেকে উঠে শ্বাসকষ্ট অনুভব হলে

  • সকালে নিয়মিত মাথা ব্যথা হলে

  • সারাদিন অতিরিক্ত ক্লান্তি থাকলে

  • ঘুমের মধ্যে বারবার জেগে উঠলে

  • ঠোঁট বা নখ নীলচে হয়ে গেলে

  • বুকে ব্যথা বা ধড়ফড় করলে

এই লক্ষণগুলো রক্তে অক্সিজেনের ঘাটতি বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।

শীতের রাতে লেপের নিচে মুখ ঢেকে ঘুমানো হয়তো আরামদায়ক মনে হয়, কিন্তু এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অক্সিজেনের ঘাটতি, কার্বন ডাই-অক্সাইড বৃদ্ধি, ঘুমের মান খারাপ হওয়া এবং শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা এই অভ্যাস থেকে হতে পারে। শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি। গবেষণায় দেখা গেছে যে, লেপের নিচে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বাড়তে পারে। তাই মুখ ঢাকার বদলে থার্মাল পোশাক পরুন, ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন এবং সঠিকভাবে লেপ ব্যবহার করুন। সামান্য সচেতনতা আপনাকে উষ্ণ রাখতে পারে এবং সুস্থ ঘুম নিশ্চিত করতে পারে।

About Author
Riddhi Datta

ঋদ্ধি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি একজন উদীয়মান বিজ্ঞান লেখক ও গবেষক, যিনি জটিল বৈজ্ঞানিক ধারণাগুলিকে সাধারণ পাঠকদের জন্য সহজবোধ্য করে তোলেন। তাঁর লেখায় রসায়ন, পরিবেশ বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির সমসাময়িক বিষয়গুলি প্রাধান্য পায়। ঋদ্ধি নিয়মিতভাবে এই ওয়েবসাইটে বিজ্ঞান-ভিত্তিক প্রবন্ধ, গবেষণা সারসংক্ষেপ এবং বিশেষজ্ঞদের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন