Daily walking recommendations by age: সুস্থ থাকার জন্য হাঁটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে বয়স অনুযায়ী হাঁটার পরিমাণ নির্ধারণ করা জরুরি, কারণ এটি শরীরের ফিটনেস ও স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে।
বয়স অনুযায়ী হাঁটার সময়ের চার্ট
৬-১৭ বছর
- সময়: প্রতিদিন অন্তত ৬০ মিনিট।
- পদক্ষেপ: প্রায় ১৫,০০০।
- উপকারিতা: শারীরিক বৃদ্ধি, পেশি শক্তিশালীকরণ এবং মানসিক বিকাশে সহায়ক.
কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়? জেনে নিন চাঞ্চল্যকর তথ্য
১৮-৩০ বছর
- সময়: ৩০-৬০ মিনিট।
- পদক্ষেপ: ১০,০০০-১২,০০০।
- উপকারিতা: ওজন নিয়ন্ত্রণ, স্ট্রেস কমানো, এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি.
৩১-৫০ বছর
- সময়: ৩০-৪৫ মিনিট।
- পদক্ষেপ: ৮,০০০-১০,০০০।
- উপকারিতা: দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ এবং মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখা.
৫১-৬৫ বছর
- সময়: ৩০-৪০ মিনিট।
- পদক্ষেপ: প্রায় ৭,০০০-৮,০০০।
- উপকারিতা: হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করা এবং বিপাক প্রক্রিয়া সক্রিয় রাখা.
৬৬ বছর ও তার বেশি
- সময়: ২০-৩০ মিনিট।
- পদক্ষেপ: প্রায় ৫,০০০-৭,০০০।
- উপকারিতা: ভারসাম্য বজায় রাখা এবং বার্ধক্যজনিত সমস্যা কমানো.
হাঁটার উপকারিতা
- হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকরী: নিয়মিত হাঁটা রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে হার্টের কার্যক্ষমতা উন্নত করে.
- ওজন নিয়ন্ত্রণ: দিনে ৮ থেকে ১০ হাজার পদক্ষেপ হাঁটা ওজন কমাতে সহায়ক.
- মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি: স্ট্রেস কমানো এবং মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে.
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: রক্তে শর্করা মাত্রা কমাতে সাহায্য করে.
চর্বি দ্রুত কমাতে কোনটা বেশি কার্যকরী দৌড় নাকি হাঁটা?
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র মতে, সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি গতিতে হাঁটা উচিত। এটি প্রতিদিন প্রায় ৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটার সমান। তবে বয়স ও শারীরিক অবস্থার ভিত্তিতে এই সময় কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। নোট: যদি টানা হাঁটা সম্ভব না হয়, তবে দিনে দুইবার ভাগ করে হাঁটুন। এছাড়া সিঁড়ি ব্যবহার বা কর্মস্থলে হেঁটে যাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।অস্বীকৃতি: এই তথ্য সাধারণ নির্দেশিকা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত শারীরিক অবস্থার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।